নির্জনতার ভিতরে
ভেঙে যাওয়া মানুষ
অনর্গল বলে চলেছে
প্রথমে বলছে ছুঁতে না পারা অনেক বৃষ্টি
তারপরে দুপুর রোদের নির্জনতা,
পাহাড় খাদের আত্মকথা
আপন মনে অনুবাদ করছে।
একে একে খালি হচ্ছে দর্শকাসন;
মঞ্চে সে এবার একা,
ঘুম ভেঙে পাশ ফিরলে কেউ নেই।
খবর দিয়েছি তোমায়
খবর দিয়েছি তোমায়
যা কিছু অবশিষ্ট ছিল
তুলে না রেখে
খবর দিয়েছি তোমায়।
থার্মোমিটার ১০৪ এ পারদ ছুঁলেও
অন্তত একবার মিসড্ কল দিয়ে
কিংবা ছুটে গিয়ে শেষ কামরায় উঠেও
খবর দিয়েছি তোমায়।
যেখানে আলো বেচে আলো কেনে
সবুজের কল্পনা আসে না যে নগরে
তারই এক ঘরে জোনাকি ধরে এনে
তোমার তালুতে সাজিয়েছি।
আর কি দেওয়া বাকি
পারি না শেষ খবর শুধু দিতে
বাসি ফুলের গন্ধে
আমিই হব শেষ খবর।
রোদের চিঠি
সে রোদ চেনে
ঝলমলে রোদে ক্লান্তিহীন হাসি চোখে -মুখে।
দুয়োরে চাল ছড়ায় পাখি খাবে বলে,
এ যেন দিগন্ত তৃপ্তি
পাতায় পাতায় আলোকিত উৎসব।
হঠাৎ শরীরে ঘুম পায়
বাইরে সবার তাড়া লাগে
আশ্রয় খোঁজে তারা।
খামে লেখা চিঠি
পর্দা উড়ে রোদ ঢোকে
ভেজা রোদ শুকিয়ে দিতে সে অশান্ত।
নদী ও জল
যতটুকু জল গেছে নদীপথ দিয়ে
নদী সমুদ্রের মোহনাতে পৌছোয় তারাই
সমুদ্রের স্বাদ তারাই জানে,
এসবের বাইরেও বিরাট অঙ্কের জল
সবাই তো নদী হতে পারেনি,
অথচ তাদের সম্ভবনা ছিল প্রবল
এমনকি আগামীতেও থাকবে।
একদিন সব বাঁধ ভেঙে যায়
নদীর অভিমানের মতন
নদী ছন্দ মানে না।
নদী তখন জলের মতন সহজ
জল তখন নদীর অভিধান।
ভুল ঠিকানায়
ভুল ঠিকানায় রোজ রোজ চিঠি পাঠাই
চিঠিকে দোষারোপ করি
অথচ সে তো ঠিক ঠিকানাতেই গেছে।
ভুল রাস্তায় গন্তব্য খুঁজি
বাড়ি বানাই মনের মতন
বালির বাড়ি টেকে না সহজে।
![অর্কপ্রভ ভট্টাচার্য](https://irabotee.com/wp-content/uploads/2020/04/IMG_9019-150x150.jpg)
জন্ম চুঁচুঁড়া, হুগলী। আঁকা, গানবাজনার পাশাপাশি সাহিত্য চর্চা করতে ভালোবাসেন। কিছু লিটিল ম্যাগাজিনে কবিতা ও গদ্য প্রকাশিত হয়েছে। কয়েকজন বন্ধু মিলে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন।