| 6 অক্টোবর 2024
Categories
জীবন যাপন

ভালো থাকার চাবিকাঠি আপনার হাতের মুঠোতেই

আনুমানিক পঠনকাল: 2 মিনিট

রবিবার সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে নানান তত্ত্ব। কেন এরকম কেরিয়ারের মধ্যগগনে তিনি এরকম সিদ্ধান্ত নিলেন, কেনই বা কেউ আগে তাঁকে কিছু বোঝালো না, সুশান্তের প্রেমজীবন…ঘাঁটার জন্য অবশিষ্ট আর কিছু রাখেননি কেউ। মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও যে নজর দেওয়া প্রয়োজন একথা যেমন সকলেই আলোচনায় তুলে আনছেন তেমনই অনেকে প্রস্তাব দিচ্ছেন আমাকে ফোন করে মন খুলে কথা বলুন।

কিডনির জটিল সমস্যা যেমন শুধুমাত্র প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বললে সারে না তেমনই ডিপ্রেশনও কিন্তু শুধু সান্ত্বনায় সারে না। প্রয়োজন হয় চিকিৎসকের পরামর্শ। এখন আমরা যে সময়ে এসে দাঁড়িয়েছি, যেখানে বিশ্বাস শব্দটাই এখন আলগা হতে বসেছে। সেখানে হঠাৎ করে কেউ কেনই বা আপনাকে মনের কথা খুলে বলতে যাবে- এই প্রশ্নটা নিজেকেই করুন।

এই লকডাউনে প্রচুর মানুষ আছেন যাঁরা দেশের মানুষ খেতে পারছেন না বলে দুঃখ করেছেন। বোঝানোর চেষ্টা করছেন নিজেরাও খুব খারাপ আছেন। আর তাই যিনি রান্না বা নিজের গানের কোনও ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে ভালো থাকার চেষ্টা করেছেন তাঁকেও বাঁকা কথা শুনিয়ে দমিয়ে দেওয়ার অনেক চেষ্টাই চলেছে। প্রথমেই যেটা দরকার তা হল নিজেকে ভালোবাসার। ভালো থাকার চাবিকাঠি কিন্তু আমাদের হাতেই থাকে, নিজেরা ভালো থাকলে তবেই অপরকে ভালো রাখতে পারা যায়।

নিজেকে প্রশ্ন করুন আপনি সুখী কিনা এবং এই সুখ বজায় রাখতে গেলে আপনাকে কি কি করতে হবে। আপনার জীবনযাপন হবে নিজের সুখের জন্য, অন্য কাউকে দুঃখ দেওয়ার জন্য নয়। নিজের জীবনে সুখ খুঁজতে গেলে যে যে বিষয় গুলির উপর জোর দেবেন…

১. নিজেই বোঝার চেষ্টা করুন… আপনার সুখী থাকার মন্ত্র। কেউ ছবি এঁকে খুশি। কেউ গান গেয়ে। হতেই পারে আপনি হয়তো ফটোগ্রাফিতে খুশি। অতএব কাউকে নকল করে খুশি থাকার চেষ্টা করবেন না।

২. খানা কলম নিয়ে বসে একটা তালিকা বানান। কি কি কাজ আপনি করতে চাইছেন, বা আপনার কি কি ইচ্ছে রয়েছে। ইচ্ছেপূরণের দিকে নিজের মত করে প্রস্তুতি নেোয়া শুরু করুন।

৩. জীবনে মানুষ বাছতে শিখুন। যাঁরা অযথাই আপনাকে লেগপুলিং করে, আপনার স্বপ্নের কথা শুনে হাসে কিংবা হোয়্যাটসঅ্যাপে জ্ঞানের ঝুড়ি খুলে বসে তাঁদের ঝেঁটিয়ে বিদেয় করুন। সে বন্ধু, আত্মীয়, শিক্ষক যে কেউ হতে পারে।

৪. যাঁরা আপনাকে সাহস দেবে, সুপরামর্শ দেবে কিংবা- কাঁধে হাত রেখে বলবে,’হ্যাঁ ভাই তুই এগিয়ে যা’… এরকম মানুষের সংস্পর্শে থাকার চেষ্টা করুন।

৫. আপনার কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা তা আপনি নিজে যত ভালো বুঝতে পারবেন, অন্য কেউ তা পারবে না। কারণ সবসময় মানুষকে দেখে বোঝা যায় না তার মনে কি চলছে। তাই কোনও সমস্যা হলে আগে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন এক্ষেত্রে আত্মমর্যাদাকে সিংহাসনে তুলে রাখাই ভালো।

৬. প্রতিদিন ব্যস্ততার ফাঁকে নিজের জন্য কিছু সময় রাখুন। যে সময়টায় আপনি নিজের জন্য ভাববেন। নিজের জীবনে কী করতে পারেন সেই দিকে ফোকাস রাখবেন।

৭. মাঝেমধ্যে নিজেকেই ট্রিট দিন। নিজের জন্য রান্না করুন, শপিংয়ে যান, গাড়ি থাকলে লং ড্রাইভে বেরিয়ে পড়ুন, স্পা করান… যা খুশি।

৮. নিজের মধ্যো ভালো অভ্যেস গড়ে তুলুন। প্রতিদিন অর্ডার না করে বরং বাড়ির খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। যার পুষ্টিমূল্য অনেক বেশি। স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকুন। ওবেসিটি কিন্তু ডিপ্রেশনের লক্ষণ। সময় পেলে হাঁটতে যান। কিংবা সাঁতার কাটুন বা জিম… যা আপনার সুবিধে।

৯. আমরা সকলেই সুখ-কে দাবি করতে পারি। কারণ সুখী যেভাবে থাকা যায় তা আমাদের নাগালের মধ্যেই থাকে। তাই প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজেকে বলুন আমি সুখী, উইশ লিস্টে যা যা আছে সেগুলো পূরণ করতেই হবে।

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত