আনুমানিক পঠনকাল: 2 মিনিট
হেঁশেলবাদিনী
রান্নাঘর গেলেই আমার তোমাকে মনে হয়, তোমার মুখ আর উজ্জ্বল চোখের বীক্ষণপথ বারকোষের কানা ধরে সোজাসুজি আমার দিকে তাকায়। কেবল স্থির একটা দেবতা, পশ্চিমাকাশ ভরে যেমন একটা
আলোর তুবড়ি ক্রমশ এসে চুপ করে যায়,সেইরকম তোমার কালো মিশমিশে শার্ট । সরিয়ে রাখি তোমার এই দৃষ্টিমুখ, শুভদৃষ্টির থাবা । একটু অপেক্ষা করো, গোলাপ পাতার পাশে কফি করে রেখে আমি নিজের জন্য একটা প্যানে তেল গরম করে দুটো ডিম ফেটিয়ে ওতে ঢেলে দিলাম । আর দেওয়ামাত্র কী চিৎকার। কী চটক সেই আদুল গায়ের, বারান্দার এদিকে তাকে আমি উষ্ণতার কেন্দ্রে রেখে ভেজা জামা আর তলার জামাদের উল্টে পাল্টে দিতে দিতে তাকাই আর স্বাদ ভরে দেখি,দেখি আর অসমাপিকাদের
তাতিয়ে দিই।
এভাবেই
ব্যর্থ আশ্লেষ একটা বেলা চোখের ওপর চোখ রেখে রান্নাঘর হয়ে যায়
পোড়া জাফরানের গন্ধ
আপনার লেখার ভেতরে আরো একটা দুটো করে বেলা বাড়বে
আর কৃষ্ণাঙ্গ অক্ষর সেই কচি পায়ের এক জোড়া লাল জুতোর মতো
টানছে , যেন তপোবনে গুরুগৃহের সামনে
বার্হস্পত্য তৈজসে চাপা দেওয়া
বন্ধখাম, পত্রঘুম, এক বিন্দু আঘ্রানিত আমি
এর পর কাঁসার রেকাবি হলুদ গুঁড়োতে শুধিয়ে নিচ্ছিলাম
আর আপনি নিদারুণ শ্লেষে
আমার পাঠানো ধলেশ্বরীর শামুক স্বয়াহিলি বিভাবরীকে
বাতায়নিকের খাতায়
নিদেনপক্ষে নশ্বরতার পিঠে এক উইঢিপির মধ্যে সংসাধন করলেন
( শ্মশানচারী বৈজুনাথের কথা মনে পড়ে কোথাও)
আর একথার ঠিক ছয় হাজার
সৌরযাপনের ঘর ভেঙে আজকের দিনের জন্য
আমি দেহের অভ্যন্তরের জাফরান ফ্রাঙ্কিনসেন্স্ কবেকার
আস্তাবল থেকে কুড়িয়ে চলেছি একাগ্রতায়
ভুলে গেছি কাপড় বদলাতে
তারায় তারায় খচিত
কিংস কলেজের উত্তর-পূর্ব কোণে হংসিনী তখন পালকমন্থন
দিচ্ছে আঙুরলতাকে, বিষন্ন আলোয় হাঁসের সাদা ফ্রকের
হুক্ আলগা করে রোদ্দুরের শব্দ
টেনে নিচ্ছে তার
বর্ষা সম্পন্ন স্কার্লেট পায়ের ডিমে
মাধবীলতার বীরবৌলি গড়িয়ে মাকড়ির মতো
ডুবিয়ে দিও পদ্মডাঁটির বিছ্নায় , কানের লতির
আল, যাদের গায়ে এখনো দুধের মামড়ি
তোমার তখন কলাপাতা চোখমুখ থুতনির কুসুম
জঠরের নীল মুকুরে মায়ের কষ্ট আঙুল দিয়ে দেখার
বয়স, আর পৃথিবীর বিলিয়ন নদের শেষে
আমি দেখি দিন দুপুরে পাখির রমণ
মাঝে কালি ঢালা ব- দ্বীপ। সাঁঝ লাগা ইস্পাতের
রক্তমুখী
নীলা অনাগত কালের
আমরা তখন বাকি নক্ষত্রপথ ত্যাগ করে
অন্ধকার রঙের কচুরিপানা
সরাতে সরাতে লেভেল ক্রসিং পেরোচ্ছি
কবি
তিনটিই দারুণ