প্রিয় পাঞ্চালী
তোমার বুদ্ধিমত্তার ছাপ তোমার চিঠির ছত্রে ছত্রে। তুমি লিখলে বলেই এ চিঠির উত্তর দিচ্ছি। নয়ত তোমাকে আজ পর্যন্ত চিঠি লেখার ধৃষ্টতা, সাহস যাই বল তা আমার ছিলনা কোনোদিন। তুমি একদিন ঈশ্বরের কাছে চেয়েছিলে সেরা জ্ঞানী, রূপবান, শক্তিশালী, গুণবান, সেরা ধনুর্ধর এবং বুদ্ধিমান স্বামী।
কেন সুন্দরী? দুঃখ কিসের? সেদিন ঈশ্বর তোমাকে ছপ্পড় ফুঁড়ে দিয়েছিলেন। একটি নয়, দুটি নয়, পাঁচ পাঁচজন স্বামী। ক’জন মেয়ের এমন সৌভাগ্য হয় পাঞ্চালী? হঠাত করে যজ্ঞাগ্নিসম্ভূতা হয়ে গেল রাজবধু। আজ তুমি না চাইতেই এত পেয়েছিলে। যাই বল রত্নগর্ভা কুন্তীর পঞ্চরত্ন এই পুত্রেরা তোমাকে পেয়েও সেদিন উল্লসিত। তবে হ্যাঁ, ক্ষত্রিয়ের সর্বগুণসম্পন্না এই পঞ্চপুত্রের সবগুণে এক বিন্দু দোষ পড়ে যাওয়ায় তুমি আজীবন স্বামীসুখ থেকে বঞ্চিত হয়ে রইলে সেটাই আমাকে পীড়া দেয়। তোমায় আমি ভালোবেসেছিলাম কৃষ্ণা। তাই তোমাকে না পাওয়ার গ্লানিতে প্রতি পদে পদে ভেঙে চুরমার হয়ে গেছি সারাটা জীবন ধরে। তোমার এই পঞ্চস্বামীর সব থেকেও ছিলনা বিন্দুমাত্র নীতিবোধ। ছিলনা এক কণা পৌরুষ। তাদের দেখে আমার মেরুদন্ডের কশেরুকার অস্থিগুলিকে নিয়মিত পরিচর্যা করতাম আমি। পাছে সেগুলি ভঙ্গুর না হয়ে অমেরুদন্ডী হয়ে যাই।
আত্মম্ভরিতা ভেবো না। একথা জম্বুদ্বীপের সর্বজনবিদিত। একলব্যের পরে সে যুগে এই অধম সুতপুত্র কর্ণকেই সকলে শ্রেষ্ঠ ধনুর্ধর বলে জানত। কিন্তু সুতপুত্র হওয়ার অপরাধে রাজ-অস্ত্রশিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল আমায় আর সেই সঙ্গে তুমিও আমাকে ত্যাগ করেছিলে সেদিনের স্বয়ংবরায় । মাছের চোখ একবারে বিদ্ধ করার ক্ষমতা আমারও ছিল পাঞ্চালী। সেদিন আমার প্রেয়সী পাঞ্চালীকে জয় করার যোগ্য অধিকার কেড়ে নাওনি তুমি? তোমাকে বোঝানো হয়েছিল আমি নীচু জাতের জাতক । সত্যি বল তো? পরবর্তী কালে জানতে পারোনি তোমার এই সুতপুত্র প্রতিযোগীর আসল পরিচয়?
সেদিন তো আমি মরিনি পাঞ্চালী। আমাকে কাছে ডেকে এনেও তো প্রায়শ্চিত্ত করতে পারতে। তোমাকে তখনো বুক দিয়ে আগলে রাখার চেষ্টা করতাম তবে। না কি শ্বশ্রুমাতা কুন্তীর মানসম্ভ্রম বাঁচাতে আর আদর্শ নারীর তকমাটুকু যাতে ভারতের ইতিহাস মনে রাখে সেই চেষ্টা করে গেছ আজীবন? যে পুত্রের মা তাকে জন্মের পরেই ত্যাগ দেয় তার ললাট লিখনে এমনি বঞ্চনা থাকে সারাজীবন । মায়ের স্নেহ, প্রেমিকার ভালোবাসা সবেতেই সে শুধু মার খেয়ে মরে। প্রবঞ্চনার স্বীকার হয়। আমি শুধু সহ্যই করে যাব পাঞ্চালী? জন্মলগ্ন থেকে স্বয়ংবর সভা, অস্ত্রশিক্ষা থেকে বিবাহ সবেতেই এমন ভাগ্যের পরিহাস। এমন ভাগ্যহীনের ক্রোধাগ্নি ঝরবে না ক্ষত্রিয়ের দুচোখে? সর্বসমক্ষে তোমাকে বেশ্যা বলায় দুঃখ পেয়েছ জানি কিন্তু আমারো সহ্যের সীমা পরিসীমা ছিল পাঞ্চালী। ভুল বুঝোনা আমায়।
স্বয়ম্ভর সভা থেকে বিতাড়িত হয়ে তোমাদের কর্ণ কিন্তু আজীবন অবিবাহিত থাকেনি । আমার পালক পিতা অধিরথের ইচ্ছানুসারে দুর্যোধনের রথের সারথির বোন ভ্রুশালীকে আমি বিয়েও করেছি কিন্তু তাই বলে ভুলতে পারিনি তোমাকে । আমার দ্বিতীয় পত্নী ঊর্বীকে তো তুমি ভালভাবেই চিনতে। তোমার স্বয়ংবর সভায় সে কুন্তীর বান্ধবীর কন্যারূপেই হাজির ছিল সেখানে। আমাকে দূর থেকে দেখেই নাকি সে আমাকে বিবাহ করার জন্যই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল সেদিন থেকেই। পরে জেনেছিলাম কুন্তী নাকি অর্জুনের সঙ্গে ঊর্বির বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। ঊর্বি কিন্তু শূদ্রপুত্র জেনেও আমাকে বরণ করে ফেলেছিল সেই স্বয়ংবর সভাতেই। অথচ তুমি সেদিন জিততে পারোনি আমায়। কে জানে এসব বুঝি ভারতবর্ষের ইতিহাসে লেখা থাকবে বলেই কর্ণ-পাঞ্চালীর প্রেম বিবাহে পর্যুবাসিত হতে পারেনি। ইতিহাসের পাতায় সেই প্রেম কুরেকুরে অপূর্ণতা পেয়ে এল কিন্তু আমাদের আর দেখা হল না।
আলো-আঁধারিতে ভরপুর এসব গরগরে বিষয় নিয়ে সাহিত্যে কিছু কম চর্চাও হয়নি। কিন্তু আমি মহাবলী তোমাকে এবং তুমি সুন্দরী আমাকে জিততে পারোনি বলে সারাজীবন ধরে দুটি প্রাণ ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। অথচ পরে দেখলাম আমাকে “সূতপুত্র” করে রেখে দেওয়াটা একটা প্রকাশ্য মিথ্যাচার। কোনোদিন তা গোপন ছিলনা। তবুও সারাজীবন বয়ে বেড়িয়েছি নামের আগে উপাধির মত। পরিস্থিতিই কি তবে বাধ্য করেছিল পাঞ্চালী? আমার জাতপাঁত তুলে এহেন অপমান কি তবে তোমার আমার প্রতি প্রচ্ছন্ন প্রেমেরই বহিঃপ্রকাশ ছিল সেদিন? নাকি পরবর্তীকালে পঞ্চস্বামীর গর্বিতা ভার্যা বারেবারে তাঁর পাতিব্রত্যের প্রমাণ দিতে গিয়ে ষষ্ঠস্বামী রূপে কর্ণকে মনে স্থান দেওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি? তোমার পঞ্চস্বামীও তো তোমার মত স্ত্রীরত্ন পাবার পরেও বারেবারে অন্য রমণীতে আসক্ত হয়েছিলেন। তুমি কেন পারোনি পাঞ্চালী তোমার প্রথম প্রেমিক কর্ণর সঙ্গে তোমার প্রেমকে প্রকাশ্যে আনতে? সে যুগে বহুগামিতা অপরাধ ছিলনা পাঞ্চালী। আদর্শ নারী হয়ে নিজের ভাবমূর্তি তে কালি ছেটাবে না বলে ? তাই না? বল? কি লাভ হল পাঞ্চালী? জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে গেল দুটি হৃদয়। আমাকেও সেদিন বরমাল্য পরিয়ে দিলে ঐ ভয়ানক যুদ্ধের হাত থেকে বুঝি রেহাই পেত কুরুক্ষেত্র।
অভিশপ্ত আমার জীবন। ভূ-ভারতে অভিশাপ ব্যাতীত এমন কোনো বীর ছিলনা যা আমাকে বশীভূত করতে পারত। বারেবারে নিয়তির হাতে মার খাওয়া তোমার এই শূদ্রপুত্রটি। আজন্মকাল সে হয়ে রইল মহাভারতের ট্র্যাজিক হিরো।
পরশুরাম প্রতিজ্ঞা করেছিলেন কোনওদিন কোনও ক্ষত্রিয় জাতককে শিক্ষাদান করবেন না । তিনি শুধুই ব্রাহ্মণ শিষ্যের গুরু বা আচার্য হবেন । কিন্তু তাঁর মতো আচার্যর কাছেই অস্ত্রশিক্ষা করতে চেয়েছিলাম আমি। ব্রাহ্মণ তরুণের ছদ্মবেশে তাঁর কাছে যেতাম অস্ত্রশিক্ষা করতে । সত্য টা একদিন জানতে পেরে ক্ষিপ্ত পরশুরাম অভিশাপ দিলেন আমাকে। ঠিক যখন প্রয়োজন হবে যুদ্ধের অমোঘ শিক্ষা কিছুতেই মনে পড়বে না আমার মৃত্যুর সম্মুখীন হব । বিস্মৃত হব উপযুক্ত শত্রুনিধন পন্থা । সেই অভিশাপ বিফলে যায়নি, বুঝেছ পাঞ্চালী?
আমার কাছে ছিল মোক্ষম সেই নাগাস্ত্রম। শ্রীকৃষ্ণ জানতেন এই অস্ত্রের প্রকোপ থেকে কিছুতেই রক্ষা করা যাবে না অর্জুনকে । কৃষ্ণ কুন্তীকে বলেছিলেন আমার কাছ থেকে একটি বিষয়ে সম্মতি আদায় করতে, যাতে মাত্র একবারই সেই নাগাস্ত্রম আমি ব্যবহার করতে পারি । নইলে‚ কুন্তীর অভিশাপ কার্যকর হবে । কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে আমার সারথি শল্যের আদেশে অর্জুনকে উদ্দেশ্য করে নিক্ষেপ করেছিলাম সেই নাগাস্ত্রম । কিন্তু আমি খেয়াল করিনি । তোমার প্রিয় বন্ধু সর্বজ্ঞ কৃষ্ণ নাগাস্ত্রম মোকাবিলায় ভূমির ভিতর প্রবেশ করে অর্জুনের রথচালনা করলেন আরও নীচ দিয়ে যার ফলে একটুর জন্য‚ অর্জুনের মাথার পাশ দিয়ে চলে গেল সেই নাগাস্ত্রম । কৃষ্ণ রক্ষা করলেন তাঁর প্রিয় সখা অর্জুন কে।
মহাভারতে দানবান হিসেবে আমার খুব খ্যাতি, জানতো? আমি কিন্তু কোনও পুণ্যার্জনের আশা না করেই দানধ্যান করতাম । বিশ্বাস কর পাঞ্চালী।কৃষ্ণ জানতেন যে আমার এই পুণ্য কর্মফল কোনওদিন মৃত্যুকে আমার ধারে কাছে ঘেঁষতে দেবে না । এখানেও চূড়ান্ত সফল মহা কূটনীতিক কৃষ্ণ। অর্জুনের একের পর এক শর নিক্ষেপে আমি তখন রক্তাক্ত । কৃষ্ণ বুঝলেন আমার দান রূপ কর্মফলের পুণ্যের শক্তিতে অপঘাতে মৃত্যু আসবে না আমার কাছে । তিনি তখন ব্রাহ্মণ বেশে আমার সম্মুখে এসে দুহাত পেতে দাঁড়ালেন। ভিক্ষা চাইলেন আমার প্রাণ ভোমরা, আমার পিতৃদত্ত সেই আশীর্বাদী কবচ কুণ্ডল। ওই অবস্থায়ও কোনো দ্বিধা দ্বিরুক্তি না করে আমি সেই কুণ্ডল দান করেছিলাম তাঁকে । এর ঠিক পরেই যা হল তা তোমার জানা পাঞ্চালী। তোমার বন্ধু কৃষ্ণের ইশারায় আরও আরও শরনিক্ষেপ করে আমাকে জর্জরিত করেছিল অর্জুন। মৃত্যু হল আমার।
আর ভয়ংকর সেই চতুর্থ অভিশাপ? যার ফলশ্রুতি স্বরূপ আমার রথের চাকা বসে গিয়েছিল যুদ্ধক্ষেত্রের ভূমিতে । সেই আমার যুবা বয়সে । অজ্ঞানতঃ একটি গাভী এবং বাছুর হত্যার অপরাধে । গাভীর মালিক ব্রাহ্মণ কুপিত হয়ে অভিশাপ দিয়েছিলেন এমনটি। সবাই বুঝতে পেরেছিল। বিপদ বুঝে পলয়ান করেছিল সারথি শল্য । অসহায় আমি শত চেষ্টা সত্ত্বেও সক্ষম হইনি সেই চাকা উৎপাটন করতে। এহেন করুণ পরিস্থিতিতে তোমার সূতপুত্র কর্ণকে শরাঘাতে বধ করেছিল তোমার প্রিয়তম স্বামী অর্জুন ।
পাঞ্চালী, আজ তোমার কর্ণ চলেছে উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার অন্তর্গত অলকানন্দা ও পিণ্ডার নদীর সঙ্গমস্থলে এক পুণ্যতোয়া প্রয়াগে। আমার আত্মার মুক্তির জন্য। অলকানন্দা নদীর পঞ্চপ্রয়াগের অন্যতম তীর্থস্থান হবে এটি, দেখে রেখো পাঞ্চালী। কেউ ইতিহাসের বীর কর্ণ তথা দাতা কর্ণের স্মৃতিতে এই স্থানের নাম দেবে হয়ত কর্ণপ্রয়াগ। মহাভারতের মহাবীর কর্ণের শেষকৃত্য এখানেই, হ্যাঁ এখানেই সম্পন্ন করেছিলেন তোমার সখা শ্রীকৃষ্ণ। ব্রাহ্মণ রূপী কৃষ্ণকে একদিন আমার সব পুণ্য ফল দান করেছিলাম আমি।নিরস্ত্র কর্ণকে বিশ্বরূপ দর্শন করিয়েছিলেন তিনি।আজ বুঝি মুক্তি দেবেন তাই।
জানো পাঞ্চালী আমার পিতা সূর্যের জন্য এখানে বসে উপাসনা করেছি আমি। মৃত্যুর ঠিক পূর্ব মুহূর্তে তাঁর দেখা পেয়েছিলাম আমি। তখন বড় দেরী হয়ে গেছে।
তোমার মত দীর্ঘায়ত আলাপচারিতার ধৈর্য আমার নেই পাঞ্চালী। ওটা নারীদের স্বভাব। তারা পুরুষদের তুলনায় অধিক বাক্য প্রয়োগে অভ্যস্ত। তবুও ভাগ্যের হাতে প্রতি পদে লাঞ্ছিত তোমার কর্ণ আজ বেশ চাপমুক্ত হল এই চিঠি লিখে। জীবনের প্রথম নারী আমার মা কেও আজ খুব মনে পড়ছে, জানো? সারাজীবন আমার ঘুমের মধ্যে লালন করা এক স্বপ্ন আমার মা। আমার স্বপ্নের মধ্যে অতি সংগোপনে আসা যাওয়া ছিল তাঁর। আজ সেই মা’কে যেন স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি চোখের সামনে। পিতা সূর্যদেবের সঙ্গেও বোঝাপড়াটা সেরে নিতে হবে একটিবার। নয়ত শান্তি পাব না যে। আমার জীবনের দ্বিতীয় নারী ছিলে তুমি। হ্যাঁ, তুমিই। তাকেও সারাজীবন ধরে সযত্নে লালন করে গেছি। মনের মণিকোঠায় এখনো ধরা আছে দাপুটে দ্রৌপদীর সেই অসামান্যা রূপের দ্যুতি। বারেবারে তুমিও এসেছিলে আমার রাত স্বপ্নের পরী হয়ে। আমি বহুবার তোমাকে নিয়ে একা একা মেতে উঠেছি আমার কল্পনার বাসরঘরে। পরের জন্মে যেন তোমার মত স্ত্রীধন কে লাভ করতে পারি। তাহলে তোমার দুঃখ ঘোচাবই, কথা দিলাম পাঞ্চালী।
আজ এইটুকুই। যেখানেই থাক সুখ পেও তুমি।
ইতি
তোমার
দুঃসাহসী, বীর অসফল এক সূতপুত্র কর্ণ

উত্তর কলকাতায় জন্ম। রসায়নে মাস্টার্স রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ থেকে। বিবাহ সূত্রে বর্তমানে দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। আদ্যোপান্ত হোমমেকার। এক দশকের বেশী তাঁর লেখক জীবন। বিজ্ঞানের ছাত্রী হয়েও সাহিত্য চর্চায় নিমগ্ন। প্রথম গল্প দেশ পত্রিকায়। প্রথম উপন্যাস সানন্দা পুজোসংখ্যায়। এছাড়াও সব নামীদামী বাণিজ্যিক পত্রিকায় লিখে চলেছেন ভ্রমণকাহিনী, রম্যরচনা, ছোটোগল্প, প্রবন্ধ এবং ফিচার। প্রিন্ট এবং ডিজিটাল উভয়েই লেখেন। এ যাবত প্রকাশিত উপন্যাস ৫ টি। প্রকাশিত গদ্যের বই ৭ টি। উল্লেখযোগ্য হল উপন্যাস কলাবতী কথা ( আনন্দ পাবলিশার্স) উপন্যাস ত্রিধারা ( ধানসিড়ি) কিশোর গল্প সংকলন চিন্তামণির থটশপ ( ধানসিড়ি) রম্যরচনা – স্বর্গীয় রমণীয় ( একুশ শতক) ভ্রমণকাহিনী – চরৈবেতি ( সৃষ্টিসুখ) ২০২০ তে প্রকাশিত দুটি নভেলা- কসমিক পুরাণ – (রবিপ্রকাশ) এবং কিংবদন্তীর হেঁশেল- (ধানসিড়ি)।অবসর যাপনের আরও একটি ঠেক হল গান এবং রান্নাবাটি ।