০১
অলৌকিক সংসার
হয়তো-
কোন একদিন-
সুনিবিড় শুনশান পথে-
দেখা পেয়ে যাবো-
সবুজ পাতার বনে নিবিড় নিরব
একদল কাকের নিষ্ঠ ধ্যান-
বাতাসের দেশে চঞ্চল আত্মার
হঠাৎ গভীর নির্জন সংসার
অথবা-
নির্বান ভাবনায় মগ্ন নিমগ্ন
ব্যস্ত সময়ের বিপন্ন মন।
০২
অন্ধকার ঘরে লেখা কবিতা
সব বাতি নিভে গেলে
অপরূপ রূপে ভরে যায় ঘর
তথাপি খোলা যখন জানালার মুখ
আঁধারের পরাণে বাজে নক্ষত্রের গান।
প্রতিবেশি আলো যেন এক
আজিব শিল্পি, দারুণ চিত্রকর
বিমূর্ত ছবিতে করে চিত্রল দেয়াল
বিপুল শ্রমে অক্লান্ত এঁকে যায়
বিষন্ন আঁধারের লম্বা দেয়াল
বিমানবিক তুমি তার হাতে।
আঁধারের রূপে মোহিত একলা পরাণ
অন্ধকারের রূপে রূপ ঘষে-
ফুটিয়ে তোলো আঁধারের আলো।
০৩
অলৌকিক সংসার
হয়তো-
কোন একদিন-
সুনিবিড় শুনশান পথে-
দেখা পেয়ে যাবো-
সবুজ পাতার বনে নিবিড় নিরব
একদল কাকের নিষ্ঠ ধ্যান-
বাতাসের দেশে চঞ্চল আত্মার
হঠাৎ গভীর নির্জন সংসার
অথবা-
নির্বান ভাবনায় মগ্ন নিমগ্ন
ব্যস্ত সময়ের বিপন্ন মন।
০৪
রূপশালী সময়
রজতের চায়ের দোকানে
উড়ে আসে মোলায়েম বিকেল
অতঃপর রূপশালী গোধুলির
রূপ ঝরে পড়ে।
০৫
এন্টি কবিতা
কেউ বুঝতে চায়নি
কেউনা,
এবং সকলের চাহিদামতো
চলাতেই পেরিয়ে গেলো
বিপুল বিশাল সময়
আমি যে কী-
কী আমার চাহিদা-
কেউ বুঝতে চায়নি।
অনুপম অলৌকিকতা
গুপ্ত থাকে-
অন্তর্নিহিত জগতের-
গোপন কুঠরিতে-
নিবিড় ঘুমে কেটে যায়-
বিপুল সময়।
নৈ:শব্দই কাম্য আমার-
অদৃশ্য বসবাস-
নির্মোহ পল্লব শাখায়
স্বপ্ন দেখি বিপন্ন পাখিদের সাথে
আচমকা জেগেও উঠি-
মনুষ্যসৃষ্ট শব্দের স্ফুলিঙ্গে।
কী ভয়ানক সুন্দর অগ্নিশিখায়
জ্বলন্ত কাগজের মতো
আমারই সাথে-
জীবন্ত পুড়তে থাকে আমার অতীত।
অসম্ভব জেনেও
জীবনকে বাঁচাতে চাই
জ্বলন্ত অগ্নিশিখা থেকে
একটি আধপোড়া অঙ্গ হলেও
উদ্ধার করতে চাই।