উৎসব সংখ্যা সঙ্গীত: শারদ অর্ঘ্য । সংগ্রামী লাহিড়ী
কাল রাতে রাঙামাসি এসেছিল। পুজোর জামা দিতে। টুটু মহা খুশি। এবছর তাহলে ন‘টা জামা হল। পঞ্চমী, ষষ্ঠী, সপ্তমী… আঙুলে কড় গুনতে থাকে সে। সকালে একটা, বিকেলে একটা। একদিনে তাহলে দুটো নতুন জামা পরা যাবে এবার। উফ, কী আনন্দ! কিন্তু না! হিসেবে মিলছে না তো? পঞ্চমী থেকে দশমী – পাঁচ দিনের জন্যে তাহলে দশটা জামা চাই। একটা কম পড়ছে যে? কী হবে? মুখ শুকনো করে বসে আছে। জ্যাঠামণি ফিরল অফিস থেকে। ডাকছে। সেও অপেক্ষায় থাকে। হাতমুখ ধোয়া হলেই কোলে চেপে বসবে। সারাদিন কে কে তাকে কী কী বলেছে, কত অন্যায়, অবিচার তার সঙ্গে ঘটছে এ সংসারে, তার ফিরিস্তি শোনাবে। জ্যাঠামণি সবাইকে ডেকে ধমকে দেবে। শান্তি।
আজ জ্যাঠামণির হাতে বই। পুজোসংখ্যা তো কবেই এসে গেছে। কাগজকাকু সাইকেলে চড়ে এসে দিয়ে গেছে। এ বই পুজোসংখ্যার মত লম্বাটে নয়। বরং চওড়ায় বেশি। অনেক অনেক পরে সে জানবে, কাগজের এইরকম বিন্যাসের নাম ল্যান্ডস্কেপ। পাতলা বই, বেশি মোটাও নয়। সুন্দর, চকচকে পাতাগুলি। মলাটে দুগ্গাঠাকুরের ছবি।
টুটু তিড়িং করে একটা লাফ মারে। কী কাণ্ড! জামা গুনতে গিয়ে সে কিনা শারদ অর্ঘ্যের কথাই ভুলে বসে ছিল! আজই তো ছিল মহালয়া। রাত থাকতে উঠে মুখহাত ধুয়ে রেডিওতে বাণীকুমারের অনুষ্ঠান শুনতে বসেছে বাড়ীর সবার সঙ্গে। ‘যা চণ্ডী, মধুকৈটভাদিদৈত্যদলনী’… ‘আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোক মঞ্জীর’… তারপর অবধারিত ঘুমিয়ে পড়েছে আবার। ঘুম ভেঙেছে ‘রূপং দেহি জয়ং দেহি’ গানে। তখন সকাল হয়ে গেছে। আজই তো, আজই তো রেকর্ডের দোকানে আসে সেই বই। জ্যাঠামণি নিয়ম করে অফিস ফেরত কিনে আনে। শারদ অর্ঘ্য। পুজোর গানের বই। গানের পুজোবার্ষিকী। HMVর পুজোর রেকর্ড বেরিয়েছে। চকচকে মোটা মোটা গ্লসি পাতায় সেই সব রেকর্ডের শিল্পীদের ছবি, তাঁদের সই, গানের কথা। নাঃ, টুটুর আর কোনো দুঃখ নেই। জামা নাই বা হল, কী এসে গেল! তার তো শারদ অর্ঘ্য আছে। আর কিচ্ছু চাই না, কিচ্ছু না।
মাথা ভর্তি কাঁচাপাকা চুল, মধ্যবয়সিনী সোমা চশমাটা খুললেন। কাজের দিন। একের পর এক মিটিং, ইমেল, ব্যবসায়িক আদানপ্রদান। অক্টোবর মাস, আর্থিক বছরের শেষ কোয়ার্টার, ব্যস্ততা তুঙ্গে। তার মধ্যেই ওই ছোট্ট মেয়েটা হঠাৎ হঠাৎ এসে শেকড় ধরে টান মারে। বিদেশের ব্যস্ত শহর একমুহূর্তে বদলে যায় কলকাতার কাছের এক শান্ত মফস্বলে।
বিশ্বকর্মা পুজোর পরে পরেই রেডিওতে বাজানো হত HMVর পুজোর গান। পুজোর ক’দিন তো কথাই নেই। পুজো–প্যান্ডেলে টানা কয়েকদিন ধরে বাজবে সে বছরের পুজোর গানগুলো।
‘আলতা পায়ের আলতো ছোঁয়া পড়েছে, আল দিয়ে কে গেছে কোথায় জানি না।
সবুজ ঘাসের শীষ যে ক‘টি ঝরেছে, শিস দিয়ে কোন ময়না কী গায় জানি না।‘
তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় শরৎরানির সাজটি সম্পূর্ণ হল।
সে গান শেষ হতে না হতেই এবার বেজে উঠেছে একই রেকর্ডের অন্য গানটি।
‘রাত দুটো বেজে গেল, লক্ষ্মীটি ঘুউউউমো…’
নাক সিঁটকায় মেয়েটা। এটা তার পছন্দের গান নয়। গানের মাঝখানে আবার সুর করে কেউ একজন বলে, ‘না, না, না, নাআ…।‘ শুনলেই হাসি পায়।
বরং তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই গানটা খুব ভালো লাগে। ‘চলো রীনাআআআআ’ – বলে ওপরের দিকে উঠে কেমন সুন্দর একটা টান দেন। কী মাদকতা! শুনলেই মনে হয় বেরিয়ে পড়ি। মন ছুটে যায়। তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় গেয়ে চলেন,
‘চলো রীনা ক্যাশুরিনার ছায়া গায়ে মেখে,
এঁকে বেঁকে লাল কাঁকরের পথ ধরে
একটু একটু করে, এগিয়ে যাই –
বলো, যাবে কিনা?’
ভেতরটা যেন নেচে ওঠে, বলতে ইচ্ছে করে, “যাব, যাব।“
কী নিপুণভাবে গানে প্রকৃতির ছবি আঁকা হচ্ছে,
‘সোনারোদে ঝিকমিক, দেখো বালু চিকচিক
ছোট্ট নদী, মিষ্টি খোয়াই – পার হয়ে যাই।
চলো রীনা…’
সেও তো পুজোরই গান, শারদ অর্ঘ্যের পাতায় তার সঙ্গে পরিচয়।
খুব পছন্দের আরেকজন শিল্পী নির্মলা মিশ্র। শান্ত, মায়া জড়ানো মুখ। তিনকোণা চশমার ফ্রেমটি কখনোই বদলায় না। আর বদলায় না সুর, স্থির হয়ে থাকে অনবদ্য মিষ্টি গলায়।
‘এমন একটি ঝিনুক খুঁজে পেলাম না, যাতে মুক্তো আছে
এমন কোনো মানুষ খুঁজে পেলাম না, যার মন আছে।‘
গানটা মেয়েটার মুখস্থ। কয়েকবার শুনেই তুলে নিয়েছে। যথন তখন গুনগুনিয়ে ওঠে সুর,
‘পথেই শুধু পথ হারালাম, নিরুদ্দেশে গেলাম না
ভালো বাসা অনেক পেলাম, ভালোবাসা পেলাম না।‘
‘ভালো বাসা‘ আর ‘ভালোবাসা‘ উচ্চারণ দিয়েই নির্মলা বুঝিয়ে দিচ্ছেন দুটো কথার তফাৎ। মেয়েটা আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে। তাকে ছুঁয়ে যাচ্ছে সে কোন এক অজানা বিষাদ।
রেডিওতে বাজে নির্মলার আরো অনেক সুপারহিট গান। পিসি তাকে শুনিয়েছে,
‘ও তোতাপাখি রে, শিকল খুলে উড়িয়ে দেব, মাকে যদি এনে দাও, আমার মাকে যদি এনে দাও।
ঘুমিয়ে ছিলাম মায়ের কোলে, কখন যে মা গেল চলে,
সবাই বলে ওই আকাশে লুকিয়ে আছে, খুঁজে নাও‘
এ গানটা শুনে মেয়েটা ভ্যাঁ করে কেঁদে ফেলে মায়ের কোলে গিয়ে মুখ গুঁজে দিয়েছিল। মায়েরা কখনো এমন করে চলে যেতে পারে? তার মাও কি কোনোদিন…
মা ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন, “কী হল রে, কাঁদছিস কেন, এ কী?”
“গান…” মেয়েটার ফোঁপানি আর থামে না।
পিসি তখন জিভ কেটেছে, “ইস, কেন তোকে শোনাতে গেলাম!”
পিসির সঙ্গে বসে আরেকটা গান শুনতে বরং তার খুব ভালো লাগে। এ গান নাকি তার জন্মের অনেক আগের গান, পুজোর গান। রেডিওতে প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় বাজে,
‘বাঁশবাগানের মাথার ওপর চাঁদ উঠেছে ওই,
মা গো আমার শোলোক বলা কাজলা দিদি কই?
পুকুরপাড়ে লেবুর তলে, থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, তাই তো জেগে রই –
রাত্রি হল মা গো আমার কাজলা দিদি কই?’
সত্যিই তো তাদের বাড়ির পুকুরধারে একটা বাতাবি লেবুর গাছ। ওদিকে বাঁশবাগান। সরু সরু বাঁশপাতা দেখতে কী যে সুন্দর! সন্ধেবেলায় চাঁদ উঁকি মারে পাতার ফাঁকে। জোনাকি ওড়ে। হাসনুহানার গন্ধে ভারী হয়ে আসে বাতাস। পিসি তাকে বলেছে, এ গান লিখেছেন যতীন্দ্রমোহন বাগচী। লাল, উঁচু রোয়াকে পিসির পাশে পা ঝুলিয়ে বসে সে জিজ্ঞেস করে, “আচ্ছা, তিনি কি আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন? কী করে জানলেন এসব?”
পিসি হাসে, “নিজেই বুঝতে পারবি একদিন।” সে পিসি আজ না ফেরার দেশে। বড্ড অভিমান, সবকিছু পিসি বুঝিয়ে দিয়ে যায়নি।
শারদ অর্ঘ্যের বইতে মাঝে মাঝেই মেয়েটা দেখে সিনেমার আর্টিস্টদের ছবি। তাঁরাও গান রেকর্ড করেন। কয়েকজন তো খুবই ভালো গাইতে পারেন। বিশ্বজিৎ সিনেমার নায়ক, সে শুনেছে। কী সুন্দর দেখতে। তাঁর গাওয়া পুজোর গান মেয়েটার খুব ভালো লেগেছে। যেমন সুর, তেমন মিষ্টি গলা। গলার জোয়ারি বোঝার ক্ষমতা তখনও তার হয়নি।
‘তোমার চোখের কাজলে আমার ভালোবাসার কথা লেখা থাকবে,
আমায় ভালোবাসবে আর মনে রাখবে
তোমার স্মৃতির আঁচলে আমার প্রেমের প্রদীপখানি জানি ঢাকবে,
আমায় ভালোবাসবে আর মনে রাখবে।‘
মেয়েটা জানে, এ হল বড়দের গান। তাতে কী? গান শোনায় আর তুলে নেওয়ায় কোনো বারণ নেই। তবে সিনেমা দেখা মানা। বাড়ির কেউই প্রায় সিনেমাহলের দিকে যান না।
সিনেমা না দেখলেও সে কিন্তু হেমা মালিনীর নাম জানে। তাঁকে দেখেছে বইয়ের ছবিতে। কী সুন্দর, কী সুন্দর! বাবা, দম বন্ধ হয়ে আসে যেন। তাঁর ছবিও শারদ অর্ঘ্যের পাতায় দেখা যায়। পুজোর গান রেকর্ড করেন। মোটামুটি লাগে শুনতে। সবাই কি আর বিশ্বজিতের মত গায়ক–নায়ক?
আর একজন নায়ক শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়কেও সে দেখেছে শারদ অর্ঘ্যের বইতে। গানও শুনেছে।
পুজোর সময় ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় হাসির নাটক রেকর্ড করেন। সেগুলো আবার রেডিওতে নাটকের স্লটে শুনতে পাওয়া যায়। গীতা দে–র সঙ্গে নাটক করলেন ‘রাজযোটক’। শুনে হেসে মরে, উফ, কী মজার উচ্চারণ ভানুর। তাঁর চেহারাটাও তেমন। এমন ছবি তোলান যে ছবি দেখেই সবাই হাসতে শুরু করে।
লোকগীতি শুনতে এমনিতে মেয়েটার ভালো লাগে না। কিন্তু অংশুমান রায় যখন পুজোর রেকর্ডে গাইতে থাকেন, সে গানের সঙ্গে আঠার মত সেঁটে যায় সে।
‘ভাদর–আশিন মাসে ভমর বসে কাঁচা ঘাসে,
মন আমার কেমন কেমন করে ও বঁধু হে,
আর কি থাকিবে বাপের ঘরেতে ও বঁধু হে, আর কি থাকিবে বাপের ঘরে…’
যেন মনে হয় গানের তালে তালে পা ফেলছে কেউ। সে শুনেছে, এ গানের নাম ঝুমুর।
আরো একজন সেবার গান গাইলেন, অমৃক সিং অরোরা। মাথায় পাগড়ি। খুব দ্রুত লয়ে নাচের তালের গান।
‘রূপসী দোহাই তোমার, তোমার ওই চোখের পাতায়,
আমাকে কাজললতার কালি করো…’
এ গান শুনে বাবা মা দুজনেই নাক সিঁটকালেন, এসব কী রেকর্ড বেরোচ্ছে আজকাল?
মেয়েটার কিন্তু চটুল ছন্দের গান শুনতে বেশ মজাই লেগেছিল।
অক্টোবরের বেলা পড়ে আসছে। ঘড়ির দিকে তাকান সোমা। পৌনে ছটা। উঠে পড়েন ল্যাপটপ ছেড়ে। এক্ষুণি রেডিওতে শুরু হবে অনুরোধের আসর। বিবিধ ভারতীতে। পুজোর গান বাজবে। শারদ অর্ঘ্যটি কোলের কাছে নিয়ে হাঁ করে শুনবে ফ্রক–পরা মেয়েটা। তারপর পড়তে বসা।
‘মন লাগে না, তুমি বিনা মোর জীবন যেন, চাঁদিনী বিহীনা রজনী।
নিশিদিন নিশিদিন বাজে স্মরণের বীণ, সে যে তুমি বিন জানে না…’
লতা মঙ্গেশকর গাইবেন সলিল চৌধুরীর সুরে।
‘ও মোর ময়না গো, কার কারণে তুমি একেলা‘ কিংবা
‘আজ নয় গুনগুন গুঞ্জন প্রেমের‘
গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় অজস্র গান শোনাবেন তাঁর মধুঝরা কণ্ঠে।
আরতি মুখোপাধ্যায় একদম অন্যরকম স্টাইলে, অন্যরকম মিষ্টত্ব ভরে দেবেন গানে।
‘জলে নেবো না, আর থই পাবে না‘ কিংবা ‘বন্য বন্য এ অরণ্য ভালো‘।
আশা ভোঁসলে গাইবেন আর ডি বর্মনের সুরে।
আর হেমন্ত–মান্না–কিশোরকুমার রাজ করবেন পুরুষদের দিকে।
শারদ অর্ঘ্য বইয়ের দৌলতে এঁদের সবার ছবি মেয়েটার খুব চেনা। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের মোটা কালো ফ্রেমের চশমা, মান্না দে–র মাথার টুপি, সন্ধ্যা মুখার্জির দুই বিনুনী, কিশোরকুমারের কোঁকড়া চুল, আরতির ঠোঁটের ওপর কালো তিল – সঅব তার মুখস্থ।
শুধু তো আধুনিক গানই নয়, আরো কত গান চিনেছিল সেই মেয়েটা, HMVর পুজোর গানের দৌলতে। সে জানত কীর্তনের গীতশ্রী ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়কে, কী সুন্দর সাদা সিল্কের চাদর জড়ানো স্নিগ্ধ চেহারা। শুনেছিল কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায়ের অতুলপ্রসাদী, পান্নালাল ভট্টাচার্যের শ্যামাসংগীত। মেয়েটা তাঁর মায়ের কাছে শুনেছে, আধুনিক গানের জনপ্রিয় শিল্পী ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য হলেন পান্নালালের দাদা। কিন্তু দুজনের গানে কোনো মিল নেই।। গোবিন্দগোপাল ও মাধুরী মুখোপাধ্যায়ের স্তোত্রগান মুগ্ধ করত তাকে। বাবা বলতেন, “বিশুদ্ধ সংস্কৃত উচ্চারণ শেখ এঁদের কাছ থেকে।“
সোমা উঠলেন। মনের মধ্যে গুনগুনিয়ে উঠছে সনৎ সিংহের একটি বিখ্যাত ছোটদের গান। প্রবাসে অনেক বাচ্চাকে গানটি শিখিয়েছেন তিনি।
‘একেক্কে এক, দুয়েক্কে দুই
নামতা পড়ে ছেলেরা সব পাঠশালার ওই ঘরে,
নন্দীবাড়ির আটচালাতে কুমোর ঠাকুর গড়ে,
মন বসে কি আর?
আহাহা চণ্ডীতলায় বাদ্যি বাজে ঢাক গুড়গুড়
তা ধিনা তাক তা ধিনা তাক তা ধিনা তাক কুড়কুড়, কুড়ুর কুড়ুর তাক!’
ব্যাকইয়ার্ডে গাছের পাতায় হেমন্তের উজ্জ্বল রং চোখের সামনে থেকে মিলিয়ে যাচ্ছে। স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠছে আটচালা। দেবীর মূর্তি গড়ার কাজ শেষ। বোধনের আর দেরি নেই। নিমেষে নামতা–পড়া পাঠশালার পড়ুয়া হয়ে গেলেন তিনি। আজ আর কাজে মন বসবে না।

ইঞ্জিনিয়ার, পেশায় কনসালট্যান্ট। শাস্ত্রীয় সংগীত নিয়ে বহুদিনের চর্চা। অল ইন্ডিয়া রেডিওর ‘এ’ গ্রেড শিল্পী। লেখালেখির অভ্যাসও ছোট্টবেলা থেকে, বাবা-মা’র উৎসাহে। বর্তমানে কর্মসূত্রে নিউ জার্সির পারসিপেনি শহরে বসবাস। তবে বিদেশে বসেও সাহিত্যচর্চা চলে জোর কদমে। নিউ জার্সি থেকে প্রকাশিত ‘অভিব্যক্তি’ ও ‘অবসর’ পত্রিকার সম্পাদক।
‘ও কলকাতা’ ই-ম্যাগাজিনে ধারাবাহিক ‘সুরের গুরু’ প্রকাশিত হচ্ছে রাগসংগীতের শিল্পীদের নিয়ে। এছাড়া ‘বাংলালাইভ ডট কম’, ‘বাতায়ন’, ‘পরবাস’, ‘উদ্ভাস’, ‘প্রবাসবন্ধু’, টেকটাচটক’, ‘গুরুচণ্ডা৯’, ‘ইত্যাদি ই-ম্যাগাজিনের নিয়মিত লেখিকা।