১
বাতাসের কি দাপট তোমার ভেতর-বাহির বিনা বাধায় আসা-যাওয়া করে
তুমি বাতাসের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করে আমাকে ক্ষমতা দেখাও !
২
শোকাচ্ছন্ন সময়ে কি করে করো হে ঠাকুর মন্ত্রোচ্চারণ
শব্দের যাতনা সয়েছি খুব তবু করিনি বারণ।
৩
নটরাজ কি করে বোঝো মঞ্চসাঁজ
রাষ্ট্র সংঘে মানুষ খেলায় যুদ্ধবাজ।
৪
সর্ব রঙের বিষ সয়ে মন হয়েছে সাদা
গুনপোকায় বাঁশি খেলো সুর তরতাজা।
৫
মনে রেখো কমরেড সব শব্দের আওয়াজ নাই
সম্মিলিত নিরবতার গুমোটে ভিসুভিয়াস জন্মায়।
৬
দু’চোখ যেদিকে যায় দেখি অবুঝ সবুজ
সবুজের নির্মোহে পতঙ্গও আশ্রয় খোঁজে।
৭
ক্ষেপা তোর রুদ্রপথে বিচুলি কাটার মালা
কাটার ভয়ে পিছু হটিস যদি পাবি বিষজ্বালা!
৮
রূপের জৌলুষে কাছে ডাকে পপিফুল
বিরহী মধুকরী মধুকূপ ভেবে হয় আকুল।
৯
অতো কাছে এসোনা সখা পুড়ে অঙ্গার হবে
অতো দূরে যেয়ো না সখি ঠান্ডায় জমে যাবে।
১০
তর্জন গর্জনে হয়নি কিছুই অর্জন
সাধনসঙ্গিনী কোথা পাবো নিরঞ্জন?
১১
গৃহবন্দী নরনারী করে কথা-কাটাকাটি
মনের দুঃখে গানকরে খাঁচাবন্দী পাখি।
১২
ষোড়শী সাগর রাণী ডাকছে ঝাউবনে লুকাতে
হিংসুটে যুবক ঈর্ষায় চশমাটা দেয়নি ফিরিয়ে।
১৩
হিমশীতল কাতর চোখে নির্বাক-ধূসর যাত্রা
বুকে বাজে মিষ্টিমুখ পুষ্পিত ঠোঁট হাসিমাখা।
১৪
ঈশ্বরীর স্বপ্নরাজ্যের সূচি সূচিকরেরা লুটেরা স্বেচ্ছাচারী মিথ্যাবাদী
ঈশ্বরীর যাদুমন্ত্রে সুমতি হোক তাদের ,মানুষ না হোক নৈরাজ্যবাদী।
১৫
প্রেমের টানে উৎফুল্ল জনতা বার্লিন প্রাচীর ভাংলো
একি সময়ে পল্টনের লালবাড়িতে প্রাচীর উঠলো।
১৬
মাংসকেশি আম্ররসে আসক্ত মির্জা গালিব
আলিকার দ্রবণরসের মাতোয়ারা মানিক।
১৭
মধুমাসের মধুজলে ভিজুক মনের অতল
পবন হাওয়ায় খুলুক মন মানুষের আগল।
১৮
চর্মচোখে নয় রুহানি চোখে দেখো একবার
বুকের কলবে আমায় খোঁজে পাবে বারবার।
১৯
ঠুস করে খসে পড়ে জীবনের সুখ
পলেপলে জমাহয় জীবনের দুঃখ।
২০
ক্রমাগত আলোকিত অন্ধকারের দিকে ধাবমান জীবন
কৃষ্ণগহ্বরটি আলোকায়নে অধীর আগ্রহে অপেক্ষমাণ।
কবি, শিশুতোষ লেখ, নব্বুইয়ের নির্যাতিত ছাত্রনেতা, কক্সবাজার, বাংলাদেশ।
প্রকাশিত গ্রন্থ
কবিতা
১-গহীনে দ্রোহ নীল
২-শুভ্রতার কলঙ্ক মুখস্ত করেছি
৩-নৈনিতালের দিন
শিশুতোষ গল্প
১-বন বিহঙ্গের কথা
২-ইরাবতী ও কালাদান
সম্পাদক
গরান (ছোট কাগজ)
তড়িৎ বার্তা[email protected]