আজ ৯ মার্চ চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর জন্মদিন। ইরাবতী পরিবার শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে এই শুভক্ষণ।
কাইয়ুম চৌধুরী ১৯৩৪ সালের ৯ মার্চ ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। জমিদার পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করলেও শিক্ষা ও উদার মনোভাবের জোরদার অবস্থান ছিল সেখানে। পিতা আবদুল কুদ্দুস চৌধুরী ছিলেন সমবায় বিভাগের পরিদর্শক।
শিক্ষা জীবন
মক্তবে কাইয়ুম চৌধুরীর শিক্ষার হাতেখড়ি। তারপর ভর্তি হন চট্টগ্রামের সাধারণ স্কুলে। এরপর কিছুকাল কুমিল্লায় কাটিয়ে চলে যান নড়াইলে। চিত্রাপাড়ের এই শহরে কাটে তাঁর তিনটি বছর। সেখান থেকে সন্দ্বীপে এসে ভর্তি হন প্রথমে সন্দ্বীপ হাই স্কুলে ও পরে কারগিল হাই স্কুলে। এরপর নোয়াখালী জেলা সদরে কিছুকাল কাটিয়ে পিতার সঙ্গে তাঁর ঠাঁই হয় ফেনীতে। এখানে এসে ভর্তি হন ফেনী হাই স্কুলে, সেখান থেকে যান ফরিদপুরে। ফরিদপুর থেকে ময়মনসিংহ এসে ১৯৪৯ সালে সিটি কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। স্কুল জীবন থেকেই আঁকাআঁকির প্রতি ঝোঁক ছিল কাইয়ুম চৌধুরীর। ১৯৪৯ সালে আর্ট ইনস্টিটিউটে (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান চারুকলা অনুষদ) ভর্তি হয়ে কাইয়ুম চৌধুরী কৃতিত্বের সঙ্গে শিক্ষা সমাপন করেন ১৯৫৪ সালে। তিনি শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলেন শিল্পচার্য জয়নুল আবেদীনকে। সদ্যপ্রতিষ্ঠিত আর্টস ইন্সটিটিউটের নবীন শিক্ষার্থীরা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। ইমদাদ হোসেন, মুর্তজা বশীর, আমিনুল ইসলাম, দেবদাস চক্রবর্তী প্রমুখ ছিলেন প্রতিবাদী আয়োজনের নিরলসকর্মী এবং সকল মিছিলের পুরোভাগে। অন্তর্মুখী স্বভাবের কাইয়ুম চৌধুরীরও সম্পৃক্ত ছিলেন।
কর্মজীবন
১৯৫৫ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত কাইয়ুম চৌধুরী নানা ধরনের ব্যবহারিক কাজ করেছেন। বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন আর বইয়ের প্রচ্ছদ ও সচিত্রকরণের কাজ করেছেন। সিগনেটের বই কাইয়ুম চৌধুরীর জন্য ছিল এক অনুপম নিদর্শন। সাময়িক পত্রিকা বিষয়ে আগ্রহী কাইয়ুম চৌধুরী, ছায়াছবি নামে একটি চলচ্চিত্র সাময়িকী যুগ্মভাবে সম্পাদনা করেছিলেন কিছুকাল। ১৯৫৭ সালে কাইয়ুম চৌধুরী আর্ট কলেজে শিক্ষকতায় যোগ দেন।
সম্মাননা
শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী ১৯৮৬ সালে একুশে পদক অর্জন করেন। ২০১০ সালে সুফিয়া কামাল পদক ও ২০১৪ সালে শহীদ আলতাফ মাহমুদ পদকে ভূষিত হয়েছেন।
