ইতিহাসের পাতায় থাকা পাঙ্খার দিনগুলি । মাহবুব আলম
পাঙ্খা মানে পাখা। পাখা একসময় তালের পাতা থেকে তৈরি বহনযোগ্য পাখার সমার্থক হয়ে যায়। কিন্তু ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে পাঙ্খা বলতে বোঝাত ছাদ থেকে ঝোলানো একটি বিরাট আকারের টানা পাখাকে। এ পাখা ছাদে আটকানো থাকে এবং এর সঙ্গে দুটো দড়ি লাগানো থাকে; একজন মানুষ এই দড়ি টেনে পাখাটিকে দোলাতেন। সাধারণত গ্রীষ্মকালে ও আর্দ্র আবহাওয়ায় এ পাখা বাংলায় ব্যবহার করা হতো। এ পাখার আবিষ্কার বেশ আগে, প্রচলিত আছে অষ্টম শতকে মধ্যপ্রাচ্যের আরবরা এমন পাখা তৈরি করেছিল। তবে বাংলা ও ভারতের বিভিন্ন এলাকায় এ পাখার ব্যবহার শুরু হয়েছিল আঠারো শতকের শেষভাগে।
ব্রিটিশ ভারতে টানা পাঙ্খার যাত্রা শুরু কলকাতায়, ১৭৯০ খ্রিস্টাব্দে। বাংলা ও ভারতের বিভিন্ন অংশে প্রায় সব সরকারি দপ্তর এবং ধনীদের বাসায় এ পাখা ব্যবহার হতো। ব্রিটিশরা চলে যাওয়ার পরে পাখার ব্যবহারও হ্রাস পায়। বাংলাদেশের কিছু এলাকায় সত্তরের দশক পর্যন্ত এ পাখার ব্যবহার অব্যাহত ছিল।
অনেকের ধারণা, এই ঝুলন টানা পাখা এ অঞ্চলের স্থানীয় আবিষ্কার। পারস্যের চাকা বা চরকার মতো ঝুলন পাখা ভারতের সীমানার বাইরে থেকে আসেনি। অ্যাংলো-ভারতীয় শব্দের অপ্রতিদ্বন্দ্বী অভিধান হবসন-জবসনে টানা পাখার কাকতালীয় আবিষ্কারের কথা জানা যায়। এতে বলা হয়েছে, একবার এক সরকারি দপ্তরের কেরানি একটি টেবিল ক্লথ ঝুলিয়ে রেখেছিল। সেটা নাড়া লাগার পর বেশ একঝলক বাতাস বয়ে যায়। এ ঘটনা থেকেই ঝুলন পাঙ্খা আবিষ্কার হয়। কিন্তু বাংলাপিডিয়ায় (এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ, ২০০৩) পাঙ্খা আবিষ্কারের কৃতিত্ব মোগলদের দেয়া হয়েছে। তবে মোগলদের মধ্যে এ পাখার ব্যবহার জনপ্রিয় ছিল না। বাংলা কিংবা ভারতে পাখার ব্যবহার শুরুর নির্দিষ্ট দিনক্ষণ বলা মুশকিল। মেমসাহেবদের (ঔপনিবেশিক ভারতে ব্রিটিশ ও ইউরোপীয় নারীরা) স্মৃতিকথা, জার্নাল ও চিঠিপত্র থেকে এটা ধারণা করা যায় যে, বাংলায় পাখার আবির্ভাব হয়েছিল ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দের পরবর্তী সময়ে। ফ্লেমিশ চিত্রকর সলবিন কলকাতায় তার বাসস্থানে থাকা পাখার কথা স্মরণ করেছেন। সলবিনের বয়ান থেকে রবার্ট জে হার্ডগ্রেভ জুনিয়র সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, বাংলায় পাখা ব্যবহার শুরু হয়েছিল ১৭৮০ থেকে ১৭৯০-এর মধ্যে।
বেঙ্গল ফ্যানি পার্কস ২৬ বছর (১৮৫০) উত্তর ভারতে বসবাস ও ভ্রমণ করেছিলেন। তিনি তার সময়ে ব্যবহূত পাখার জীবন্ত বিবরণ দিয়ে গেছেন। তিনি পাখাকে ‘বিলাস ও চমত্কার’ জিনিস বলে উল্লেখ করেছেন। ১৮৩১ সালের মার্চে ফ্যানি পার্কস তার জার্নালে লিখেছেন, এ পাখার অনেকগুলো চিত্রিত ও গিলটি করা। পাখার দড়ি সিল্ক দিয়ে ঘেরা থাকে। ফ্যানি আরো জানিয়েছেন, উত্তর ভারতে এ পাখা কেবল গ্রীষ্মের রাতে ব্যবহার করা হতো। তার সময়ে পাখা টানা কুলিদের বেতন ছিল মাসে ৪ রুপি আর কাজের সময়কাল ছিল গরমের ছয় মাস।
পাঙ্খা চালু হওয়ার আগে ভারতে স্থানীয় কিছু শীতলীকরণ পদ্ধতি ছিল, যা এককথায় বিলাস। মোগলরা সাধারণত স্থানীয় পদ্ধতি ব্যবহার করত অর্থাত্ রুপার হাতলে লাগানো ময়ূরের পালক দুলিয়ে বাতাস করা। কাপড় ও তালপাতা দিয়ে তৈরি হাতপাখারও প্রচলন ছিল। এছাড়া ঘর ঠাণ্ডা রাখার জন্য তারা আরেকটি নতুন পদ্ধতি চালু করেছিল, যার নাম খাস তাতি। ঘরের দরজা-জানালায় খাস নামে পরিচিত শিকড়সদৃশ আঁশ দিয়ে পর্দা দেয়া হতো। এ আঁশে পানি দিয়ে সবসময় ভেজা রাখা হতো। এতে বাতাস ঘরে প্রবেশের সময় এ পানির সঙ্গে মিশে শীতল হয়ে যেত। সঙ্গে খাসের প্রাকৃতিক সুগন্ধও ভেসে আসত। টানা পাঙ্খা এসবের চেয়ে অনেক কার্যকরী হিসেবে আবির্ভূত হয়। খাস ভেজাতে বেশ কয়েকজন চাকরের দরকার হতো। আর সে আমলে ইংরেজ ও স্থানীয়দের ভবনে অনেক দরজা-জানালা থাকত। কারণ এগুলো ছিল তাদের প্রাসাদোপম বাড়ির বৈশিষ্ট্য। তার ওপর খাস ছিল ব্যয়বহুল এবং স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য ছিল না। আবার বৃষ্টি এলে খাস তাতি সরিয়ে ফেলতে হতো কিন্তু ঝুলন পাখার এ সমস্যা ছিল না। এই ঝুলন টানা পাখার জন্য খুব বেশি জায়গার দরকার হয় না, অন্যদিকে অফিসের সজ্জার সঙ্গে মানিয়ে যায়।
বাইজিদের ধারণা করা যায়, ঝুলন পাখা শুরুতে ধনী পরিবার বিশেষত বণিকদের বাড়িতে যুক্ত হয়েছিল। ফোর্ট উইলিয়ামে ঝুলন পাখা যুক্ত হয় ১৭৯৮ খ্রিস্টাব্দে। ১৮০০ সালে লর্ড ওয়েলেসলি সেন্ট জোন্সসহ কলকাতার অন্যান্য গির্জায় এ পাখা স্থাপন করেন। অফিস এবং ইউরোপীয় ও স্থানীয় অভিজাতদের মধ্যে ঝুলন পাখার ব্যবহার ১৮০০ খ্রিস্টাব্দের পর ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে।
১৮৪০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ঝুলন পাখা পাবলিক প্লেসে ব্যাপকভাবে ব্যবহার শুরু হয়নি। এর প্রমাণ পাওয়া যায় ১৮৪০ সালে লেখা এমিলি এডেনের চিঠি থেকে। কলকাতার পাবলিক থিয়েটারে পাখা না থাকাটা তাকে যথেষ্ট অসুবিধায় ফেলেছিল, জানা যায় তার চিঠি থেকে। তিনি লিখেছেন— পাখা নেই, লম্বা কিন্তু নিচু হল আর বড় বড় জানালা, কতটা গরম ছিল বলা কঠিন। তবে অভিনয় সত্যিই চমত্কার।
১৮৫০ নাগাদ অফিস ও বাড়িতে পাঙ্খার ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়। কারণ একজন লোক নিয়োগ করেই একটি বড় কক্ষে পাখার বাতাস নিশ্চিত করা যেত আর হাতপাখার জন্য তো বেশ কয়েকজন চাকর দরকার হতো এক কক্ষেই। এই অর্থনৈতিক সাশ্রয় অফিস ও বাসাবাড়ির অনেক পাখা বরদারের চাকরির সুযোগ শেষ করে দেয়। শিগগিরই বিলাস ও সামাজিক মর্যাদার প্রতীক হয়ে ওঠাতে ধনী ব্যক্তিরা বিশেষত জমিদাররা তাদের বাড়িতে এক বা একাধিক ঝুলনপাখা স্থাপন করেন। ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, এ ঝুলন পাখা একই সঙ্গে সাশ্রয়ী, কার্যকর ও ঘরের সৌন্দর্যবর্ধক। মূলত ইংরেজদের হাতেই এর ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়। নানামুখী উপযোগিতার কারণে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ঝুলন পাখার ব্যবহার বিস্তৃত হয়, বিশেষত যেসব এলাকায় কোম্পানির শাসন ছিল। পাখা বেশকিছু ধাপে বিবর্তিত হয়েছে। শুরুতে পাখা ছিল একেবারে সলিড ফ্রেম, যা ছাদে ঝোলানো হতো। ১৮৫০ সালের পরে হালকা ও অধিকতর দক্ষ পাখা তৈরি হয়। শুরুর দিকে যে সলিড ফ্রেম ঝোলানো হতো, তা চার থেকে ১০ ফুট চওড়া ও ছয় ফুট দৈর্ঘ্যের হতো। এরপর দেয়ালে একটা ফুটো করে পাখার দড়ি ঘরের বাইরে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হলো, যাতে চাকর কক্ষের বাইরে থেকে বারান্দায় বসে পাখা টানতে পারে। এটা ঘরের সদস্যদের বিশেষত নারীদের প্রাইভেসি নিশ্চিত করল। অন্ধেরা পাখা টানতে পারত, তাই অনেক ক্ষেত্রেই তাদের পাখা টানার কুলি হিসেবে নিয়োগ করা হতো।
পাঙ্খা তার বিবর্তনের শেষ ধাপে পৌঁছে যায় ১৮৫০ নাগাদ। এখন আর পাখার ফ্রেম দড়ি দিয়ে ছাদের কাছাকাছি ঝুলিয়ে রাখা হয় না। কাঠের তক্তার পরিবর্তে পোল ব্যবহার করা হলো। এ পোলের সমান চওড়া রঙিন ঝালর লাগানো হলো। নারীদের কামরায় থাকা পাঙ্খার ঝালর একটু বেশি রঙিন হতো। ঝুলন পাঙ্খা শুরুতে খাবার ঘরে লাগানো হয়, তারপর ধীরে ধীরে বসার ঘর ও শোয়ার ঘরে প্রবেশ করে।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ইউরোপীয়রা বাংলায় পৌঁছে উত্তরাধিকার সূত্রেই যথেষ্ট চাকর-ভৃত্য পেয়েছিল, যারা আবার বেশ সুসংবদ্ধ শ্রেণীতে বিভক্ত ছিল। এসব চাকরের বিভিন্ন বিভাগের জন্য পোশাক নির্দিষ্ট করা ছিল। হুক্কা বরদার, পাঙ্খা বরদার, খানসামা, আবদারসহ অন্যান্য চাকরের পোশাক সমসাময়িক ইউরোপীয় চিত্রকরদের ছবি, লিথোগ্রাফ থেকে প্রত্যক্ষ করা যায়। কোম্পানির নিযুক্ত স্থানীয় শিল্পীরাও অনেক ছবি এঁকেছেন। কিন্তু লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, এসব ছবিতে পাঙ্খা টানাদের কোনো স্থান নেই। এক্ষেত্রে ব্যাখ্যাটি হচ্ছে এ রকম যে, পাখা টানারা অন্য চাকরদের তুলনায় বেশ পরের সংযোজন। প্রাক-ঔপনিবেশিক আমলে দরবারে প্রত্যেক শ্রেণীর জন্য পোশাক নির্ধারিত থাকত এবং সেই আমলের চিত্রই মূলত চিত্রকররা এঁকেছেন।
হুক্কা বরদারের মতো নতুন তৈরি হওয়া পাঙ্খা টানাদের তার নিয়োগকর্তার জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। পাঙ্খা টানারা কক্ষের বাইরে এমনকি অনেক সময় বাড়ির বাইরেও বসে পাখা টানতেন। তারা ঘরের মালিক ও অতিথি উভয়েরই চোখের আড়ালে থাকতেন। তাই ইউরোপীয় বা স্থানীয় অভিজাত কেউই এ পাঙ্খা টানাদের জন্য নির্দিষ্ট পোশাক সৃষ্টির আগ্রহ দেখাননি। তাই পাঙ্খা কুলিরা নিজেদের সামর্থ্যমতো পোশাক পরতেন। আকর্ষণীয় ছবি আঁকার জন্য তাই পাঙ্খা কুলিরা ইউরোপীয় শিল্পীদের কাছে উপযুক্ত মনে হয়নি। শিল্পীদের মনে হয়েছিল, ব্রিটেন কিংবা ইউরোপে তাদের ছবির খদ্দেররা যেভাবে আধ্যাত্মিক ভারতকে দেখতে অভ্যস্ত, তার সঙ্গে এ পাঙ্খা কুলিদের বেশবাস মানানসই নয়। ১৮৬০ নাগাদ পাখা পুরো ভারতে ছড়িয়ে যায়, বিশেষত মফস্বল শহরগুলোয়। সামরিক, প্রশাসনিক ও ব্যবসায়িক প্রয়োজনে এসব শহরে তখন ইংরেজ ও ইউরোপীয়রা বসবাস করতেন। জি. ই. অ্যাটকিনসন তার কারি অ্যান্ড রাইস (১৮৫৯) গ্রন্থে বাংলা ও উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন ছোট স্টেশনে পাখা ব্যবহারের কৌতূহলোদ্দীপক ছবি সরবরাহ করেছেন। বইটির লক্ষ্য মফস্বলে বসবাসরত মেম ও সাহেবদের জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হলেও এতে পাখার নানা মজাদার ছবি পাওয়া যায়।
সাহেবদের দুপুর বা বিকালের ঘুমে পাঙ্খা কুলিরা ছিল অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কুলিরা প্রভুর কক্ষের বাইরে এক জায়গায় বসে রোবটের মতো পাখা টেনে যেত। কুলিদের সারা রাত জেগে বিরতিহীনভাবে পাখা টানতে হতো। কেউ কোনো কারণে একটু ঘুমিয়ে গেলে জুটত কঠোর শাস্তি। এক্ষেত্রে ইউরোপীয় বা স্থানীয় কোনো প্রভুই বিন্দুমাত্র ছাড় দিতেন না।
ঔপনিবেশিক ঔদ্ধত্যের উদাহরণ দেখা যায় কিপলিংয়ের গল্পে, যেখানে একটা বুল টেরিয়ার কুকুর নিযুক্ত থাকে পাঙ্খা কুলিকে জাগিয়ে রাখার জন্য। কুলি ঘুমিয়ে গেলে কুকুরটি ঘেউ ঘেউ করে কুলিকে জাগিয়ে দিত। এমিলি এডেন শুনিয়েছেন আরো উপহাস। ১৮৩৬ সালে তিনি লিখেছিলেন, গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন আমার পাঙ্খা কুলি পাখা টানছিলেন!
ব্রিটিশরা যখন বার্মা (মিয়ানমার) ও মালয়ে তাদের প্রভাব বিস্তার করল, তখন তারা নিজেদের সঙ্গে এ পাঙ্খাও নিয়ে গেল। তবে এই দুই নতুন গন্তব্যে পাঙ্খা জনপ্রিয় হয়নি। এসব স্থানে শুধু ভারতীয় ও ইংরেজদের মধ্যেই পাঙ্খার ব্যবহার সীমিত ছিল। মালয়েশিয়ার পেনাংয়ের গভর্নর প্যালেসে এখনো সাটিনের ঝালর দেয়া ও সিল্কের দড়ির দারুণ একটি ঝুলন পাঙ্খা দেখা যায়। এ থেকে পাঙ্খার পুবমুখী যাত্রার বিষয়টি টের পাওয়া যায়। বাংলাদেশে এখনো কিছু ঝুলন পাঙ্খা সংরক্ষিত আছে।
সরকারি আইন অনুসারে, সরকারি অফিসে এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত পাঙ্খা চলত। বাংলাদেশে জেলা ও সাবডিভিশনাল শহরগুলোয় ইলেকট্রিসিটি পৌঁছানোর পরেও কিছুকাল পাঙ্খা ছোট শহরগুলোয় মানুষের মৌসুমি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করত। ষাটের দশক পর্যন্ত বাংলাদেশের (তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছোট জেলা শহরের ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট ও ম্যাজিস্ট্রেট অফিসে পাঙ্খার ব্যবহার অব্যাহত ছিল। সত্তরের দশকের শুরুতেই পাঙ্খার ব্যবহার ব্যাপকভাবে হ্রাস পেতে থাকে এবং এ দশকের শেষ নাগাদ পাঙ্খার ব্যবহারের ইতি ঘটে। বাংলাদেশের যশোরের কালেক্টরেট অফিসে শেষ পাখাগুলোর একটি চালু ছিল। ১৯৭৭ সালে ভবন সংস্কার ও বিদ্যুত্ আসার মধ্য দিয়ে সেই পাখাটি বিদায় নেয়। এভাবেই বাংলাদেশ থেকে পাঙ্খা ও পাঙ্খা কুলির অধ্যায় সমাপ্ত হয়। ব্রিটিশ রাজের এ ঐতিহ্য ১৬০ বছরের বেশি সময় বাংলাদেশে চালু ছিল।
