আনুমানিক পঠনকাল: 3 মিনিটআজ ৩০ জুন কবি রঞ্জন মৈত্র’র শুভ জন্মতিথি। ইরাবতী পরিবার তাঁকে জানায় শুভেচ্ছা ও নিরন্তর শুভকামনা।
ডাকো
এই ধ্বনি শুকনো পাতার
একটা জরুরী পা
কত অপমান পেরিয়ে
প্রায় দুপুর পেরিয়ে
ঝরঝরে ভাতের ধ্বনি
কানগুলি মোর
ওহ মোড় নিয়ে এত কী নছল্লা
এতো আঠামতো পৌণপুনিক
এই ধ্বনি শুকনোর
খাম খুলে চিঠিটির পাশে বসা পা
#
যে আবার ডাকো
কাকে নেবো
টান এক পুনঃ আর ছায়া সর্বনাম
কাকে বলব সবুজ ট্রেকিং
কেন মানচিত্র নেই
তুলনামূলক ক্লাসে উপস্থিতি নেই
এই কষ্ট নৃপেনের , শম্পার, খোকা নমিনির
তোভাত তোভাত ক’রে
বর্ষণ ধর্ষণ পেরিয়ে
প্রায় হেমন্ত পেরিয়ে
নওল কড়াইশুঁটি ও তার
হরকত ভেসে আছে
ধরতি টর্তি বললে চলবে তো
যতদূর চোখ পায়
স্বরলিপি
তারও পরে তারও আরও পরে
পা দিয়ে লহড়া ঢুকছে
ক্লাস ও ফ্লাসের মধ্যে এই পাললিক রেখা
গ্লোবাল নলখ্খা বললে
ও’ গোপেন কাজ চলবে তো
#
যত দূর চোখ পায়
চিঠি এক
যতদূর কান পায়
খামের অপর ওই টুং টাং অযোনিসম্ভব
কি মেরিন কি মেরিন
ড্রাইভ ছাড়াই
বঙ্গাব্দ খ্রিস্টাব্দ খুলে সেবা দেয়
পাতার তেষ্টায় ।
![Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com](data:image/svg+xml;base64,PHN2ZyB4bWxucz0iaHR0cDovL3d3dy53My5vcmcvMjAwMC9zdmciIHdpZHRoPSIxNTAiIGhlaWdodD0iMTUwIiB2aWV3Qm94PSIwIDAgMTUwIDE1MCI+PHJlY3Qgd2lkdGg9IjEwMCUiIGhlaWdodD0iMTAwJSIgc3R5bGU9ImZpbGw6I2NmZDRkYjtmaWxsLW9wYWNpdHk6IDAuMTsiLz48L3N2Zz4=)
ওলটানো পাতাগুলো সোজা হয়ে গেলে
দেখি, প্রচ্ছদের কতদূরে এক হাতঘড়ি
নজর আন্দাজ ভুল প্রিন্টার্স লাইনে
ঠান্ডা হয়ে এলো নাকি ৫ই অক্টোবর
এটা ছাদ ওটা নিরাপত্তা মলাট
লাইন পেরিয়ে চির কলোনীটি পড়ি
সুতো ছেড়ে চলে যায় কারেকশনের চাঁদিয়াল
পেজমার্ক ক্যালেন্ডার শেষ পড়া কোটেবল পাঁতি
সমস্ত পুড়িয়ে ঘর গরম করেছি
শুরু থেকে পাঁচ তারিখ পড়ব ফের
সূচিপত্র থেকে দূরে রয়েছে তো কাঁকড়া ও বকখালি
দূরের পাওয়ার খসে চোখ থেকে
শব্দের অনর্থে ছেঁড়ে যোগাযোগ জাল
কোথাও জলতরঙ্গে রাগ মীনধ্বনি
কোথাও মরণোত্তর গান করছেন মান্না দে
পতাকাকে প্রেম ভাবা আরেকটা
কারেন্ট না থাকলেও স্পার্ক করে মানুষের দেশ
এসো আমার ঘরে এসো সুধন্যখালির বাঘ
এসো যে হুঙ্কার স্রেফ লোনাজলে ভেসে যায়
ফ্যাকাশে চোখ তাদের মাদারবোর্ড, পোর্ট, হলদিয়া।
দীর্ঘজীবী নয় বলেই সে ইনকিলাব
চির-চাওয়া নিম্নচাপ ঘনীভূত না-দেখা সাগরে
মোরে আরও আরও দাও সাইক্লোন
১৩০ কিমি বেগের ভালবাসা স্রেফ পোস্ট এডিট হয়ে যাবে
মণিকে দেখছে আকাশ। ওই নিঃশব্দ থেকে নাম সর্বনাম। নামগুলো
চোখকে দেখছে। রং কারখানার দিকে অপলক দেয়াল, মাঠগুলো
দেয়ালের দিকে। দু’একটি ইটের বিলাপ ছাড়া আর ঘূর্ণি,
ভুমিকম্প, মাত্র চুন বালি।
মণি দেখছে নীল রঙ শূন্যকে। মাত্র পায়ের ছায়া মাঝে মাঝে,
মাত্র দু’এক কুচি সর্বনাম বাঁচানো। চাকায় চাকায় মোছা পীড়িত
এলাকা, মণি মোছা। ঢেউ তুলে ছুটে আসছে ধাতু, ধুলো তুলে
পোড়া পলিমাটি। মাঠের অপলকগুলো নাম নেই, গাঢ় ও
গাছগোছের জন্য যে আলো ফোটে
লেখার জীবন নার্সিং হোম পার হয়ে
Related