আনুমানিক পঠনকাল: < 1 মিনিট
নিমন্ত্রণ পাঠালে- আসছে মাসের মাঝামাঝি বেড়াতে এসো। দু’একদিন ছুটি নাও,ছোট ব্যাগে টুকটাক জিনিসপাতি,আয়নায় মুখ দেখো না। চলো,দিনভর আলাপের ঘাটে পুরনো সকলে বসি। আসবে কিনা বল?
সে তো আড্ডা দিচ্ছোই তোমরা! প্রায় সপ্তাহান্তে, হানা দিচ্ছ এ-বাড়ি ও-বাড়ি হাসিমুখে,ছোলামুড়ি মেখে বসে পড়ছো মুখোমুখি,পাশাপাশি কিংবা ম্যাজিক কার্পেটে। সিনেমার ঘোড়া ডিঙিয়ে, রাজনীতির ছাগল বেঁধে আরও পেছনের গল্পগুলো বার বার শুনতে শুনতে; একদিন মনে পড়বে অন্য জন্মের রাজহাঁস উড়ে যাবার বিহবলতাকে,পাখার শব্দ, একটানা আবেশের ধ্বনিতে জাগিয়ে রাখার মত ক্ষণ। মুহুর্ত হারাতে হারাতে সব মুঠো খুলে যাচ্ছে, জল গড়িয়ে পড়ছে তোমাদের মেঝেতে, গোড়ালি আঙুল ভিজিয়ে দিচ্ছে মায়া। তোমরা ভাবছ, সত্যি-মিথ্যের বাইরে রবাহুত এরকম কোন কথার ভেতর দিয়ে কেউ কেউ নদীতে নেমে গিয়েছিল।
তাদের ভেজা শব্দের হাত ধরে উঠে আসছিল বকের আলস্য,শামুকগুলি,মাছের সংসার ও পানা পাতার বুদবুদ। তলদেশে সেকেলে ঘরবাড়ি ঘুমিয়ে পড়েছিল, ডুবে ডুবে তোমাদের মনের কাছেই তা ফিরে আসতে চেয়েছে। আসরের প্রান্তে,ঘুমের ঠোঁটে স্বপ্নের কোলে উড়ে; যেমন ঝরে পড়ে, যেমন সরে যায় ধোঁয়া আর ছাইয়ের চলাচল।
আমি তো আসতেই চাইছি। কিন্তু এখন, দিনগুলোর ভেতর ঢুকে পড়ছি বলে মন একটু একটু করে খারাপের মত, ভাল হয়ে যাচ্ছে।

ঋষিণ দস্তিদার।
জন্ম ১৩ জুলাই ১৯৭৫। জন্মশহর চট্টগ্রাম।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস, পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বক্ষব্যাধি মেডিসিনে স্নাতকোত্তর; পেশায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। বর্তমানে চট্টগ্রামে কর্মরত।
বেশ তো!