আনুমানিক পঠনকাল: 2 মিনিট
অবলীন
ইংরেজি
ছয় ও নয় সংখ্যাদ্বয়ের আদ্যপান্ত
অন্তঃস্থ করতে গিয়ে আংশিক বিভ্রান্ত
তুমি
এক উভতল মুখি আয়না।
তোমাকে দেখতে গিয়ে
মানুষ
নিজেকে দেখতে পেয়ে সেই যে চমকালো
সেই থেকে অবলীন হয়ে আছে
যা কিছু ভালো।
বনাচ্ছন্ন শব
একটা শহর
ক্রমশ মৃত নগরীতে পরিণত হলে,
তুমি বাধ্য হলে
শ্লেজ গাড়িতে চড়ে বসতে;
এই শবের রাজ্যে আর থাকবো না বলে।
তোমাকে নিয়ে চলতে শুরু করলো
ঘটনা প্রবাহ-
জীবনটাই হলো একটা লাগেজ বেল্ট
তুমি ও’তে একবার শামিল হলেই
তুমি চাও বা না চাও
তোমার গন্তব্যে বা ভবিতব্যে
সে তোমাকে পৌঁছে দেবে।
তুমি এসে পড়েছো –
তুষার ঢাকা এক অরণ্যে
শ্বেত ভাল্লুকেরা এখানে খরগোশ খোঁজে
সন্ধান করে স্যামন সমৃদ্ধ সলিল ধারার
তুমিও তাদের কাছে
তারচেয়ে বেশি কিছু হতে না পারার
গ্লানি নিয়ে বসে থাকো;
হে মানুষ
তুষার রাজ্যে তুমি এক বনাচ্ছন্ন শব।
জলপাতার ঈদ
সেই এক জলপাতা
শোকাচ্ছন্ন দেশ, গ্রাম আর নগ্ন শহরে-
নকল হাসির মত, আম জনতার যত
মূঢ় বাক্যালাপ
কথার তুবড়ি ছুটিয়ে নতুন দীক্ষালয়ে
লুটিয়ে পড়ে
মৃত চোখে ভেসে আসা তমসা ঘন লহরে।
কোলাহল তুলে আবার ডুব দেয়া
তিমির গভীর কান্নার মত সেসব শব্দ আজ
মূক হয়ে যাকে
দিনমান
ভাঙনের পাড়ে স্তব্ধতায় বসিয়ে রাখে,
সিলিন্ডারে
জমানো ঈদ তাকে এইমাত্র বুড়ি ছুয়ে যায়;
এই পীত শোকে
বর্ষা আরো প্রবল ঘন হয়ে আসে
এই অশোকের শোক অবাধ বারিপাত
ক্রমশ ভারি হয়ে
বাঁক নিয়ে বারবার অপাঙক্তে নুয়ে থাকে।
এই মৃত্তিকা ভরে যায় বিরামহীন স্রোতে-
ক্ষতে, ভাঙনের শব্দে, নির্বাক অভৌত নির্মাণে;
মরে যায় অশ্লেষে-
মৃত চোখে ভেসে আসা তমসা ঘন লহরে।
অনেক বচসা,
অনেক দরদাম শেষে
মাটি পূঁতে রাখে সোঁদা গন্ধ, অদূরে ভাসমান
অখণ্ড জমিন
ফেনিল সবুজ না গভীর নীল বোঝা গেলো না।
কবি
প্রকাশিত কোনো বই নেই। যেসব পত্রিকা ও ম্যাগে লেখা প্রকাশিত হয়েছে সেগুলো হলো ঘুংঘুর, জলভূমি, বিন্দু, চারবাক, ওয়াকিং ডিসট্যান্স, অনুপ্রাণন, বার্তা ২৪।