উৎসব সংখ্যা বিশেষ রচনা: কবির প্রতিবাদ ও প্রেম : শঙ্খ ঘোষ । ইন্দ্রাণী বিশ্বাস মণ্ডল
একজন বিশিষ্ট রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞের নাম চিত্তপ্রিয় ঘোষ । যাঁকে আমরা সবাই শঙ্খ ঘোষ নামে চিনি। জন্ম যাঁর ৬ ফেব্রুয়ারী, ১৯৩২ অবিভক্ত বাংলার চাঁদপুরে তাঁর মামারবাড়িতে। তিনি দুই বাংলার বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্য সমালোচক। ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন যে কাব্যটির জন্য তার নাম ‘বাবরের প্রার্থনা’। কবিতার নামকরণের মধ্যেই চিনিয়ে দেন তাঁর স্বকীয়তা।
সমকালীন বাংলা কবিতার জগতে তিনি এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। শিশু সাহিত্যেও তাঁর সহজ বিচরণ আমাদের মুগ্ধ করে। তবে রবীন্দ্রভাবধারার কবি হলেও তাঁর কবিতা স্বতন্ত্রতার দাবি রাখে । ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে দিনগুলি রাতগুলি তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ। পরবর্তী ‘নিহিত পাতাল ছায়া’, মূর্খ বড় সামাজিক নয়’ (১৯৭৬),‘বাবরের প্রার্থনা’ (১৯৭৬), ‘গন্ধর্ব কবিতাগুচ্ছ’ (১৯৯৪) প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থ তাঁর প্রতিভার স্বাক্ষর বহন করে ।
শুধুমাত্র কাব্যগ্রন্থ রচনাতেই নয় বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক ঘটনায় নিয়মিত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি। প্রয়োজন সাধারণ মানুষের সাথে পায়ে পা মিলিয়ে পথে নেমে প্রতিবাদে ঝড় তুলেছেন। তিনি মানুষকে যেন ‘শিকড় দিয়ে আঁকড়ে’ আছেন। তিনি একজন প্রতিবাদের মুখ। বারেবারে সামাজিক সংকটে তিনি সাড়া দিচ্ছেন। তাঁর কবিত্ব সত্তার মধ্যে প্রেম ও প্রতিবাদ বেঁধে বেঁধে থেকেছে।
ড: শিশির দাশ লিখেছেন, ‘শঙ্খ ঘোষের কাব্যের মধ্যে দুটি ধারা পাশাপাশি প্রাবহিত, একটি আত্মমুখী নির্জনতা সন্ধানী ব্যক্তিসত্তার আত্মকথা সংকেতময় ভাষায় ও প্রতিমায়, মৃদুকোমল ছন্দস্পন্দে অনুত্তেজিত কণ্ঠস্বরে এই কাব্যধারা বিশিষ্ট; অন্যধারাটি চারপাশের জগতের অসঙ্গতি, সমাজের বৈষম্য ও অমানবিকতার প্রতিক্রিয়ায় বিচলিত ও ক্রুদ্ধ এক ব্যক্তিমনের প্রতিবাদের ধারা, তা মূলত বিদ্রুপে ও ব্যঙ্গে, কখনো স্পষ্ট ও তীব্র, কখনো বেদনায় ও যন্ত্রণায় গম্ভীর’।
কাব্যধারা দুটি সমান্তরালভাবে তাঁর কাব্যকালে প্রকাশিত। কবির কবিতায় আমরা স্পষ্টতই প্রত্যক্ষ করি ব্যক্তি কবিতা ও সমাজ-কবিতা। যেমন ব্যক্তি-কবিতা হিসেবে বলা যায় এই কবিতাটি—
‘‘মাথায় উধাও দিন হাতের কোটরে লিপ্ত রাত
কীভাবে বা আশা করো মন বুঝে নেবে অন্যলোকে
সমস্ত শরীর জুড়ে নবীনতা জাগেনি কখনো।’’
(‘আদি গুল্মময়’ কাব্যগ্রন্থ)
‘‘অথবা দেখা যেতে পারে ‘ নিহিত পাতাল ছায়া’ কাব্যগ্রন্থের কবিতা দুটি।– ‘‘কর্মে ছিল অধিকার, আমাকে কি সমর্পন সাজে?’ (‘যখন প্রহর শান্ত’)
আবার ব্যক্তিগত ভাষায় আচ্ছন্ন কবি—
‘তোমার অনেক দেওয়া হলো/ আমার সমস্ত দেওয়া বাকি।’ (‘মিথ্যে’)
কবি শঙ্খ ঘোষের সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি একজন সমাজকবি। সমাজের থেকে মুখ ফিরিয়ে শুধু কাব্যচর্চায় মন দিতে তিনি পারেননি। তাই তাঁর কবিতায় সামাজিক বিষয় একটি বড় জায়গা করে নেয়। যখন তিনি বলেন, ‘লজ্জা’ কবিতায়—
বাবুদের লজ্জা হলো
আমি যে কুড়িয়ে খাব
সেটা ঠিক সইল না আর
আজ তাই ধর্মাবতার
আমি এই জেল হাজতে
দেখে নিই শঠ্যে শঠে ।
এই সমাজের প্রতিফলন পাই ‘ভিখিরির আবার পছন্দ’ কবিতায়—
‘কেটে যাবে দিন আনন্দে
ভাসমান সব বাসিন্দার।
জীবন তো একই কাসুন্দি
ভিখিরির আবার পছন্দ’!
(‘মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে’ কাব্যগ্রন্থ)
তাঁর কবিতায় বাস্তবচিত্র আমাদের স্তব্ধ করে—
‘মন্ত্রীমশাই আসবেন আজ বিকেলবেলায়। সকাল থেকে
অনেকরকম বাদ্যিবাদন, পুলিশবাহার।
আমরাও সব যে-যার মত জাপটে আছি
ঘরখোয়ানো পথের সোনা।’
(‘মন্ত্রীমশাই’ কবিতা)
পঞ্চাশের অন্যতম কবি শঙ্খ ঘোষের কবিতার মৌন প্রবণতা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়েছেন সমালোচকরা। তাঁরা কেউ মনে করেন তাঁর যে কোনো ভালো কবিতা প্রেমের কবিতা। আবার আমরা এও দেখি দেশ জুড়ে কোনো অন্যায়, অবিচারে তিনি বারে বারে জ্বলে উঠেছেন। এ ব্যাপারে অশ্রুকুমার শিকদার বলেছেন, ‘দেশব্যাপী কোনো যন্ত্রণা, কোনো অন্যায়, কোনো অবিচার বারে বারে জ্বলে উঠেছে তাঁর হাতে কবিতার মুহূর্ত হয়ে’।
শঙ্খ ঘোষের কবিতায় প্রেম ও প্রতিবাদ দুটোই সত্য। স্বয়ং তিনি ‘নির্বাচিত প্রেমের কবিতা’ গ্রন্থের ভূমিকায় বলেছেন, ‘কোনো বন্ধু কখন বলেন যে, প্রেমের কবিতা আমি লিখিইনি কখনো, যে প্রস্তাবে আমার একটা সায়ই থাকে, অথচ প্রেম ছাড়াই বা লিখেছি আর কটা?’
যদি বলি শঙ্খ ঘোষের ‘দিনগুলি রাতগুলি’ কাব্যের এই কবিতাটি আদ্যন্ত প্রেমের কবিতা তাহলে কি কিছু ভুল বলা হবে?—
‘ক্ষীণায়ু এই জীবন আমার ছিল শুধুই আগলে রাখা
তোমার কোনো কাজেই লাগেনি তা—
পথের কোনে ভরসাহারা পড়ে ছিলাম সারাটাদিন:
আজ আমাকে গ্রহণ করো মিতা।
আর কিছু নয়, তোমার সূর্য আলো তোমার তোমরারই থাক
আমায় শুধিু একটু কবর দিয়ো
চাইনা আমি সবুজ ঘাসের ভরা নিবিড় ঢাকনাটুকু
মরা ঘাসেই মিলুক উত্তরীয়।
(‘কবর’ কবিতা)
এ যেন রবীন্দ্রনাথের ‘শ্যামা’ নৃত্যনাট্যের প্রেমিক উত্তীয়-র আর্তি ধরা পড়ে । যেখানে উত্তীয় শ্যামাকে বলছে—
‘তুমি জান নাই, মরমে আমার ঢেলেছ তোমার গান/
বিদায় নেবার সময় এবার হল/ প্রসন্ন মুখ তোলো, মুখ তোলো/
মধুর মরণে পূর্ণ করিয়া সঁপিয়া যাব প্রাণ।’
–কবির কাব্যের আর্তিতে রবিঠাকুরের সঙ্গীতের প্রতি অনুরাগ ঝরে পড়েছে।
শঙ্খ ঘোষের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘দিনগুলি রাতগুলি’ কাব্যের কবিতাগুলি ইভা-কে উৎসর্গ করেছেন। যেখানে পড়ি—
‘ধীরে আরো ধীরে সূর্য । উঠোনা উঠোনা। আবারও প্রভাত হয়ে পৃথিবী উন্মুক্ত হবে, রৌদ্র হবে ব্যাধের মতন। আমাকে জানবে তারা বড়ো। তার চেয়ে তমস্বিনী রাত্রি ভালো আজ, তামসীরে মেরো না মেরোনা’—
প্রিয় মানুষের জন্য তাঁর এই জাগরণ। মহা জাগতিক শক্তিকেও তিনি প্রলম্বিত তরতে চান। আবার ‘নিহিত পাতাল ছায়া’ কাব্যে কবির কণ্ঠে অভিমানী সুর।
‘আজ চুপ করে ভাগে, এই রাত মৃদু জল ঢেউ,
বড়ো একাকিনী গাছ, মাঝে-মাঝে কার কাছে যাব,
ঘুমায় ঘরের গায়ে ছায়াময় বাহিত প্রপাত,
বুকে খেলে যায় হাওয়া।’
(মধ্যরাত)
কিম্বা, ‘যখন প্রহর শান্ত’ কবিতায় দেখি এক কবিকে যিনি প্রেমের কাছে অভিমানী, নতজানু, একা—
‘যখন প্রহর শান্ত, মধ্যম, নিবিড়, আভাসিনী
সমস্ত ব্যসন কাম উজ্জ্বলতা ঘুমিয়ে পড়েছে
………………………….
বাহির দুয়ারে চাবি, আমি নতজানু একা
……………………………
কর্মে ছিল অধিকার, আমাকে কি সমর্পন সাজে?’
গীতার বাণী যেন আধুনিকতার মধ্যে দিয়ে ছুঁতে চেয়েছেন কবি।
শিশির পতন শব্দে নি:শব্দে উচ্চারণ যাঁর তিনিও কখনো প্রেমে প্রগলভ হয়ে ওঠেন। ‘প্রতিহিংসা’ কবিতার প্রেমিক কবির নিঃশব্দ বহিঃপ্রকাশ—
‘যুবতী কিছু জানে না, শুধু
প্রেমের কথা বলে
দেহ আমার সাজিয়েছিল
প্রাচীন বল্কলে।
আমিও পরিবর্তে তার
রেখেছি সব কথা
শরীর ভরে ঢেলে দিয়েছি
আগুন, প্রবণতা’।
প্রেমে প্রতিহিংসা নয়, অনুভব ছুঁয়ে যায় কবিকে।
‘আমি কেবল দেখেছি চোখ চেয়ে
হারিয়ে গেল স্বপ্নে দিশাহারা
শ্রাবণময় আকাশভাঙা চোখ।’ (‘শ্লোক’)
কবিতায় যেমন ছন্দ প্রাধান্য পেয়েছে তেমনি আছে গদ্যভাষা। উল্লেখ করেছেন গ্রাম ও শহরের সংস্কৃতির দ্বন্দ্ব, আধুনিক জীবনযাত্রা, দলীয় শাসন, দলতন্ত্র, বিকৃত জীবন, ভুখা মিছিল প্রভৃতি প্রেমের পাশাপাশি তাঁর কাব্যে স্থায়ী আসন করে নেয়। শঙ্খ ঘোষ এমনই এক আলোকবর্তিকা।
মানুষের মেরুদন্ডহীনতা কবিকে ব্যথিত করে। মনস্বী কবি শঙ্খ ঘোষ ‘বাবরের প্রার্থনা’ কবিতায় বলেছেন—
‘জাগাও শহরের প্রান্তে প্রান্তরে
ধূসর শূন্যের আজান গান;
পাথর করে দাও আমাকে নিশ্চল
আমার সন্ততি স্বপ্নে থাক।
সমাজের যে কোনো রকমের অবক্ষয় তাঁকে পীড়া দেন। যে কোনো সচেতন মানুষের মতো তিনি দৃঢ়ভাবে মত প্রকাশ করেন। ভূখা মিছিলের ওপর গুলি চালনার ফলে এক কিশোরীর মৃত্যু তাঁকে উদ্বেলিত করে। অদেখা সেই কিশোরী তাঁর যমুনাবতী হয়ে ওঠে। কবির কণ্ঠে ক্ষুধা, প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়। একমুঠো ভাতের জন্য হাহাকার মর্মস্পর্শী হয়ে ওঠে। শেষপর্যন্ত যমুনা বুকে বারুদ দিয়ে বাসর রচনা করে। আমরা কেঁপে উঠি কবির কাব্যিক বিন্যাসে।
‘নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে’।
……………….
হায় তোকে ভাত দিই কী করে যে ভাত দিই হায়
……………………
যমুনাবতী সরস্বতী কাল যমুনার বিয়ে
যমুনা তার বাসর রচে বারুদ বুকে দিয়ে
বিষের টোপর নিয়ে।’
শঙ্খ ঘোষ প্রতিবাদী কবি। কিছুটা বিদ্রুপ পরায়ণ। সংযত ভাষায় রাজনীতির নামে দলতন্ত্রের ভন্ডামির বিরুদ্ধে মুখর হয়েছেন। সমস্ত ক্ষতের প্রতি তাঁর হাহাকার। শক্তিহীন মানুষ ‘হেতালের লাঠি’ হাতেও প্রতিরোধ গড়তে পারে না । কিন্তু সংযত স্বরভঙ্গিমায় সমাজে অন্যায়ের প্রতি তিনি বিদ্রুপ করে বলেছেন—
‘আমি তো আমার শপথ রেখেছি/ অক্ষরে অক্ষরে
যারা প্রতিবাদী, তাদের জীবন দিয়েছি/ নরক করে।’
(‘স-বিনয় নিবেদন’)
‘খেলা’ কবিতাটি এ প্রসঙ্গে লক্ষনীয়—
‘যারা আমাকে অপমান করেছে/ যারা আমাকে ভুল
বুঝেছে/ এমনকী যারা আমাকে ভুল বুঝিয়েছে/ সবাই আজ
একসঙ্গে এসে বসেছে গ্যালারিতে/ কোন্ খেলা এবার খেলব
তারা দেখবে’। (‘জলই পাষাণ হয়ে আছে’ কাব্যগ্রন্থ)
সমাজ সচেতন ও প্রতিবাদী কবি শঙ্খ ঘোষ বিশ্বব্যাপী শোষিত, অত্যাচারিত মানুষকে সংঘবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন তাঁর, ‘জলই পাষাণ হয়ে আছে’ কাব্যগ্রন্থের ‘আয় আরও বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের একজন উল্লেখযোগ্য কবি শঙ্খ ঘোষের কবিতার মধ্যে সমকালীন সমাজকে আমরা খুঁজে পাই। রাজনৈতিক অস্থিরতায় মানুষ আজ পথহারা, গৃহহারা। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধ্বংসের মুখোমুখি।
‘আমাদের মাথায় বোমারু
পায়ে পায়ে হিমানীর বাঁধ
আমাদের পথ নেই কোনো,
আমাদের ঘর গেছে উড়ে।’
কবি বলেছেন আমাদের সৃষ্টি ও সংস্কৃতি অন্যের পায়ে সমর্পন করে ফেলেছি পরের দাসত্ব করতে গিয়ে। অন্যের চাপিয়ে দেওয়া ইতিহাস গ্রহণ করেছি নিজেদের ঐতিহ্যকে ভুলে। ফলত: আমরা বেঁচে থাকার আড়ালে ভিখারিবৃত্তি করে যাচ্ছি। কবির ভাষায়—
‘আমাদের ইতিহাস নেই
অথবা এমনই ইতিহাস
আমাদের চোখমুখ ঢাকা
আমরা ভিখারি বারোমাস।’
সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, ভূমি ও শিল্প বিতর্ক , ধর্ষণ ও হত্যায় ক্ষুব্ধ কবি, হতাশার বিষাদে মেশা কণ্ঠস্বর কিন্তু শেষপর্যন্ত ফিরে যান প্রেমের কাছেই। এই প্রৌঢ় কবির প্রেমানুভব দেশ-কালে মিশে যায়। থেকে যায় কিছু ব্যক্তিক অনুভব। কবি বলেন ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’র ভূমিকায়—
‘আমার ভয় কেবল এই যে সমস্তটা মিলিয়ে আদ্যন্ত একটিই যে নাটক গড়ে উঠবার কথা ছিল, আজও তার অবয়ব দেখতে পাই না স্পষ্ট। ‘বলা হয় না কিছু’ এখনও রয়ে গেল পুরোনো সেই নিষ্ফলতার বোধ।’
‘সকলে না, অনেকেই কথার ভিতরে কথা খোঁজে।
সহজের ভাষা তুমি ভুলে গেছ। এই বৃষ্টিজলে
এসো, স্নান করি।
জলের ভিতরে কত মুক্তি পথ আছে ভেবে দেখো।
……………………………….
তবে কি তোমার কোনো নিজস্ব গরিমা ভাষা নেই? কেন আজ
প্রত্যেক মুহূর্তে এত নিজের বিরুদ্ধে কথা বলো?’
(‘কথার ভিতরে কথা’)
হতাশার পরতে পরতে প্রেম জমা থাকে। জমা থাকে হৃদয়ের গভীরে।
সঙ্গীতশিল্পী,সাহিত্যিক।