আনুমানিক পঠনকাল: < 1 মিনিট
দেখতে আসি
তোমার গৃহে সাজানো গ্রহের পরিপাটি
নীল বৃক্ষের গায়ে ফুটে আছে পরমা প্রকৃতি, নীপধরিত্রী
ছায়ারোদ, বকুলসিদ্ধ আকাশিয়া সংসার, পবিত্র তট
বৃক্ষজগতের লতায় পাতায় আয়নার সুগন্ধ
জাদুনিখিলে কেমন ভানুপরাগ, মৃদু প্রদীপ
এই তবে মুরতি, তেপান্তরিী রাজকুমারীর
আঁচলে জড়ানো দর্পণে বিছানো মায়ার মুকুর
দেখি মুখ, নক্ষত্রের বাসবদত্তা।
মনে হয় চিনি বুঝি
বাল্যসখীর গড়ন, বেলোয়ারি মূর্ছনা
ডাকলে কাছে
কতো সহজে সহজিয়া বাউলে জড়ালে
একতারার সবুজ। গা ভরা শস্যসরল জীবন্ত গান্ধার
কেয়াপাতায় গড়া তটিনী কমল, অশ্রুশান্ত যজ্ঞের বিভা
পক্ষিরাজ বাতাসে উড়ছে পরানের শুকপাখি, কথা
মর্মর গানসঙ্গীত, দরিদ্রজামা পরা ফুলদীঘির ক্ষেত
কতো সকাল, কতো দুপুর পালকে লুকনো নিভৃত
অনাদি স্রোতের লণ্ঠন, পারুল প্রদেশের জলবায়ু
রূপালী আবহাওয়ায় মেদূর ক্রন্দনের শোভা
এই কোমল বনলোক ফেলে,
কেমনে অরণ্যে ফিরে যাবো, বলো
জন্ম ১৯৭২। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। বর্তমানে বসবাস কর্ণাটকের প্রত্যন্ত এক গ্রামে। ঈষৎ লাবডুব মেশানো তাঁর কবিতার বর্ণালী। হাওয়া এবং বাতাস দখিন কণিকার। স্বপ্নে পাওয়া দুরন্ত টুপটাপ। সেলাইবোনা সাধনার কলস উপচে। কখনো কলম বেদনার অধিক তরতাজা। লিরিকের দূরনিশান পেরিয়ে বৃদ্ধ মন্তাজ, কখনো তরুণ তুফানগ্রাম।এই লেখকের কাছে কবিতা একটি নিঝুমভুল! মাত্র বারো পংক্তির মুহূর্ত!