২৭ বছর পর ফের পেনিওয়াইসের ফিরে আসা। সেই শহরে যেখানে কেউ থাকতে চাইলেই শুরু হয় বিপদ। ২০১৭-র ব্লকবাস্টার ইট-এর সিক্যুয়েল হিসেবে মুক্তি পেয়েছে ইট চ্যাপটার টু। এমন একটি সিনেমার সিক্যুয়েলের জন্য দর্শকরা মুখিয়ে থাকবেন, এটাই স্বাভাবিক। অপেক্ষাটা বেশি দীর্ঘ করেননি নির্মাতারা। দুই বছরের ব্যবধানে দর্শকদের সামনে নিয়ে এলেন নতুন ছবি। যার জেরে ফের একবার শিরদাঁড়ায় ঠান্ডা স্রোত।
১৯৮৬ সালে প্রকাশ পাওয়া স্টিফেন কিংয়ের উপন্যাস ‘ইট চ্যাপটার টু’- নিয়ে ছবিটি নির্মাণ করেছেন অ্যান্ডি মুশিয়েটি। প্রথম ছবি ‘ইট’-এর পরিচালকও তিনি। এবারের ছবিতে অভিনয় করেছেন জেমস ম্যাকাভয়, জেসিকা চ্যাস্টেইন, বিল হ্যাডার, জে রায়ান, অ্যান্ডি বিন প্রমুখ।
‘ছোট শহর ডেরিতে সত্যিকার অর্থে কেউ মারা যায় না’- রহস্যময় এক বৃদ্ধা ‘ইট চ্যাপটার টু’ চলচ্চিত্রের টিজারে এভাবেই বলছিলেন অভিনেত্রী জেসিকা চ্যাস্টেইনকে। এখানেই মূলত ডেরি শহরের ভৌতিক গল্প ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। উপন্যাসে সাত শিশুর কাহিনি বলা হয়েছে। যারা ডেরির ছোট্ট শহর মাইনেতে ২৭ বছর ধরে ভয়ংকর অতিপ্রাকৃত সত্তার সঙ্গে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। যে সত্তা শহরের বাসিন্দাদের ভয় দেখায়। এমনকী সে তার আকার, আকৃতি মুহূর্তে পরিবর্তনও করতে পারে। তবে পেনিওয়াইস নামে এক ক্লাউনের ছদ্মবেশই ছিল তার সবচেয়ে পছন্দের।
‘ইট’ ছবিতে প্রথমবার পেনিওয়াইসের সঙ্গে সাত শিশুর সাক্ষাৎ হয়। আর এবারের ‘চ্যাপটার টু’-তে সেই শিশুরাই বড় হয়েছে এবং তাঁরা তাঁদের ছেলেবেলার সে ভয়ংকর অভিজ্ঞতারই সম্মুখীন হয়েছে।
‘ইট’ কেবল দর্শকদের বুকেই কাঁপন ধরায়নি, কাঁপিয়েছে বক্স অফিসও। মুক্তির প্রথমদিনেই সর্বোচ্চ উদ্বোধনী আয়ের রেকর্ড গড়ে টানা দ্বিতীয় সপ্তাহেও হলিউড বক্স অফিসের শীর্ষস্থান ধরে রাখে ছবিটি। উদ্বোধনী দিনে এটি আয় করেছে রেকর্ড ৫ কোটি ৪ লাখ মার্কিন ডলার, যা হরর ছবির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এছাড়াও, মুক্তির প্রথম তিনদিনেই ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রে আয় করেছে ১২ কোটি ৩৪ লাখ মার্কিন ডলার। আর এতে করে ‘ইট’ ছাড়িয়ে গেছে অতীতের সব হরর ছবির রেকর্ডকে। ধারণা করা এর সিক্যিুয়েলও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখবে। গল্প বলার ধরন জটিল হলেও, সময় বেশি মনে হলেও, ছবিটি আপনাকে চেয়ার ছেড়ে উঠতে দেবে না।