একটা অন্যরকম গল্প বলবো আজ…
নিউ জার্সি থেকে জামাই ষষ্ঠী নিয়ে লিখছেন সুস্মিতা রায়চৌধুরী। তাঁর চোখে এই পার্বণ।
তেরো পার্বণের এক পার্বণ জামাই ষষ্ঠি !
ইহকালিন ফেমিনিজমের পাল্লায় পরে মা-ঠাকুমার পুজো পার্বণেও এখন নারী স্বাধীনতার বার্তা..
বলি মেয়েটাকে একটু লাল টুকটুকে সিঁদুরে দেখব আদরের জামাই এর সাথে তার উপায় নেই…
এই গল্পের নায়িকা কে অনেকেই বেশ ট্যারা চোখে দেখে..
বেশ ভুষা হোক বা অকপট স্বীকারোক্তি সবেতেই সে সবার “ষষ্ঠি” পুজো করে দিতে সক্ষম…
মেপে কথা বলা সুপুরুষ স্বামী তার
এহেন অ-রাজযোটক মেয়ে-জামাই এর পার্বণে তাই পুর্ব -পশ্চিম বাংলা মিলেমিশে একাকার…
প্রদিপ এর তাপে দুজনেরই সমান অধিকার
ইলিশ চিংড়ি ভাইভাই
আম এর স্বাদে জামাই এর মিষ্টভাষ থাকলে,সোনার অলংকারে মেয়ের নিখাঁদ সত্যতা…
সব ভালো জটিল নয়,
স্বাধীনতা ও নিশ্বাস নেয়…
শেক্সপীয়ার বলে গেছেন “A rose by any other name would smell as sweet”
থাক না বাপু নামটা জামাই ষষ্ঠি
কাজটাই না হয় হোক পরিচয়…
মা বাবার আশীর্বাদে,ভালোবাসার বাতাস লাগুক প্রাণে ।।
“ও,মৌ এর মা,দাও দাও আরও দুখান ইলিশ দাও দেখি বাবা জীবনকে”….
সঙ্গে নিয়ে মিষ্টির হাঁড়ি,
জামাই চলেন শাশুড়িবাড়ি…
মেয়ের স্বাধীন সংসার মাঝে..
জামাই থাকবে সকাল সাঁঝে,
বাটা সাজানো কাঁঠাল, লিচু
প্রদীপের তাপে অনেক কিছু ।
শাশুড়ি রাঁধেন গলদঘর্ম হয়ে
ভোর থেকে বেলা যায় ব’য়ে,
চিংড়ি, ইলিশ, মটন পাতে
মন্ডা মিঠাই, দইও সাথে,
শেষে আছে আইসক্রিম, পান
হিসাব দেখে শ্বশুর খাবি খান ।।
ভালোবাসা হোক উভয় ত্বরে,
শাশুড়ি-বৌমা বিদ্বেষ যাক সরে…
মেয়ে তুই ভালো থাক,
জামাই ষষ্ঠি পার্বণ জমজমাট ।।