| 1 সেপ্টেম্বর 2024
Categories
উৎসব সংখ্যা’২০২১

ইরাবতী উৎসব সংখ্যা: প্রজাকাহিনী । নিবেদিতা আইচ

আনুমানিক পঠনকাল: 6 মিনিট

আলকাতরার মতো অন্ধকার কাকে বলে আজ বুঝতে পারছি। মোবাইল ফোনের আলোটা মৃদু হয়ে আসছে। চার্জ ফুরিয়ে গেলে এরপর অনুমান করে পা ফেলতে হবে। রাস্তাটা আমার হাতের রেখার মতো চেনা না হলেও পা ফেলে বেশ খানিকটা যেতে পারব বলে মনে হয়।

পেছনে পায়ের শব্দগুলো থিতিয়ে এসেছে অনেকক্ষণ। তাই আমিও গতি কমিয়েছি। কিন্তু এভাবে কতদূর?

এমন ইটের রাস্তায় হাঁটা মোটেও সহজ নয়। আমাকে বারবার হোঁচট খেতে দেখে জাদু হেসে ওঠে। অন্ধকারে হাসির শব্দটা অশরীরীর মতো শোনায়। আমি ভীষণ চমকে উঠি। জাদুর মুখের রেখা এতটুকু বদলায়নি তবু ওর গলার স্বরে এখন যে বিদ্রুপটা আছে তা ঠিক ধরতে পারছি।

হোঁচট খেয়ে থেমে পড়ার পর থেকে মনে হচ্ছে হাঁটুর নিচ থেকে বাকি অংশটুকু অবশ হয়ে গেছে। এতদূর কীকরে এলাম সেও এক বিস্ময়। টিচার্স কলোনী পেরিয়ে কাঁচাবাজার ছাড়িয়ে বাসস্ট্যান্ডের কাছাকাছি চলে এসেছি। শাটার ফেলা সারি সারি দোকানের বাইরে হলদে লুমেন বাতির রেখা, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এবার সেই রেখার দিকে এগোতে চেষ্টাকরছি।

জাদু আবার হাসছে। আমার মনে হয় এসব বিভ্রম ছাড়া আর কিছু নয়। মাঝরাতে ঘুম চোখে মাইল তিনেক ছোটাছুটির ফল। তবু ওর চেপে রাখা হাসির শব্দে প্রচণ্ড রাগ লাগছে আমার। ওকে সঙ্গে আনাটাই আসলে ভুল হয়েছে। বকবকানি শুরু হবার ভয়ে দাঁতে দাঁত চেপে চুপ করে আছি।

তাতে কী! আমর মাথায় টোকা দিয়ে ইঁচড়েপাকার ভঙ্গিতে সে বলে উঠল – বস, আপনার এ মুহূর্তের অনুভূতি কী? বলুন না, খুব জানতে ইচ্ছে করছে!

বাম পায়ের বুড়ো আঙুলে ভীষণ যন্ত্রণা হচ্ছে।বোধ হয় নখটা উল্টে গেছে। পায়ের সাথে লেগে থাকা চটচটে তরলটা রক্ত নাকি কাদাপানি সেসব দেখার উপায় নেই। আমিআবার গতি বাড়ালাম। রতন কাকার দোকান অব্দি পৌঁছাতে পারলে হয়ত একটা ব্যবস্থা হতে পারে। কিন্তু ভোর হতে হতে আবার জায়গা বদল হওয়া চাই। এদিকটায় এসেও তল্লাশি করতে পারে ওরা। ওরা জানে আমি মাঝেমাঝে সুজনপুরের বাস ধরে দূর সম্পর্কের এক মামার বাড়ি যাই৷

বাসস্ট্যান্ডে বাস আছে কিন্তু একটাও প্রাণী নেই। ক’মাস ধরে দু’দিন পরপর পরিবহন ধর্মঘট লেগেই আছে। হল থেকে বেরিয়ে আসবার সময় আমার মনে ছিল না ধর্মঘটের কথা। মনে থাকলে এদিকে আসতামই না।রতন কাকার দোকানেও আজকে কেউ নেই। ডাকাডাকি করে তাইকোনোসাড়া পেলাম না।ধর্মঘট বলে বোধ হয় কর্মচারীটাও বাড়িতে গিয়ে ঘুমাচ্ছে।

আমি একটু ইতস্তত করে ভেজা ভেজা বেঞ্চিটায় বসলাম। এতদূর ছুটে এসে এখন আবার শীতের আঁচটা গায়ে লাগছে। লক্ষ করলাম তাড়াহুড়ায় গলায় করে গামছাটাও এনেছি।

ঘটনাটা খুলে বলি। টিভি রুম থেকে ফেরার পথে ক্যান্টিন থেকে ডিমের ঝোল আর ভাত নিয়ে এসেছিলাম। সে ভাত আর পেটে পড়েনি। হাতমুখ ধুয়ে বারান্দায় ঝোলানো গামছাটা নিয়ে রুমের জানালায় চোখ রাখতেই দেখি ভেতরে ওরা জিনিসপত্র তছনছ করছে।

দরজার বাইরে জাদু তখনো বসে ছিল। ওকে কেউ লক্ষই করেনি। আমি দোনামোনা করতেই সে বলে উঠলো -প্লিজ, আমাকে ফেলে যাবেন না!

সেই থেকে বকবক করে চলেছে ব্যাটা! এদিকে কানের ভেতর বরফের তীক্ষ্ণ ফলা দিয়ে কেউ খোঁচাচ্ছে যেন। তার ওপর যোগ হয়েছে মশাদের কেত্তন। গামছা দিয়ে মাথা আর কান দুটো ভালো করে পেঁচিয়ে ঠান্ডা বেঞ্চিটায় এবার পা তুলে বসলাম আমি।

ভালোই তো হলো, ওরা ভাববে বাস চলাচল বন্ধ বলে এদিকে আসেননি আপনি।এই দফা বোধ হয় বেঁচেই গেলেন, বস!

তীব্র বিতৃষ্ণা নিয়ে জাদুর মুখটার দিকে তাকালাম। ওর হাসিটা বদলায় না কখনো। ওটা দেখলে পিত্তিটা জ্বলে যায় আজকাল।

বস, এ আপনার ভারি অন্যায়!

ন্যাকামি বাদ দিয়ে কী বলতে চাইতেছিস পরিষ্কার করে বল তো!

আমার ধমক খেয়ে জাদু এবার যেন ভ্রু কুঁচকে তাকালো। ওর ভাবভঙ্গি দেখে রাগে শরীর কাঁপছে আমার।

আপনি ভাবছেন সব আমার দোষ? সাথে করে আনতে চাননি তো আমাকে?

জাদু কি এবার থেকে থট রিডারও হয়ে উঠেছে? আমি জিভ দিয়ে ব্লটিং পেপারের মতো খসখসে শুকনো ঠোঁটটাকে ভেজাতে চাইলাম একবার।

তুই যা ভাবছিস তা না, ব্যাপারটা আসলে ঠিক হয় নাই। এবারের সংলাপগুলা একটু বেশি বেশিই হয়ে গেছে।

তাহলে এখন কী করবেন? আগামীকাল সন্ধ্যায় যে পারফরম্যান্স আছে আমাদের, সেটায় কি সংলাপের পরিবর্তন হবে কিছু? ওদের পক্ষে কিছু বলে দিলেই তো খুশি হয়ে যায় ওরা।

আমি জাদুর কথা শুনে রীতিমতো অবাক হয়ে যাচ্ছি। ও অবিকল আমার স্বরে কথা তো বলছেই, এমনকি আমি এখন যা যা ভাবছি তাই যেন পাঠ করে শোনাচ্ছে। মনে মনে বললাম- রাখ তোর পারফরম্যান্স! এখন ক্যাম্পাসে গেলেই ঠ্যাং ভেঙ্গে দিবে ওরা।

কিন্তু বস, সেদিন না রিহার্সালে সবাইকে বললেন, যে যা মনে করুক সত্যি কথা বলতে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে একপাও পেছাবেন না আপনি!

এ মুহূর্তে এই ঘাড়ে চেপে বসা ‘বেতাল’টাকে কোথাও ছুঁড়ে ফেলতে পারলে ঠিক হতো। ও সত্যিই থট রিডিংশুরু করেছে। কত্ত বড় সাহস ব্যাটার! রাগে গজগজ করতে করতে আমি উঠে দাঁড়ালাম।

আচ্ছা বস, এই শো তে ‘বেতাল’ এর মতো আপনার ঘাড়ে চেপে বসলে কেমন হয়?

আমার থমথমে মুখ দেখেও সেথামেনা। হড়বড় করে কথাবলতেথাকে।

না মানে, নতুনত্ব আসবে তাহলে। সবসময় তো আপনার বাম পাশে বসান আমাকে। একই ভঙ্গিতে আমাকে দেখতে দেখতে দর্শকদের একঘেয়ে লাগতে পারে।

মাথার দুপাশে টনটন করছে ব্যথায়।তবুপুরো ব্যাপারটা একবার ভাবার চেষ্টা করলাম। সমস্যা দুটোই শুরু হয়েছিল একই সঙ্গে। না, আসলে জাদুর মধ্যে এসব লক্ষণ শুরুতে ছিল না। ঠিক আমাদের শেষ শো এর পর থেকে ও এমন বদমায়েশি শুরু করেছে। সেদিন প্রথমবার স্টেজে রাজা আর প্রজার সংলাপটা পারফর্ম করেছিলাম আমরা।

এমনিতে সংলাপে জাদু আমাকে বরাবরই বস বলে ডাকে। আমি ডাকি জাদু বলে।সেদিন সম্বোধনে কিছুটা পরিবর্তন এনেছিলাম। আমি ছিলাম রাজার ভূমিকায় আর জাদু কথা বলছিল প্রজার গলায়। শুরুতে বেশ হাততালি পেয়েছি। জাদু এমনিতেও বেশ কিছুদিন হলো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দর্শকের কাছে। ক্যাম্পাসের বাইরের প্রোগ্রামেও আমাদের ডাক পড়ে আজকাল। স্থানীয় প্রশাসনের অধীনে শিল্পকলায় যে ক’টা অনুষ্ঠান হলো তাতে তিন চারবার পারফর্ম করে ফেলেছি আমরা। কাজেই আমরা এখন চেনামুখ হয়ে উঠছি।

গতকাল থেকে ভেবে ভেবে যা বুঝলাম আমার ভুলটা হয়েছে বাইরের প্রোগ্রামে এই কথোপকথনটা রেখে। ক্যাম্পাসের প্রোগ্রামেও এত ছাত্রছাত্রী আসে না। কিন্তু শিল্পকলায় কিছু হলে তারা দল বেঁধে যায়। শেষ বর্ষের শফিকুল ভাইয়ের মতো নেতা গোছের কয়েকজন যে সেদিন দর্শকসারিতে ছিল তা আমি দেখেও ছিলাম। তবুও বুঝিনি আমার আর জাদুর ভোট জালিয়াতি সংক্রান্ত বিদ্রুপাত্মক সংলাপগুলো শুনে ওরা এমন ভয়ংকর প্রতিক্রিয়া দেখাবে।

সেদিন তবু আমাদের পারফরম্যান্স শেষ করতে পেরেছি। জাদুর মতে ক্যাম্পাসে প্রোগ্রাম হলে তক্ষুনিই মেরে আধমরা করে দিত ওরা। হলের রুম অব্দি আসার জন্য অপেক্ষা করত না।

আমার গায়ে একটা হাই নেক টিশার্ট। তাড়াহুড়োয় একটা চাদর বা সোয়েটার পর্যন্ত নেবার সুযোগ পাইনি। এখন রাত গভীর হতেই হাড়ে হাড়ে কাঁপুনি লাগছে। জাদুর গায়ে বরাবরের মতো রঙচঙে জামা। গতকালকের প্রোগ্রামের পর কস্টিউমটা পর্যন্ত বদলান হয়নি তার।

ওর দিকে তাকাতেই এবার চোখ নাচিয়ে বলল-বস, আমাকে ওরা কিছু করেনি কেন জানেন?

এবার রাগে চিড়বিড় করে উঠলাম আমি। অতিরিক্ত বুলি কপচাচ্ছে বদমাইশটা।

কেন রে ব্যাটা? কেন ওরা তোরে কিছু করল না?

কারণ বসবারাজা যাই বলেন সবই তো আপনি! আমি তো সামান্য প্রজা। যেমন চালান তেমন চলি, যেমন বলান তেমনি বলি!

ওর ঘাড়টা ধরে আমি এক ধাক্কায় মাটিতে ফেলে দিলাম এবার। ওকেগলা টিপে খুন করতে পারলে আমার রাগটা কমত এখন। ঐ অবস্থাতেই খুব অবাক চোখে আমার দিকে তাকিয়ে রইল সে। বোধ হয় হঠাৎ করে এরকম খেপে উঠব সেটা ভাবতে পারেনি।

যা করেছি উচিত করেছি। ওকে এই অবস্থায় দেখতে আমার একটুও খারাপ লাগছে না।বদমাইশটার সবজান্তার ভাব আমি জন্মের মত ঘুচিয়ে দেব। যখন থেকে ভাবছি নিজেই গিয়ে শফিকুল ভাইয়ের কাছে মাফ চেয়ে আসব তখন থেকেই ওর বুলি ফুটতে শুরু করেছে। নীতির কথা, সৎ সাহসের কথা বলে আমাকে ক্রমাগত কৌশলে খোঁচা দিয়ে যাচ্ছে। ওর এই কথার ধাঁধায় পড়েই তো এতদেরি হয়ে গেল। আমি যাবার আগেই রুমে শফিক ভাইয়ের ছেলেপুলেরা অ্যাটাক করতে এলো।

জাদু ঐ অবস্থাতেই মুখে অদ্ভুত একটা হাসি এঁটে রেখে বলল- এমন তো হবার কথা ছিল না বস! আপনি আমাকে সব শিখিয়ে পড়িয়ে এখন তো পল্টি খেতে পারেন না!

খবরদার! তর্ক করিস নাএকদম! যত বড় মুখ না তত বড় কথা!

আপনি ঐ ভোট চোরদের কাছে গিয়ে মাফ চাইবেন আর আমি আপনাকে বাধা দিব না তা তো হতে পারে না! আপনি এমনকি আমার সংলাপটা পর্যন্ত বদলে দিবেন ভাবছেন!

ওর মতো একটা জড়-ভরতের মুখে কথা কী করে ফুটল! ভাবতে আমার গায়ে রীতিমতো কাঁটা দিচ্ছে। ওর একটা ব্যবস্থা করতেই হয় এবার।

পকেটে থাকা ফোনটা বেজে উঠল বলে ভাবনাটা তখনকার মতো চাপা দিতে হল। মুনির ভাইয়ের নম্বর। হল থেকে বের হয়ে প্রথমে তাকেই কল দিয়েছিলাম কয়েকবার।

মুনির ভাই আমাদের সাংস্কৃতিক কমিটির সম্পাদক। খুব কাজের লোক। তিনি তখন ফোনটা ধরলে এই শীতের মধ্যে মাঝরাতে খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে হতো না আমার।

এক মিনিটের বেশি কথা বললেন না মুনির ভাই। বরাবরের মত মানুষটা কী সহজ একটা উপায় বাতলে দিলেন!ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল আমার।

ফোন রেখে চেপে রাখা দীর্ঘশ্বাসটা ছাড়তেই জাদু সেই বিশ্রী ভঙ্গিতে হাসতে হাসতে বলে উঠল-

‘রাজা যখন চুরি করে,

তাহার গালে জুতা পড়ে।‘

আমাকে বিদ্রুপ করতেই যেন হাতে তাল দিতে দিতে আবৃত্তির ভঙ্গিতে বারবার বলতে লাগল কথাগুলো। বুঝলাম ওর ব্যবস্থাটা এখন না করলেই নয়।

ওর দিকে হাত বাড়াতেই আমাকে আরো বেশি চমকে দিয়ে ছিটকে দূরে সরে গেল জাদু। রংচঙে পোশাকটা ধুলাবালি লেগে ময়লা হয়ে গেছে। মাথার পরচুলা খুলে গেছে। এমন কিম্ভুতকিমাকার চেহারায় ওকে আরো ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছে।

দূর থেকে মাথা নাড়তে নাড়তে তীক্ষ্ণ গলায় সে বলে উঠল- এতদিন আপনার শেখানো বুলি আওড়ে গিয়েছি। আজ থেকে আর নয়। আজ থেকে আমিই আমার বস!

আমিও ধমক দিয়ে বললাম-সুশীলগিরি মারতেছস? চোপা বন্ধকর!

মুনির ভাই ক্ষমা চাইতে বলেছে, ক্ষমা চেয়ে আসুন। কিন্তু আমার কাছে এমন পল্টিবাজের ক্ষমা নেই।

জাদুর গলার স্বর শুনে এবার আমার রীতিমতো অসুস্থ লাগছে। আমার চারদিক অল্প অল্প করে দুলছে। গলা শুকিয়ে আসছে।বিকট শব্দে চারপাশে যেন সাইরেন বাজছে। একটা সামান্য কাপড়ের পুতুল ভেন্ট্রিলোকুইজমকে বুড়ো আংগুল দেখিয়ে নিজে নিজেই কথা বলছে এই ব্যাপারটা কেমন উদ্ভট শোনালেও গত চব্বিশ ঘন্টা ধরে আমি এমন পরিস্থিতিতেই আছি। মনে হচ্ছে মাথা ঘুরে পড়ে যাব আমি।

ঐ তো জাদু উঠে দাঁড়িয়েছে নিজের পায়ে। ওর ক্ষিপ্র ভঙ্গিটা দেখে আপাদমস্তক কাঁপতে শুরু করলাম। এক পা এক পা করে সে এগিয়ে আসছে। ক্রমাগত নতুন নতুন সংলাপ বের হচ্ছে ওর মুখ থেকে।

আমি ঢলে পড়েছি মাটিতে। হাত পা অবশ হয়ে আসছে আমার। চেতনা হারাতে হারাতে আমি শুনতে পেলাম জাদুর অস্বাভাবিক উদাত্তকণ্ঠ৷ সে বলে চলেছে –

‘রাজামশাই চুরির ধনে করেন ভারি দম্ভ।

প্রজারা সবগুড়িয়ে দেবে সিংহাসনের স্তম্ভ!’

 

 

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত