আগন্তুক নই
ছেয়েছে আকাশ মোষে মোষে
শিঙে ফুঁড়ছে সতিচ্ছেদ,
খুলে যাবে কিছুক্ষণে বৃষ্টির নাভি;
শরীরের মধ্যে কামড়াকামড়ি
বমি বমি ভাব,
জ্বর নেই, তাপ নেই
কাঁপছে গো পালংকে –
মোচড়ে বাহারি বেডশিট,
কোমরের জলছাপ
আমি যে,
ডিগবাজির কৈতর
আয় আয় বলো গো আরও একবার
কাঁটা
বৃষ্টি নয়…
বলো কাঁটা
আমার পিঠ ফুঁড়ে
খেঁজুরের কাঁটা –
শূলে সারাশরীর ব্যথা করে
কান্না আসে,কাঁদতে পারি না;
টিনের চালে বেরহম বৃষ্টি ঝরা
ছাদে পাংখার মতো
ব্যাঙ মাছের দু’হাত খেলিয়ে
নাদুসনুদুস নিতম্ব দোলাও
পতন্মুখী বীর্য পায়ে মাড়িয়ে –
নাভিতে ভরাও কারো গোপন চোখ
আঁধার ঘরে যে আমি
উবু হয়ে,
খোঁজখবর নিলে না!
স্মৃতিগলি
হৃদপুকুরে সবুজে ক্ষুদেপানায়
মজজুবে রোদের দড়ি বেয়ে
নামছে হাঁসের ছানা –
ঠোঁটেঠোঁটে গিলে
আর ডুব দেয়,
তুলতুলে পাখা ঝাপটায়
স্নানের শেষে ডাকাডাকি করে,
হেঁটে পার হয় অমরণী ঘেরা
পুরনো ভিটেমাটি
তোমার দোরে
তোমার দোরে চাপাকান্নার শ্বাস
আছড়ে পড়া বৈমানিক রোদে
অপরূপ ধ্বসে যাওয়া –
অনিন্দ্য চুমুকামের ইমারত ;
সাদা কাগজের ব্যাকুলতায়
ভিখিরির মতো ঘুরবো
ভ্রমরে তোমার বেডশিটে
রিমঝিম একটা দুপুর
নিজেদের করে নিয়েছ,
আমার আবিরমাখা তরমুজের
ভগ্ন হৃদয়ে,
অশ্রুস্নাত গোলাপ
আজো তোমার নাকের ঢঙ
পাটিপাতার ঝোপে সৌভিক সুষমা ;
.
