নীল পিরামিড
সন্দেশ বাক্সের নীল পিরামিডে
লিবিডো জীবন ধূম মেরে কফি হয়
নেটের ছেঁড়া তার ব্রা জীবনের সুতো
ওদিকে ছিঁড়ে এদিকে বাড়ে
আমি গাল ঘসি মকরধ্বজের সন্ধ্যায়
চিরুনি তল্লাশিতে উকুনের সন্ধানে
দু একটা ময়ূররাত্রি ফ্রীজে বন্দী জীবনে
চিতপাত হয়ে আবীর সকাল চায়।
কথাদের গর্ভ বাড়ে শুধু শব্দের শুক্রাণুতে
শেষে একটা বিকলাঙ্গ অনর্থ জন্ম।
চাপাটি রোদের কথকতা
তন্দুরী মাংসের থালায় হা হয়ে
রোজ স্খলনের বিকেল চাটে।
পতনের শব্দ এতদূর থেকে ক্ষীণ কানে আসে।
কাহানী
হাতের তালব্য শ জমে থাকা ঘাম
ইচ্ছে বিন্দুর তড়িৎ জ্বালায় নববর্ষের ভিনিগারে
টমাটোসসের সব রস উপচায়
বিন্দু বিসর্গ খোঁজে
পুরানো ছাতা ধুলোবালি মেখে
ভেজা বর্ষার অপেক্ষায়
জারুলের বনে জীবনানন্দ।
সাঁকো অন্বেষণে বাঁধ। চাঁদের জোছনায়
মরা শ্যাওলার সবুজ ফোঁটাফোঁটা দীপ্তি পায়
তুমি ফেলে আসো তোমার গণিকা জীবন
হাতের থামের চপ্পলে।
আমাদের বাগানেও সূর্য ওঠে
আমাদের তরল নদীর বুকের কাছে
যেখানে পা ভাঙ্গা ঘাট পরপুরুষের
অনেক কাহানী বলে শুনশান দম নেয়।
কবিতার বসত ঘরে
আপনি কি জানেন আমি কবিতার ভ্রূণতেলে
মাছ ভাজতে আসিনি।
আমি কবিতার ছায়াও মাড়াই না
কেয়ারও করি না।সৎ বা অসৎ উদ্দেশ্য নেই।
আমি চাটুকার বসন্ত প্রেমিক না
আমি প্রেমের ব্যাপারে শিয়ালের কুমীর ছানা।
আমি শব্দশ্রমিক ব্যস ঐ পর্যন্তই।
পিউবার্টির বয়স থেকেই প্রতিটি ঘর্ষণে
আমার রাহুমুক্তি ঘটে
আমার পেছন উল্টিয়ে সব শব্দচেতনা কে
বুকে বন্দী করি, আর ঢেলে দি আমার
অন্নপ্রাশনের থালায়।
শালা বেজন্মাটা কুকুরের ল্যাজে প্যাচ তুলছে কত
গাল দি আর মনের ঝাল তুলি।
বৈষ্ণবীর আঁচলের খুঁটে আমিষ প্রেম রেখে আসি যতো
বৈষ্ণবীও বটবৃক্ষে সুতো পাথর ঝোলায়।
ফ্রয়েড সমুদ্রে হারিয়ে যেতে যেতে
বিটোফেনের ফেনিল মূর্ছনা
আমাকে সন্তরনের নানান কৌশল শেখায়।
আমি এখন ধী-বক,সী-বকের চেয়ে
দশ কদম আগে…।
একটা সময় অবধি সায়েন্সের ছাত্র।দূরসঞ্চার বিভাগে কর্মজীবন শুরু টেলিগ্রাফিস্ট হিসেবে। জুনিয়র ইন্জিনিয়ার পদেও কিছু বছর। বর্তমানে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থায় (ভারত সরকারের) Accounts Officer হিসেবে কর্মরত।জীবন ও জীবিকার ভাঙ্গাগড়া অনেক দেখেছি।আমার ভেতরে তাই বয়ে চলে সাহিত্য নদীর ধারা অনবরত। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত অনেক লেখা।এই লেখার টানেই কবিতাকে নিয়ে চলে যাবো নগ্ন নির্জন দ্বীপে—এই আমার শখ।জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা শিলিগুড়ি শহরে, বর্তমান কর্মস্থল কলকাতা।