আনুমানিক পঠনকাল: < 1 মিনিট
পাখিদের গানে
কোনো আর্তি নেই আর-
তবু নিঃশব্দে যদি উড়ে যাওয়া যেতো,
শিকারীর চোখে চোখ রেখে
দেখে নেওয়া যেতো পথ
নদীতে উদ্দাম হাওয়া, ভেঙেছে গাছের শপথ।
আসন্ন সেই দুপুর!
এখানেই নীল ঘোড়াগুলো
চাবুক খেয়ে-খেয়ে দৌড়ে গেছে ভাবুকের মতো,
আর তাদের লাগাম টেনে যারা লিখছে কবিতা
তারা কি বিদ্রোহী সওয়ার?
তারা জানতেও পারেনি,
তাদের কবিতা কেউ পড়ছে না আর।
ফুল ফুটবে বলে
যারা পাথরে লিখেছে চিঠি,
হলুদ রোদের শরীরে তারা রেখে গেছে ছায়া
পা ফেলে যাওয়া রাস্তার মতো,
আমি গানের ফেরিওয়ালা
বিকিয়ে এসেছি সব ক্ষত।
অবেলা
তোমার নাটাই চোখে
ঘুড়ি হয়ে উড়ছে আকাশ
যুবতী নদীর বুকে ভেসে যায় রৌদ্র-দুপুর
কালো চুলের মতো সুতো যদি হয়
আমার ভীতু ঠোঁটে ছুঁয়ে দিও খানিক অভয়
পাখির ফেরার পথে
পাতা যদি কোনদিন পথ হয়ে উড়ে
সেদিন হেঁটে-হেঁটে চলে যাবে
নূপুরের মতো রূপালী কোনো মেয়ে
উজান স্রোতের মতো তারে আমি দেখবো না চেয়ে।
বেহাগ
তোমার নামে সুর লিখে আমি
হেঁটে গেছি হলুদ সন্ধ্যায়
সেই পথে স্মৃতি ছিলো কার
ফেলে গেছি, তবু তুলিনি পাতায়
বিষম আষাঢ়ে মুছে গেছে যার
মুছে গেছে অশ্রুর দাগ
ব্যথা হয়ে তবু থেকে যাও তুমি
কণ্ঠে হও করুণ বেহাগ।
মূলত প্রকৃতিপ্রেমী ভুলত কবি। জন্ম ১৫ জুলাই মোহনগঞ্জের নেত্রকোনায়। তার মতে, এখনও বহু পথ হাঁটা বাকি।