উত্থানের উদয়চিত্র
সকল মৃত্যুর দেহান্তর হয় না। সকল প্রাণের থাকে না
ফিরে আসার প্রত্যয়।ঘাসের কার্পেটে যে প্রজাপতি ডানা
ছড়িয়ে থাকে- তার চেয়ে সুখী আর কোনও প্রাণই নেই
জগতে।পূর্বজনমে এই প্রজাপতি মানুষ ছিল, এমন ধারণা
বুকে নিয়েই যেদিন শীতলক্ষায় প্রথম নেমেছিলাম,সেদিনই
অনুভব করেছিলাম, সকল প্রাণের ফিরে আসার আকাঙ্খা
থাকে না। সকল উদয়, আকাশে খুঁজে না অস্তের নমিত
প্রণাম।
ভূমির বিপরীতে
ব্ল্যাকবোর্ডই আমার মুখ দেখার জায়গা আপাতত। আয়নার
অনুশীলন অনেক আগেই ভুলে গিয়ে আমি চুল আঁচড়েছি
সূর্যের আলোয়। মাটিতে কিংবা ভূমির বিপরীত সারিতে
আমার যে ছায়া পড়ে থাকে,তাকে সঙ্গে না নিয়েই এগিয়েছি
পথ থেকে পথে। সড়ক আমাকে সাথে নেয়’নি ঠিকই। আমিই
বদলে দিয়েছি সড়কের নাম লেখা হলুদ সাইনবোর্ড।
মন মহাশয়
আজ্ঞে, আমাকে ক্ষমা করে দিন! বলতে বলতে একটি
পাতা আমার সামনেই বৃক্ষ থেকে লুটিয়ে পড়লো। আমি
তাকে হাতে তুলে নিতে চাইলাম! সে আরও দূরে সরে
গিয়ে বললো, আমিতো আপনার মনের মতোই বৃক্ষে ঝুলে
থেকেছিলাম আজীবন।আর সেই একাকী ঘরান্তর মেনেই
এখন মিশে যেতে চাই মৃত্তিকায়।
পারঘাটাতত্ত্ব
আরেকটি গান লিখে যেতে চাই। আরেকটি গানের কলিতে
রেখে যেতে চাই জীবনের শেষ হস্তছাপ। কিছু দাগ উড়ন্ত
থাকে জেনেই আকাশ ও মাটির মাঝখানে নির্মাণ করেতে
চাই একটি কুঠুরিমহল।তারপর মদন মাঝিকে হাঁক দিয়ে
বলতে চাই; পার করে দাও হে! অনেক কাল ঘাটে পড়ে
আছি !
বিনয়ী বিষাদ
হাসতে মানা করে’নি কেউ।তবু হাসি! আসি আসি করে
যে বর্ষা কাছে আসে’নি, তাকে বলে দিই- এই স্থাবর বিষাদ
তোমার নয়। আমিই থাকি তাকে নিয়ে। তার সাথে যে বিনয়ী
আদান আমার- তা এই জগতের কোনো মানুষই জানে না।
জানার দরকারও মনে করে’নি কোনোদিন! অনেক কিছুই অলিখিত
রেখে যে নদী ঢেউয়ের সাম্রাজ্য সাজায়, তার কাছে তো হিসেব
চায়’নি কখনও কেউ!
কবি, প্রাবন্ধিক,গল্পকার।
প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা-২২। তার লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে বিভিন্ন মিডিয়ায়।
স্থায়ীভাবে বসবাস করেন নিউইয়র্কে।