| 7 অক্টোবর 2024
Categories
ধারাবাহিক সময়ের ডায়েরি

পদসঞ্চার (পর্ব-৭)

আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট

২৮ মার্চ । শনিবার

আজ আমার জন্মদিন। আমি কোন সেলিব্রিটি নই। আমার জন্মদিন মনে রাখে আমার কিছু আত্মীয় ও বান্ধব। তবে ফেসবুকের অচেনা বন্ধুরাও শুভেচ্ছা জানায়। শান্তনু পাল, সলিল দত্ত, বেনজিন খান,আজিজুল হক, বুলবুল ইসলাম, স্বপন রায়, প্রভুদান হালদার, মলয় পাত্র, কার্তিক মণ্ডল, সুজাতা স্বর্ণকার, অমিয় জানা, স্বপন দেবনাথ, অনুপ চক্রবর্তী, পার্থসারথি চৌধুরী, সুরজ ঘোষ, চন্দন দাস. পিকু মাইতি, রাজন গুহ, জগন্নাথ মজুমদার, অরূপ রায়, গোপাল চক্রবর্তী, সুরেশ শর্মা, অরিজিৎ ঘোষ প্রমুখের শুভেচ্ছা আমাকে অনেকটা আশ্বস্ত করল।

বিশেষ করে এই অবরুদ্ধ জীবনে। একজন বন্ধু কবি শঙ্খ ঘোষের একটা কবিতা উদ্ধৃত করে লিখেছেন, ‘দাদা, এখন তো আমরা বেঁধে বেঁধে থাকতে পারবনা, ছেড়ে ছেড়ে থাকতে হবে। কিন্তু মনের বাঁধনটা যেন  থাকে।’

থাকবে তো!

কার্ল মার্কস বলেছিলেন : ইউরোপ আজ ভূত দেখছে, কমিউনিজমের ভূত। তেমনি আজ সারা বিশ্বও দেখছে ভূত, করোনার ভূত। সেই ভূতের আতঙ্কে গুটিয়ে নিচ্ছে নিজেকে। এ আতঙ্ক অস্বাভাবিকও নয়। ভূত দৃশ্যমান হলে এতটা আতঙ্ক থাকতো না বোধহয়। কিন্তু এযে অদৃশ্য। ছলনাময়ও বটে। কারোর সর্দি-কাশি-শ্বাসকষ্ট হলে সন্দেহ করি। শেষ এখানেই নয়। সন্দেহ করি সব মানুষকেই।

ওই যে, বলা হচ্ছে ‘লক্ষণহীন বাহকে’র কথা।

তোমার সঙ্গে কথা বলছে। দিব্যি ভালো মানুষ। তুমি তাই মাস্ক পরোনি। কিন্তু সে তো হতে পারে লক্ষণহীন বাহক। তার মুখ থেকে অদৃশ্য জীবাণু ঢুকে গেল তোমার নাকে-মুখে। হয়তো তার ইমিউনিটি বেশি, সে এখনও কাবু হয় নি। তোমার ইমিউনিটি কম। তোমার শরীরের কোষে বসে করোনা পুষ্ট হয়ে ফাঁসিয়ে দিল তোমাকে। তখন?

তাই আতঙ্ক। অস্বাভাবিক নয়।

এই ভয়ংকর ভাইরাস কি ল্যাবে তৈরি! জীবাণু যুদ্ধের মহড়া! সামাজিক মাধ্যমে ঘুরছে কথাটা। অসহায় মানুষ খুঁজতে চাইছে কারণটা। নিজের মতো একটা ব্যাখ্যা তৈরি করে নিয়ে গালমন্দের বন্যা বইয়ে দিচ্ছে ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের স্রষ্টাকে।

প্রথম সন্দেহ চিনকে। কেননা চিনের উহানে করোনার প্রথম আবির্ভাব।

প্রথম তির ছুঁড়লেন ইস্রায়েলের জীবাণু অস্ত্রের বিশেষজ্ঞরা। তাকে সমর্থন জানালেন আমেরিকার ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’। চিনের উহানে জৈব রাসায়নিক মারণাস্ত্র তৈরির কারখানার নাম ‘বায়ো-সেফটি লেভেল ৪’। সেখানেই তৈরি হচ্ছিল করোনা। দুর্ঘটনাবশত এখান থেকে ছড়িয়েছে ভাইরাস। ইস্রায়েলের সেনা-গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান ড্যানি শোহাম বলেন, দুনিয়ার দখলদারী কায়েম করার জন্য চিন জিনগত অভিযোজন ঘটিয়ে এই মারণাস্ত্র তৈরি করছিল, ঘটনাচক্রে বুমেরাং হয়েছে।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট তো প্রথম দিকে করোনা ভাইরাসকে ‘চিনা ভাইরাস’, ‘উহান ভাইরাস’ বলে কটাক্ষ করছিলেন। আমেরিকার প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির উপদেষ্টা জন বোল্টন ভাইরাসের জন্য দায়ী করেছিলেন চিনকে। আমেরিকার রিপাবলিকান রাজনীতিক জোয়ান রাইট একটা টুইটে লিখেছিলেন যে উহান ল্যাবে এই ভাইরাস তৈরি হয়, চিনকে সাহায্য করেন বিল গেটস। পরে অবশ্য টুইটটি মুছে ফেলেন তিনি।

চিনের দুই গবেষক ড. বটাও জিয়াও ও লি জিয়াও-এর গবেষণাপত্রকে হাতিয়ার করেও চিনের বিরুদ্ধে কামান দাগা হয়। এই দুই গবেষকের বক্তব্য ছিল ভাইরাস এসেছে বন্য বাদুড় থেকে। কিন্তু উহানের আশ-পাশে বন্য বাদুড় ছিল না। পরীক্ষার জন্য আনা হয়েছিল উহানের গবেষণাগারে। কিন্তু কি গবেষণা হচ্ছিল তা তিমিরাচ্ছন্ন।

কামান দাগে চিনও। চিনের বক্তব্য ২০১৯ সালের অক্টোবরে উহানে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আসা মার্কিন সেনাদলের একটি অংশ এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান তাঁর টুইটারে ১১ মার্চ আমেরিকার এক কংগ্রেস কমিটির সামনে সে দেশের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের প্রধান রবার্ট রেডফিল্ডের এক ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করেছেন। সেই ভিডিওতে রেডফিল্ড বলছেন আমারিকায় ইনফ্লুয়েঞ্জাজাতীয় মৃত্যুর পরীক্ষায় কোভিদ-১৯এর ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল।

ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ডের কম্যান্ডার মেজর জেনারেল হুসেইন সালামি বলেছেন চিন ও ইরানকে জব্দ করার জন্য আমেরিকাই এনেছে এই ভাইরাস।

রাশিয়ার সরকারসমর্থিত ‘স্পুটনিক রেডিও’ থেকে বলা হয়েছে ব্রেক্সিটের বাজার খুলে দেওয়ার জন্য চিনকে বাধ্য করতে ব্রিটেন এই কাজ করেছে। মাইক্রোবায়োলজিস্ট ইগর নিকুলিন এই বক্তব্য সমর্থন করেছেন।

এখন প্রশ্ন হল ভাইরাসটি মনুষ্যসৃষ্ট কিনা!

প্যারিসের সরবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউটের ইভোলিউশন আ্যন্ড বায়োডাইভারসিটির অধ্যাপক আলেকজান্দ্রা হাসানিন মনে করেন এই ভাইরাসটি দুটো ভাইরাসের মিশ্রণে তৈরি, ‘ The result   of  a  recombination  between   two different   viruses,  one   close  to  RaTG 13   and  the  other  closer  to  the  pangolin virus. In other  words ,  it  is  a  chimera   between  two  pre-existing  viruses. ‘

ভাইরাসটি যে গবেষণাগারে তৈরি নয়, সে ব্যাপারে একমত বহু বিজ্ঞানী । ‘নেচার’ পত্রিকায় ড. ক্রিস্টিয়ান জি আন্ডারসন, ড. আ্যনড্রিউ রামবাট, ড. ডব্লু আয়ান লিপকিন, ড. এডওয়ার্ড হোমস, ড. রবার্ট এফ গ্যারি এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন যে ভাইরাসটি গবেষণাগার থেকে আসেনি, বাদুড় বা প্যাঙ্গোলিন থেকে প্রবেশ করেছে মানুষের শরীরে—‘ Our  analyses  clearly   show   that  SARS-CoV-2 is  not  a laboratory   construct   or  a  purposefully   manipulated .’

বিজ্ঞানীদের এই বক্তব্য সত্য হলে চিনকে দায়ী করার প্রশ্ন ওঠে না। কিন্তু চিনের আচরণ ও কার্যক্রমে বেশ কিছু অসঙ্গতি চোখে পড়ে। আমরা কোন সিদ্ধান্ত না করে সেই আচরণ ও কার্যক্রমের কালপঞ্জি তুলে   ধরছি।

১৭ নভেম্বর, ২০১৯–  উহানে ভাইরাসের প্রথম আক্রমণ।

১০ ডিসেম্বর, ২০১৯—উহান আ্যনিম্যাল মার্কেটের সি-ফুড বিভাগের ৫৭ বছর বয়েসী ব্যবসায়ী উয়ে গুয়িক্সিয়ান এই ভাইরাসের আক্রমণর অসুস্থ হন।

২৬ ডিসেম্বর, ২০১৯—নতুন ভাইরাসটিকে সনাক্ত করার জন্য উহানের অসুস্থদের তথ্য বিভিন্ন জেনোমিক্স কোম্পানিতে পাঠানো হল। আবার কিছুদিন পরে একটি কোম্পানিকে পরীক্ষা বন্ধ করার ও প্রাপ্ত তথ্য নষ্ট করার নির্দেশ দেওয়া হল।

২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯ – হুবেই প্রভিন্সিয়াল  হসপিটাল অফ ইনটিগ্রেটেড চাইনিজ আ্যান্ড ওয়েস্টার্ন মেডিসিনের এক ডাক্তার ঝাং জিকসিয়াং চিনের স্বাস্থ্য বিভাগকে জানালেন রোগটার জন্য দায়ী এক নতুন ভাইরাস।

৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯—বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিনা অফিসকে চিন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হল উহানে এক নতুন ধরনের নিউমোনিয়া দেখা যাচ্ছে।

ইন্টারনেটে যাতে  ‘Wuhan   Unknown  Pneumonia’,   ‘ SARS   Variation’,   ‘Wuhan Animal  Market’ –  এসব বিষয়ে সন্ধান না করা যায়, তার ব্যবস্থা করা হল সরকারের পক্ষ থেকে।

১ জানুয়ারি, ২০২০—ডাঃ লি ওয়েনলিয়াংসহ ৮ জন ডাক্তার বলেছিলেন যে নতুন ভাইরাসটি মহামারী ঘটাতে পারে। পুলিশ এঁদের জেরা করল, গুজব রটানোর জন্য দায়ী করা হল। ক্ষমা প্রার্থনা করে চিঠি লিখতে বাধ্য করা হল লি-কে।

সমস্ত জেনোমিক্স কোম্পানিকে ভাইরাস সংক্রান্ত পরীক্ষা বন্ধ করতে ও তথ্য নষ্ট করতে নির্দেশ দিল হুবেই হেল্থ কমিশন।

বন্ধ করে দেওয়া হল উহান আ্যনিম্যাল মার্কেট। কিন্তু না পরিষ্কার করা হল খাঁচা, না স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হল কর্মীদের।

৩ জানুয়ারি—চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন সমস্ত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দিল নতুন ভাইরাস সম্পর্কে কোন তথ্য প্রকাশ করা যাবে না।

৫ জানুয়ারি—সাংহাই পাবলিক হেল্থ ক্লিনিকাল সেন্টারের অধ্যাপক ঝাং ইয়ংঝেন চিনা সরকারকে ভাইরাসের জেনোমিক সিকোয়েন্স দিলেন।

উহান মিউনিসিপাল হেল্থ কমিশন ভাইরাস সম্পর্কে প্রাত্যহিক তথ্য দেওয়া বন্ধ করলেন।

৯ জানুয়ারি—চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশনে ওয়াং গুয়াংফারের এক বক্তব্য সম্প্রচারিত হল। ইনি সরকারি চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ। বললেন, নিউমোনিয়া নিয়ন্ত্রণে আ্ছে। [ ১১ দিন পরে ইনি করোনা আক্রান্ত হন ]

১১ জানুয়ারি—অধ্যাপক ঝাং ইয়ংঝেনের সাংহাই গবেষণাগার বন্ধ করে দিল সাংহাই হেল্থ কমিশন। ভাইরাসের জেনোমিক সিকোয়েন্স সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য আর্ন্তজাতিক সায়েন্টিফিক কমিউনিটিতে পাঠানো হয়েছিল।

১২ জানুয়ারি—ভাইরাসের জেনোমিক সিকোয়েন্স সম্পর্কিত তথ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে শেয়ার করল চিনের জাতীয় হেল্থ কমিশন।

১৪ জানুয়ারি- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমান সংক্রমণ হচ্ছে মানুষ থেকে মানুষে।

উহানের জিনিইয়ানতান হাসপাতালে খবর সংগ্রহে গেলে সাংবাদিকদের বাধা দেয় পুলিশ, বাজেয়াপ্ত করে ক্যামেরা ও ফোন।

১৫ জানুয়ারি- চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল আ্যন্ড প্রিভেনশন এর্মাজেন্সি বিভাগের প্রধান ডাঃ লি কোয়ান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানালেন, মানুষে মানুষে সংক্রমণ তেমন তীব্র নয়।

১৭ জানুয়ারি—উহানের মিউনিসিপাল হেল্থ কমিশন আবার করোনা সম্পর্কে প্রাত্যহিক তথ্য দিতে শুরু করল।

১৮ জানুয়ারি—ভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে উহানে এক ভোজসভার [ Potluck  banquet ] আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ৪০ হাজার মানুষ।

২০ জানুয়ারি- সার্স বিশেষজ্ঞ ডাঃ ঝং নানসান এক টিভি সাক্ষাৎকারে মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণের কথা বললেন। চিন সরকারের অবহেলার সমালোচনা করলেন।

২৩ জানুয়ারি—উহানে লক ডাউন শুরু হল। কিন্তু তার আগে পরীক্ষা ছাড়াই সেখান থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ অন্যত্র ছড়িয়ে গেছেন।

৬ ফেব্রুয়ারি- আ্যটর্নি ও সাংবাদিক চেন কুইশি ইন্টারনেটে উহানের হাসপাতালের উপচে পড়া মানুষ ও আতঙ্কিত পরিবারের ছবি প্রকাশ করেছিলেন। তিনি উধাও হয়ে গেলেন।

৭ ফেব্রুয়ারি- করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন লি ওয়েনলিং।

৯ ফেব্রুয়ারি- মহামারীর ভিডিও তুলেছিলেন সাংবাদিক ফ্যাং বিন। তিনি উধাও হয়ে গেলেন।

১৫ ফেব্রুয়ারি—প্রেসিডেন্ট জিনপিং ভাইরাস সংক্রান্ত বিষয়ে কড়া সেন্সরশিপ লাগু করলেন।

তথ্য গোপন করার জন্য প্রেসিডেন্টকে ক্ষমা চাইতে ও পদত্যাগ করতে বলার জন্য গ্রেপ্তার করা হল মানবাধিকার কর্মী জু জিয়াংকে।

১৬ ফেব্রুয়ারি- ‘The  coronavirus  epidemic  has  revealed   the rotten   core   of  Chinese  governance’  প্রবন্ধটি ইন্টারনেটে প্রকাশ করার জন্য শিক্ষাবিদ জু ঝাংগ্রুনকে অন্তরীনাবদ্ধ করে রাখা হল।

সাউথ চায়না ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির বিজ্ঞানী ড. বোটাও জিয়াও ও  উহান ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স আ্যন্ড টেকনোলজির বিজ্ঞানী ড. লি জিয়াও ভাইরাসবিষয়ক যে গবেযণাপত্র প্রকাশ করেন তার বিরুদ্ধে সেন্সরশিপ করা হয়।

১৯ ফেব্রুয়ারি—মহামারীর সংবাদ সংগ্রহের অপরাধে ওয়াল স্ট্রিটের ৩ সাংবাদিককে বহিষ্কার করা হয়।

২৬ ফেব্রুয়ারি—প্রেসিডেন্ট জিনপিংএর নেতৃত্বে কিভাবে ভাইরাসের সংক্রমণকে পরাজিত করা হল, সে বিষয়ে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগ একটি বই প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

৮ মার্চ- ভাইরাস যে চিনে উৎপন্ন হয় নি, তা প্রচার করার জন্য চিনা দূতাবাসগুলিকে নির্দেশ দেওয়া   হয়।

১২ মার্চ—চিনের বিদেশমন্ত্রী বললেন অক্টোবরে উহান মিলিটারি গেমস-এ যে আমেরিকান সামরিক বাহিনী এসেছিল, তারাই ভাইরাস ছড়িয়েছে।

১৪ মার্চ- ধনকুবের রেন জিকিয়াং পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রেসিডেন্টের ব্যর্থতার কথা বলেছিলেন । তিনি উধাও হয়ে গেলেন ।

১৮ মার্চ—নিউইয়র্ক টাইমস, দি ওয়াশিংটন পোস্ট ও  ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের ১৩ জন সাংবাদিককে বহিষ্কার করা হল।

১৯ মার্চ—ডাঃ লি ওয়েনলিয়াংকে অবরুদ্ধ করে রাখার জন্য তাঁর পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইল উহান পাবলিক সিকিউরিটি।

২২ মার্চ—চিনা কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ন্ত্রিত ‘গ্লোবাল টাইমস’এ দাবি করা হল ভাইরাসের জন্ম ইতালিতে।

 

 

 

 

[ ক্রমশ]

 

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত