১৯৭১-এ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে স্পাই থ্রিলার ‘রোমিও আকবর ওয়াল্টার’। সত্য ঘটনা অবলম্বনেই সাজানো হয়েছে এ ছবির চিত্রনাট্য। ছবিতে নায়ক জন একজন গুপ্তচরের চরিত্রে রয়েছেন। কিন্তু তাঁকে দেখে সেই শিহরণ হবে না, যা গত বছর ‘রাজি’ ছবিতে আলিয়া ভাটকে দেখে হয়েছে। অথচ জন মাঝেসাঝেই ছবি জমিয়ে দেন। এই যেমন ‘সত্যমেব জয়তে’। কিন্তু এখানে যে পারলেন না, তার কারণ চিত্রনাট্যটি তরতর করে এগোয় না। সংলাপেও জোর নেই। তাই জন থেকে জ্যাকি বা মৌনী যাই বলুন, শেষ পর্যন্ত সবই পানসে ঠেকবে। যেহেতু স্পাই থ্রিলার, চিত্রনাট্যের পরতে-পরতে কিছু জমাটি টুইস্ট ছবিটিকে জমিয়ে দিতে পারত। কিন্তু এ ছবির টুইস্টগুলো প্রেডিক্টেবল। জনের সঙ্গে মৌনীর রসায়ন ঘন হওয়ারও সুযোগ দেয়নি চিত্রনাট্য।
ছবির প্রচারে জনের তিনটি লুক ব্যবহার করা হয়েছিল। এ ছবিতে জন রোমিও থেকে আকবর আবার আকবর থেকে ওয়াল্টার হয়ে ওঠেন। ঠিক কীভাবে, তা জানতে অবশ্য সিনেমাহলে যেতে হবে। কিন্তু ছবিটা অকারণে দীর্ঘ, ক্লাইম্যাক্সে পৌঁছনোর আগেই অধিকাংশ দর্শকের ধৈর্য চলে যাবে বলেই আন্দাজ। ছবির দু’টি গানে ইন্টারেস্টিং কিছু মুহূর্ত তৈরি করা যেত, কিন্তু সেদিক থেকেও এই ছবি ব্যর্থ।
বলিউডে ছবির নিরিখে নায়ক জনের শেষ তিন বছর চমকপ্রদ কিছু নয়। তবে ‘সত্যমেব জয়তে’ হিট হওয়ার কারণে এমন চর্চা শুরু হয়েছিল যে, নায়ক আরও একটি ইনিংস খেলতে পারেন। কিন্তু ‘র’ শেষে মনে হল জনের সাম্প্রতিক সময়ের অর্জনে যেন জল পড়ল।