| 26 এপ্রিল 2024
Categories
জীবন যাপন দেহ স্বাস্থ্য

নিয়মিত প্রাণায়ামের প্রথম পাঁচটি ভালো দিক

আনুমানিক পঠনকাল: 2 মিনিট

সারা দুনিয়া জুড়ে প্রাণায়াম সাঙ্ঘাতিক জনপ্রিয়, কিন্তু এ দেশেই তার তেমন রমরমা নেই। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের সেই অর্থে জানাই নেই যে প্রাণায়াম আসলে শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণের অতি প্রাচীন ও কার্যকর এক কৌশল। আপনি যদি সচেতনভাবে শ্বাস নেন ও তা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হন, তা হলে নিজের অজান্তেই বাড়বে শরীরের ক্ষমতা। ছোটখাটো অসুখ-বিসুখ আপনাকে বিব্রত করতে পারবে না। তবে অতি অবশ্যই একজন প্রশিক্ষকের দ্বারস্থ হোন এর সূক্ষ্ম টেকনিকগুলি শেখার জন্য। নিয়মিত প্রাণায়ামের প্রথম পাঁচটি ভালো দিক কী কী তা জেনে নিন।

প্রাণায়াম স্ট্রেস কমাতে কার্যকর
আপনার স্ট্রেস বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে শারীরিক অসুখ-বিসুখ ও ব্যথাবোধ। প্রাণায়াম আপনাকে রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে। তাতে যে কেবল মন ভালো হয় তা নয় কিন্তু, ধীরে ধীরে আপনার নার্ভাস সিস্টেমের স্বাস্থ্যও ভালো হতে আরম্ভ করে। ফলে অনেক শারীরিক অসুবিধে থেকেও মুক্তি পাবেন।

শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম কী হজমশক্তিতে প্রভাব ফেলে?
হ্যাঁ, ফেলে। অন্তত প্রাণায়াম তো ফেলে। আমাদের শ্বাস নেওয়ার তালে তালে ওঠা-পড়া করে আমাদের ডায়াফ্রাম। সেই সঙ্গে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উত্থান-পতন হয়। পাকস্থলীর খাবার বা পানীয়ও শ্বাসের তালে তালে ওঠে-পড়ে। প্রাণায়াম করার সময় আপনি যেভাবে বসেন, তাতে খাদ্য ও পানীয়ের গতিপথে কোনও বাধা সৃষ্টি হয় না। ডায়াফ্রামও পুরোপুরি কাজ করে। সঠিকভাবে প্রাণায়াম অভ্যেস করলে ক্রমশ আপনার ওজন কমতে আরম্ভ করবে।

উজ্জ্বল নিদাগ ত্বক পেতে সাহায্য করে প্রাণায়াম
আপনি কখনও পার্লার বা স্পায়ে গিয়ে অক্সিজেন ফেসিয়াল করিয়েছেন? তা হলে নিশ্চয়ই জানেন যে অক্সিজেন আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতার অন্যতম প্রধান কারণ? প্রাণায়ামের দরুণ বাড়তি অক্সিজেন পাবে আপনার ত্বক, ফলে তার সুস্থ ও সুন্দর হয়ে ওঠাটা কেবল সময়ের অপেক্ষা!

ফুসফুস পরিষ্কার হয় ও তার কার্যক্ষমতা বাড়ে
প্রাণায়াম অভ্যেসের সময় যখন আপনি প্রশ্বাস ছাড়ছেন, তখন ফুসফুসের একেবারে তলদেশ পর্যন্ত খালি হয়ে যায়। আমাদের শ্বাসবায়ুর সঙ্গে অনেক অপরিশোধিত কণাও ঢুকে পড়ে ফুসফুসে। মাধ্যাকর্ষণের টানে তা জমা হয় এই অঙ্গের একেবারে নিম্নতম প্রান্তে। দীর্ঘকাল তা সেখানেই আটকে থাকলে ফুসফুসের কার্যকারিতা ব্যাহত হবে। কিন্তু প্রাণায়াম এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের একেবারে গভীরতম কোণ থেকে শেষতম কণাটিকেও বের করে আনতে পারে, ফলে ফুসফুস হয়ে ওঠে শক্তিশালী।

মনের জোর বাড়ায়
প্রাণায়ামের সুবিধে হচ্ছে, তা বাচ্চা-বুড়ো সকলেই অভ্যেস করতে পারে এবং তা মনের জোর বাড়াতে দারুণ কার্যকর। এর নিয়মিত অভ্যেস বাড়ায় মনঃসংযোগ। যাঁরা ডিপ্রেশনে ভুগছেন, তাঁরা প্রাণায়াম অভ্যেস করলে নিশ্চিতভাবেই উপকার পাবেন।

.

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত