আনুমানিক পঠনকাল: 2 মিনিট
কবিতার জন্ম
শুধু তো সময় নও তুমি;
বোধি বৃক্ষের মতো শাখা প্রশাখার বিস্তার তোমার।
সে ছায়ায় দণ্ডায়মান মানবকূল,
নিংড়ে নিচ্ছে একে অপরের নি:স্বতাটুকু প্রাণভরে।
তোমার পাতার ফাঁক দিয়ে যে বিব্রত রোদ গলে পড়ে,
সে রোদে জন্ম নেয় কোনো বোধ কখনো কখনো কোনো মনে।
আমি দূরত্ব রেখে অনুভব করি সে বোধ;
ছুঁতে চাই না, মানবজন্মে আমার ভয়।
আমি কবিতার জন্ম চাই।
সময়, বোধ, মানুষকে নিয়ে জন্ম হোক
একেকটা কবিতার, জঠর ফুঁড়ে।
আমি দূর থেকে পাঠ করব সেসব কবিতা উচ্চস্বরে।
সমুদ্র দেখব বলে
দাঁড়িয়ে আছি সমুদ্র দেখব বলে।
নিবিড় মেঘ পথ দেখালো
ভাঙনের দিকে; বিদ্যুৎ-এর
রেখায় ঝলসে গেলো যাবতীয়
সুখের রেখা। ঘুম থেকে জেগে
ওঠা অচেনা সকাল বসত গড়লো
সন্ধ্যের প্রান্তরে, প্রদীপের জ্বলন্ত বুকে।
কেঁপে উঠলো না পায়ের নীচে
জমতে থাকা বালির শহর।
তুমিই বলেছিলে না সমুদ্র দেখাবে?
ব্যথা না সঞ্জীবনী
কথারা জমতে থাকে
ভাঙা আরশির ধার দিয়ে;
সময় সরে যায় জানালার বাইরে।
কীভাবে বলব,
ব্যথা না সঞ্জীবনী?
কে যেন ছুঁয়ে যায়
ভেজা হাওয়ার অজুহাতে,
মিশে যায় দূরের ঐ নৈঋতে।
কীভাবে বলব,
ব্যথা না সঞ্জীবনী?
সম্ভবত
১
অস্থির মুখগুলো স্থান পায় ইতিহাসের গহ্বরে।
ভাবনাগুলো বহমান; সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে…
থেকেই যায় ধ্বংসের শেষ প্রহর পর্যন্ত;
চরিতার্থ হওয়ার উদ্দেশ্যে।
২
কোথাও আগুন নেই, আর্তনাদ নেই,
স্তব্ধতা নেই। তবে বুঝি এ পৃথিবী নয়;
অন্য কোন গ্রহ, সৃষ্টির সূচনাকাল।
পৃথিবীর ছায়ায় গ্রহণ লাগে যে উদযাপনে।
জন্ম এবং বেড়ে ওঠা পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলায়। ইংরাজী সাহিত্য নিয়ে স্নাতকোত্তর। বর্তমানে কলকাতা নিবাসী। প্রকাশিত একক কাব্যগ্রন্থ “অনাঘ্রাতা”(২০২১)।