আজ ২৫ ডিসেম্বর কবি জ্যোৎস্না রহমানের শুভ জন্মতিথি। ইরাবতী পরিবার কবিকে জানায় শুভেচ্ছা ও নিরন্তর শুভকামনা।
প্রতিবাদ
প্রতিদিন একটি করে অবক্ষয়
কলমের ঠোঁটে রেখে বলি…
“উচ্চারিত হোক প্রতিবাদী শব্দ”!
কালির গর্ভে তখন আপোষের ভ্রুণ
না পারার যন্ত্রণায় বড় হয়
উৎসবের বিভেদে জ্বালানো খুশির রোশনাই
উপড়ে ফেলা ধর্মের শিকড়ে লেখে
নাস্তিক হওয়ার আর্জি
সামাজিক বেড়িতে আটকে থাকা বিবর্ণ আনন্দ..
তখন উদযাপনের ভেলায় চড়ে
ভেসে যায় নিয়মের স্রোতে
অ’সুখ ও অসুখ একই পথ চিনলে
শব্দরা দাঁড়ায় শেষ ঠিকানায়
তোমরা তাকে বলো..’ আমিত্ব ‘
যার বীজ থেকে বার হওয়া চারা
ডালপালা ছড়িয়ে শোষণ করে
সামাজিক কার্বনডাইঅক্সাইড
তীর থেকে ছুটে আসা চিৎকারে
ডুবন্ত মানুষ সাঁতার শিখলে
দুরন্ত ঢেউয়ে লিখে দিতাম
আমার নিজস্ব প্রতিবাদের ভাষা
দৃষ্টিহীন
দৃশ্যের ছায়া চোখের পর্দায়
অন্য এক কাহিনী লিখে দিলে
মানবিকতার দৃষ্টি পথ
অবিচারের ফলায় কর্ষিত হয়
মোমবাতি পুড়িয়ে প্রতিবাদের আসরে
দৃশ্যায়িত হয়..আগুন আর বক্তৃতার উত্তাপে
মোম আর বিবেকের গলনাঙ্ক
আর তার ছায়ায় বিশ্রাম নেয়
একটি মেয়ের পাংশুময় জীবনে
কতটা স্বপ্ন হাঁটতে হাঁটতে হোঁচট খেয়ে
অতল গহ্বরে চিরতরে হারিয়ে গেছে
গলে যাওয়া মোমে চাপা পড়া প্রতিবাদ
বিস্মৃতির অন্তরালে ঘুমিয়ে পড়লে
জেগে ওঠে নষ্ট মেয়েটির
বিদগ্ধ জীবনের লড়াই
দৃষ্টিহীন সমাজের বাতিল পৃষ্ঠায়