আনলকড ১
কতদিন পর সবুজ ছুঁয়ে যাচ্ছে আমার আধঘুমন্ত পা। স্বেচ্ছা বন্দীত্বের কোন গন্ধ থাকে না, কোন স্বাদ থাকে না। মেঘ জমে চোখ থেকে দেখার দূরত্বে। খুব মৃদু হয় ফুসফুস পর্যন্ত হেঁটে যাওয়া। তারপর হঠাতই জারুল রঙা প্রেমিক হালকা ফুঁ দেয় বন্দিত্বের তিলকে। ওমনি চারদিক থেকে কত ফুঁ …। বেজে উঠছে ধান পিঁপড়ে, নারকেল পাতা পিঁপড়ে , জানালা পিঁপড়ে, কর্কটক্রান্তি পিঁপড়ে আর মৌসুমি পিঁপড়ে। হাঁটু আর কনুইতে সিক্স লেয়ার মাস্ক বেঁধে ঘুড়ি ওড়ালাম। সারা শরীরে অজস্র ঘুড়ির ছটফটানি। মাস্কও ঝটপট করছে ঘুড়ির মতো। ওদিকে জারুল বন থেকে বেগনি রঙ গড়িয়ে নামছে শ্লোকের আকাশে। মিশে যাচ্ছে তোবড়ানো গলা আর নিভন্ত ফুসফুসের প্রত্যেকটি জলরেখায়। হাতের রেখা থেকে আয়ু গড়িয়ে যাচ্ছে সমুদ্রে। একের পর এক আছড়ে পড়ছে নতুন নতুন আমি জন্মের ঢেউ।
পটভূমি
একটা কালো কাণ্ড কিম্বা একটা চিৎকারের ওপর লেখা হচ্ছে মুখ, সময়ের মুখ, ভেঙে যাওয়া মুখ। বীজ বলে কিছু থাকে না জন্মকথায়, বীজ বলে কোন আতুর নেই বোধহয়। জ্বলন্ত সূচের ওপর গেঁথে রাখছি অভিজ্ঞতার দিন। তুমি যে কারণে একট কমা রাখছো কথায়। ক্রমশ লিখছ হেরে যাওয়া আয়নায়। সেখান থেকে আমি একটাই জারুল তুলে নেবো। ছায়ার কোনো লিখিত ক্ষত নেই, নেই কোনো মৃত্যু গন্ধের ছবি। দেহ থেকে মুছে যাচ্ছে জন্মদাগ, গড়িয়ে পড়ছে গলিত স্বপ্নের রস। সেই অকালে আমরা পরিচিতি হারিয়ে ফেললাম। চেতনার শবদেহে রাখলাম আমাদের নম্বরঅস্তিত্ব আর একটি জ্বলন্ত সবুজ চা বাগান।
![জয়শীলা গুহ বাগচী](https://irabotee.com/wp-content/uploads/2021/05/FB_IMG_1621191101350-150x150.jpg)
কবি
খুব ভাল লেগেছে লেখাগুলো ৷