আজ ৮ জুন কবি ফেরদৌস আরা রুমী-এর শুভ জন্মতিথি । ইরাবতী পরিবার কবিকে জানায় শুভেচ্ছা ও নিরন্তর শুভকামনা।
#
ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাচ্ছে চশমার ডাট
ফ্যাকাশে হয়ে উঠছে ফ্রেমের রঙ
ডাটের উপর লেখা কোম্পানীর নাম উঠে গেছে
কান আর চুলের ঘষাঘষিতে
সেই কবে-
ক্যালেন্ডারে দাগানো নেই তারিখটা।
সাদাচুলে দু’পা ডুবিয়ে দিয়ে
নাকের উপর চশমা আয়েশি ভঙ্গিমায় বলছে
অভিজ্ঞতার বয়স বাড়ছে।
শসার কুচিতে ডার্ক সার্কেল আর রিংকেল
মোছার চেষ্টা বড্ড ছেলেমানুষী
বরং চশমাটাই আরো বেশি করে কাছে নেওয়ার উপায়-
ডাটের সাথে শেকল জুড়ে দাও।
শরীরের বয়স যদিওবা বাড়ে
তবু কিছু ছেলেমানুষীর বয়স আজো স্থির।
মাঝবয়সে ছেলেমানুষীগুলোই এই জীবনটাকে বাঁচিয়ে দেয়।
#
আর আমার চলে যাওয়া বাকি
মনে কর আমার আর কিছুই নেই বাকি
চললাম আমি।
ঘষা আয়নায় মুখ দেখতে দেখতে
আয়নাই গেছে ভেঙ্গে
কান পেতে আর চাইনা শুনতে
ঝন্ঝন ঝন্ঝন।
সবগুলো ওম চাইতে চাইতে
শীত গেল পালিয়ে
ঝরা পাতাদের আরো বেশি করে ঝরিয়ে দিয়ে।
কেন নিলে না ঝরা পাতারা
থাকতাম পড়ে গুটিশুটি।
কুয়াশা মাখানো সকালটায়
পা ভেজাবো বলে যেই পা বাড়িয়েছি
ঝলমলে রোদ্দুর কোত্থোকে মুখ বাড়িয়ে শুষে নিলে সবটা শিশির
পা ভেজানো গেল না আর
শিশিরে।
দুর্বাঘাষে এত যে পা জড়ানো মাখামাখি ভালোবাসা
একটা একটা করে শিশির কুড়াতে কুড়াতে কত যে কথার বাসা বানানো
বাসা সাজানো
বাসাটা আমায় কেন দিলে না?
এবার আমি তোমাদের সবগুলো ভালোলাগা নিয়ে চললাম।
গণিত মিলে না
একটা প্রেমকে জমতে দিয়েছি
দই যেভাবে বসায় সেই মতো!
দুইটাই চিন্তাশীল মন
অংক করতে বসে গেছে
কাঠপেন্সিল দিয়ে রাফ অংক করতে করতে রাফখাতা শেষ এইবেলা
অংক মিলে না।
একজন ভালো পাটীগণিতে
আরেকজন আবার বীজগণিতে
পাটীগণিত মিলবে পাটীগণিতের সাথে
বীজগণিত মিলবে বীজগণিতের সাথে
চিন্তাশীল মন দুইটা বিপরীমুখি-
আমেনার মায়ের লাইলী-মজনুর কিচ্ছা বলা এখন একটুও জমে না
শীতের রাতে কাঁথা গায়ে দিয়ে ঘুমে ঢুলতে ঢুলতে কারে কী কিচ্ছা শোনায়?
সামনে শুনশান উঠান
জোছনা বিছানো…
