আনুমানিক পঠনকাল: < 1 মিনিট
নগরবাসী দেখে এক ক্যাম্বাসার
আজকে আমি কিছু শিখি,যা দেখি-
বয়স চুরি হবার আগে-মিছিলে নামি
কারোয়ান মমতায় কৈশোর ঢুকে যায়
নিষিধের অনুবাদ, এ যুগচিতা-যন্ত্রণার-
টুপি পরে, ধুতি পরে, অথবা অনিয়ম করি
আমাদের সুন্দরে ওদের মতে দোষ-
অতসব শব্দ ফাটিয়ে কবিতায় বলা
যায় না, নগরবাসী দেখে এক ক্যাম্বাসার-
এই বাগানে ভোর নামে-ক্ষীয়মাণ সন্ধ্যা,
গভীর রাত-মাতাল করে যায় গণসংযোগ
মিথ্যে আশ্বাস নিয়ে সুর হারিয়ে ফেলছি
তোমরা যারা আমার মতো, নীরবতা ভাঙ্গো-
বকুলের রক্ত শাদা-তোমার রক্ত বোধিবৃক্ষ
সহজ মৃত্যুর আগে
আমার দৃষ্টি ফেলেছি, পৃথিবীর সব পথে পথে
কোথায় মানুষগুলো যেন সাঁতরিয়ে যায়
শ্বাসের গন্ধে গলা চড়িয়ে দিচ্ছে চিৎকার-
সব পথ থেমে থেমে ডাকে-বনভূমি,আপনার
গাছগুলো নিরীহ প্রাণীর মতো দাঁড়িয়ে
আদিম পাতারা শঙ্খচিলের ডানায়-ওড়ে
নিথর শরীরে রোদের গন্ধ শুঁকে পোড়ে
চারপাশে কোলাহল,রোগী;নার্স-ট্রলি হাতে
ঊষর চোখ মেলে তাকায়-দিগন্ত,হাসপাতাল-
এসো-পরিচিত হই,সহজ নগরে-মৃত্যুর আগে
এমন সংবেদন অঙ্গীকার-হলুদ স্পর্শ জ্বেলে
সবাই হাত বাড়ায়-খোলা আকাশের আলোকে
নগরে আদমশুমারী
শীতের বৃষ্টি তো বক পাখি-অরণ্য জানে
সফেদ তুষারে ঢেকে যাচ্ছ-বাদামের গাছ
ভোরের শুরুতে, তুমি নদী নাকি আকাশ?
কবিতায় তোমাকে লিখতে গিয়ে-কেবল
নির্জন উজানে ভাবি-তুমি কি বসন্ত নাগরীক
দ্রুত মাথা চাড়া দিচ্ছ, শিমুল ফুলে; দিগন্তে-
এই নগর-আদমশুমারী, বছরে একবার মেলো
আহ!ভাবনার মতো হয়ে ওঠেনা রূপরেখাবলী-
আমি মাতাল হচ্ছি অথচ তুমি হাসো-গান করো
কুহক কণ্ঠসলিলে-আমার ভেতরে কিন্তু ফের-
বসন্ত দোল খায়, পাতাঝরা কাঠঠোঁকরার মতো
আবার জেগে দেখি-ঘৃণা পালিয়ে যাচ্ছে-শিশিরে
চোখে চোখে ধ্যানবৃক্ষ অনুবাদ করি-তুমি নাতো