আজ ২৫ ডিসেম্বর কবি দীপ্তি চক্রবর্তীর শুভ জন্মতিথি। ইরাবতী পরিবার কবিকে জানায় শুভেচ্ছা ও নিরন্তর শুভকামনা।
সময়ের কলমে
সমতলে অপ্রত্যাশিত বরফের গান
নতুনর নাও বেয়ে ভেসে যায় জীবন কথা
একটা বেদনার স্মরলিপিতে সুখের কথা
লেখার চেষ্টায় কাটে নীরব রাত
নীতিকথার আলেখ্য প্রকট হতে থাকে
স্ট্রিট লাইট ও বিচ্ছুরিত আলোক রেখায়
লাফিং ক্লাবে অবসর যাপন আজ
নিত্য দিনের ফ্যাশন পর্যায়
ব্লকিং এর আড়ালে যেটুকু পাপ ছিলো
ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেছে আগামী শ্রাবণে
বুনো খরগোশ হয়ে কান দিয়ে চোখ চাপা দিতে
বিস্মরণের অজুহাতে স্মৃতিভ্রংশতা আসে
সময় মেলে নির্দিষ্ট ঠিকানায় তার
কালি কলম সাথে নিয়ে
উপকন্ঠ
মনকেমনের চৈতি বিকেলে পাহাড়িয়া সংগীত
ক্ষনিকের জন্য আসে
নিমেষে উচ্ছলতার ঝর্না নিয়ে
সমতলের জটিলতার সীমা ছাড়াই
অনুজ শব্দের গতিপথে
রামধনু আবেশে ব্যস্ত প্রেমকথায়
পৃথিবীর কক্ষপথে যোগ হয়
একেকটি রঙ্গিন পালকের অঙ্গবাহার
দূরের বরফে পূর্ন চাঁদের স্নিগ্ধ বিচ্ছুরণ
সূচনা করে নতুন এক দিনলিপি
বর্ণমালা
মনখারাপ সরে গেলে
জীবনের দ্বিতীয় পর্যায়ের নাম যদিনিঃস্বতা রাখি
মৌসুমী বৃষ্টিতে স্নান সেরে
পলাশের রঙে রাঙিয়ে নিতে হয়
ফেলে আসা যৌবনের প্রতিচ্ছবি
বিক্রিত ফুলের গন্ধে সাজে নাচঘর ও
এলোমেলো সন্ধ্যা
যদিও স্বর্গ ও পৃথিবীর তফাৎ
আমার জানা নেই
মেয়েবেলা ও ডাক
আড়ষ্ট শূন্যতাকে সঞ্চয় করি কাব্যে
পাহাড়ের বুকে ঘুন ধরা স্মৃতি লালন করে
সমতলের মুষ্টিকয় সেনাপতি
পুরানো খাতা ঘেঁটে সংগ্রহে রাখি
মেয়েবেলার ডাকটিকিট
নির্দিষ্ট দিনের গল্পে আরেকটি পালক জুটবে
যদি তোমার বিরহের পরশ এসে টোকা দেয়
কোনো এক ব্যস্ত বিকেলের সদর দরজায়