আনুমানিক পঠনকাল: < 1 মিনিট
এসো এই শহরে! দেখো দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করা অজস্র মানুষ। ধূলি ধূসরিত এই শহরে লুকায়িত শত বিস্ময় বিহ্বল। এই শহরে রোদ নামে আলগোছে, বৃষ্টিরা রোদে পুড়ে ছাই হয়ে। অনাহুত আসে যায় নির্জন দুপুর, নিস্তব্ধ রাত। দেখো, পক্ষীরা ডানা মেলে নির্লিপ্ত ওড়ে।
এসো এই শহরে! দেখো প্রকাণ্ড বৃক্ষেরা দণ্ডায়মান সগৌরবে, সন্ধের পরপর টিএসসির মোড়ে জম্পেশ আড্ডার আসর জমে; শাঁ করে ছোটোবড়ো যানগুলো ছুটে চলে। নির্বিকার চেয়ে আছে উন্মাদ, নৈঃশব্দ্যে হেঁটে চলে অবিরাম। চোখেমুখে রাজ্যের বিবর্ণ বিস্ময়। দেখো কি দুর্দৈব জীবনাচরণ; অস্ফুট আর্তস্বর। তবুও আমরা কেমন নির্দয়! আর্তমানবতা রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে একাকার।
এসো এই শহরে! দেখো বাদলা দিনে ঝুরুঝুরু বৃষ্টি ঝরে, কি কোমল স্নিগ্ধকর সুবাতাসে ঢেকে যায় শহর। মধ্যরাতে হঠাৎ হঠাৎ নেড়ি কুকুর ডেকে ওঠে। বুড়িগঙ্গার অবারিত জলস্রোতে দেখো পালতোলা নৌকোয় সুরতোলা মাঝির উচ্চাঙ্গসংগীত। রাত্রি শেষে দোয়েল এসে ভিড় করে কার্নিশে। বেলকনিতে চড়ুইগুলো চিঁচিঁ করে। এসো এই শহরে! দেখো বিমূর্ত ক্যানভাস। পুরাণ ঢাকায় শত বছরের বিল্ডিং ফেঁটে বৃক্ষশিশু দাঁড়িয়েছে মাথা উঁচিয়ে।
সম্পাদক ও গদ্যকার
জন্ম: ১৯৯৮, ৮ ই অক্টোবর
পড়াশোনা করছেন ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
ঢাকা সাভারে পৈতৃক ভিটা এবং বেড়ে ওঠা।
প্রথম বই: এখানে আরেকটু রোদ (মুক্তগদ্য)
সম্পাদিত লিটলম্যাগ: বেয়ারিং
আতিক ফারুক মূলত গদ্য লিখেন— লেখক ক্রমে কবিতার দিকে অগ্রসর হতে চাইছেন৷