| 7 অক্টোবর 2024
Categories
নারী

রূপকথায় পুরুষতন্ত্র ও শিশুমন

আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট

অনামিকা চৌধুরী 

আজকের এই সমাজের মতোই রূপকথার চরিত্রের মধ্যে কেবল রাজকন্যা ছাড়া রূপকথাগুলোর অন্যান্য নারীচরিত্রের তেমন কোনো পরিচয়ই থাকে না সাধারণত। তারা প্রায়ই ব্যক্তিত্বহীন, তাদের বিবেচনাবোধ অপরিণত, নিজস্ব ইচ্ছা-অনিচ্ছা বলতে কিছু থাকে না। কিরণমালা গল্পে মায়া-পাহাড়ের ধনসম্পদ আনতে যখন ব্যর্থ হয় ভাইরা, তখন কিরণমালাকে আমরা পুরুষের বেশ ধারণ করতে দেখি- যেন নারীরূপে এই বীরত্বটুকু দেখানো কখনও সম্ভব না!

‘এক রাজার সাত রাণী। দেমাকে, বড়রাণীদের মাটিতে পা পড়ে না। ছোটরাণী খুব শান্ত। এজন্য রাজা ছোটরাণীকে সকলের চাইতে বেশি ভালবাসিতেন।’ -‘সাত ভাই চম্পা’ শিরোনামের রূপকথাটির শুরুই হয় এইভাবে। যেখানে আমরা এমন এক রাজার কথা বর্ণিত হতে দেখি- যার সাত-সাতজন রাণী রয়েছে। আর এই রূপকথা যখন আমি প্রথম শুনেছিলাম বা পড়েছিলাম বা টেলিভিশনে দেখেছিলাম তখন মনে আছে আমি মাত্র একটু-আধটু বুঝতে শিখেছি। এবং তখনই জেনে যাই- এই সমাজে-এই পৃথিবীতে- একজন রাজার (পুরুষের) পক্ষে সাতজন রাণী (স্ত্রী) রাখা একদমই স্বাভাবিক ব্যাপার। একটু বড় হলেই বুঝতে পারি- কেনো রাজার পছন্দ ছোটরাণীকে। কারণ, ততোদিনে সমাজ আমাকে জানিয়ে দেয় (বলা ভাল, নানা ছলে বুঝিয়ে দেয়)- একজন বহুবিবাহকারী রাজার পক্ষে তার তুলনায় অনেক কমবয়সী নারীর প্রতি বিশেষ পক্ষপাতিত্ব থাকাটাই যৌক্তিক।
‘সাত ভাই চম্পা’ রূপকথার গল্পটির পরের তিন অনুচ্ছেদে বলা হয়- ‘কিন্তু, অনেক দিন পর্যন্ত রাজার ছেলেমেয়ে হয় না। এত বড় রাজ্য, কে ভোগ করিবে? রাজা মনের দুঃখে থাকেন। এইরূপে দিন যায়। কতদিন পরে, -ছোটরাণীর ছেলে হইবে। রাজার মনে আনন্দ ধরে না; পাইক-পিয়াদা ডাকিয়া, রাজা রাজ্যে ঘোষণা করিয়া দিলেন, -রাজা রাজভাণ্ডার খুলিয়া দিয়াছেন, মিঠা-মন্ডা মণি-মাণিক যে যত পার নিয়া যায়। এতে বড়রাণীরা হিংসায় জ্বলিয়া মরিতে লাগিল।’ অর্থাৎ- ছেলে-মেয়ে না হওয়ার কথা বলা হলেও গতানুগতিকভাবে রাজার রাজ্য-সম্পদ ভোগ করার জন্য কিন্তু রাজার ছেলেই চাই। এবং হলোও তাই- কতদিন পর রাজা খবর পেলেন, ছোটরাণীর ঘরে ছেলে হবে। এরপর দেখি- সেই খবর পেয়ে রাজা প্রজাদের ইচ্ছেমতো সম্পদ নেওয়ার ঘোষণা দিলেন।
তার মানে, রাজা এখানে শিশুদের চোখে সমস্ত চাহিদা মিটাতে সক্ষম একজন মানুষ, এবং শিশুরা এখানে রাজাকে আবিষ্কার করে এমন এক কর্তা হিসেবে যে কিনা বিনা স্বার্থে তার সম্পদ বিলায় না। একপর্যায়ে ওই গল্পে আমরা দেখি- হিংসায় জ্বলে-পুড়ে ছয় রাণী মিলে ‘…চুপি-চুপি হাঁড়ি-সরা আনিয়া ছেলেমেয়েগুলোকে তাহাতে পুরিয়া, বাঁশ-গাদায় পুঁতিয়া ফেলিয়া আসিল। তাহার পর শিকল ধরিয়া টান দিল। রাজা আবার ঢাক-ঢোলের বাদ্য দিয়া, মণি-মাণিক হাতে ঠাকুর-পুরুত নিয়া আসিলেন; বড়রাণীরা হাত মুছিয়া, মুখ মুছিয়া তাড়াতাড়ি করিয়া কতকগুলো ব্যাঙের ছানা, ইঁদুরের ছানা আনিয়া দেখাইল। দেখিয়া রাজা আগুন হইয়া ছোটরাণীকে রাজপুরীর বাহির করিয়া দিলেন।’
আমরা দেখি- গল্পের এতোটুকু শোনার পর শিশুদের মন পরিচিত হয়ে যায় একধরনের নৃশংসতার সাথে, যে নৃশংসতা রাজপ্রসাদের ‘সুখ’ ভোগের জন্য নারী হয়ে অন্যনারীর সর্বনাশ ঘটানোর ছবি ভয়ানকভাবে গেঁথে দেয় অবোধ শিশুদের অবচেতন মনে। একইসাথে ‘মনুষ্য সন্তান’ উৎপাদন ছাড়া নারীর যে আর কোনো গত্যন্তর নেই- সেই পরিণতিও আবছা দাগ ফেলে যায় গল্পের শিশুশ্রোতা কিংবা পাঠকের কাছে। এবং গল্পের শেষদিকে দেখি- বড়রাণীদের ষড়যন্ত্র ধরা পড়ার পর ডাকামাত্রই দাসী হিসেবে কাজ করতে থাকা ছোটরাণী সুড়-সুড় করে চলে আসলো রাজপ্রাসাদে। গল্পের একেবারেই শেষদৃশ্যে রাজা তার ছয়ছয়টি রাণীকে জীবন্ত মাটির ভিতর পুঁতে ফেললো। তার মানে আবারও এই দৃশ্যে এসে শিশুমন পরিচিত হয় পুরুষের সহিংসতার সাথে।
যাই হোক। আলোচনাটা শুরু করেছিলাম- আমাদের রূপকথায় পুরুষতান্ত্রিকতার প্রভাব এবং শিশুমনে এর প্রভাব বিশ্লেষণের লক্ষ্যে। এখানে শুধু একটি রূপকথার গল্পের কথা বললাম। এরকম ধাঁচের আরও বহু গল্প ও কাহিনী রূপকথা হিসেবে চালু রয়েছে আমাদের সমাজে। ডালিমকুমার, নীলকমল আর লালকমল, ঘুমন্তপুরীর রাজকন্যা, পাতাল-কন্যা মণিমালা, সোনার কাঠি রূপার কাঠি, কঙ্কাবতীদের কথা, রাজকন্যা কাঁকনমালা, কাঞ্চনমালার কথা মনে পড়ছে এই মুহূর্তে। জীবিত পুঁতে ফেলার মতো বীভৎস নির্মমতা এই রূপকথাগুলোর অতি সাধারণ শাস্তি। আবার রাজভাগ্য অর্জনের জন্য কেবল জন্মপরিচয়-ই মূল ভূমিকা পালন করতে দেখি আমরা বেশিরভাগ রূপকথায়।
এই রূপকথাগুলোর এই ধরনের বিভিন্ন ভাবনা-চিন্তা (মেসেজ) যে আমার মতো বয়সীরা শিশু অবস্থায় অবচেতনভাবে মনে ধারণ করেনি- সেটা বলা যাবে না। ‘সাত ভাই চম্পা’র মতো আরও অনেক রূপকথা আমাদের রয়েছে যেখানে রাজার একাধিক স্ত্রী রয়েছে। রাজার যেকোনো অন্যায়ের পাশাপাশি রাজাদের এই অধিক বিবাহকে জায়েজ করার জন্য অবশ্য রাজারা সেসবে হন নিঃসন্তান। রাজার এই যে- একাধিক স্ত্রী থাকা- তা আসলে রাজার সন্তান লাভের তীব্র বাসনাকেই প্রতিষ্ঠা করে। একইসাথে এই বার্তা দেয় যে- সন্তানের উত্তরাধিকার উপহার দেওয়াই হচ্ছে রাণীর (নারীর) একমাত্র ও প্রধান কাজ। এবং যতোদিন পর্যন্ত রাজা সেটা পাচ্ছেন না তার রাণীর কাছ থেকে ততোদিন পর্যন্ত রাজা বিয়ে করেই চলবেন। এখানে কখনো প্রশ্ন তোলা হয় না যে, সন্তান না হওয়ার ব্যাপারটি রাজারও অক্ষমতা হতে পারে। উল্টো, সন্ন্যাসী বা ফকিরবাবার শিকড়-বাকড় খেয়ে দেখা যায় অনেক রাণীই শেষপর্যন্ত পুত্র অথবা কন্যা লাভ করেন। তবে সেই শিকড় খান শুধু রাণীরা। রাজা একের পর এক বিয়ে করে সন্তান লাভ না করার সকল দায়ভার রাণীদেরকেই বহন করতে হয়। এমনকি নবজাত সন্তানের কোনো শারীরক খুঁতের দায়ভারও চাপে নারীদের উপরেই। কিন্তু আমরা প্রায় তিন হাজার বছর আগে লিপিবদ্ধ করা পৌরাণিক গ্রন্থ মহাভারতেও দেখি- সন্তান না হওয়ার পেছনে রাজা দশরথের ‘অক্ষমতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁর মেজো স্ত্রী কৈকেয়ী।
আমি মনেকরি, ‘সাত ভাই চম্পার’ মতো কাহিনী বা গল্পগুলো রূপকথার বৈশিষ্ট্য বুকে ধারণ করে তৎকালীন সমাজ বাস্তবতাকেই কোনো না কোনোভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। রূপকথার বিভিন্ন উপাদানের কারণে এর বেশিরভাগই রূপকথা হিসেবে সার্থক। তবে সমালোচনার বিষয় হলো- এর কোনো কোনোটির কাহিনী বা গল্পের অধিকাংশ প্লট জুড়েই রয়েছে পুরুষতন্ত্র পরিচালিত সহিংসতা, নৃশংসতা ও রক্তপাতের ভয়ানক বিবরণ কিংবা পুরুষতন্ত্রের (হোক না সে ছোট্ট ছেলে-শিশু বা কিশোর) একতরফা জয়জয়কার। এবং এর বিপরীতে ঘুরে-ফিরে নারী বারবারই চিত্রিত হয়েছে সেই চিরচেনা স্টেরিওটাইপড্‌ ফরম্যাটে। উদাহরণস্বরূপ ‘সাত ভাই চম্পা’র কথা আবারও বলা যায়। ওই গল্পে মনের কষ্টে রাজা রাগ করিয়া বলিলেন,‘ছেলে না হইতে আবার শিকল নাড়া দিলে, আমি সব রাণীকে কাটিয়া ফেলিব।” তার মানে রূপকথার গল্পে একজন রাজা (পুরুষ) তার নিজের ছয় বড় রাণী’র (নারীর) প্রতি যে ব্যবহার করলেন তা কিন্তু তৎকালীন সমাজের পুরুষতান্ত্রিক ক্ষমতারই যুগপৎ মানসিক ও অমানবিক বহিঃপ্রকাশ, যা কোনোমতেই রূপকথা নয় বরং একেবারেই নিরেট বাস্তব। এবং এর ‘নমুনা’ কিন্তু এখনো জারি রয়েছে আমাদের চারপাশে। যে কারণে এখনো আমরা দেখি- সমাজের ‘মহাশক্তিশালী’ পুরুষরা ‘পান থেকে চুন খসতেই’ নিজেরই বিবাহিত নারীকে কেটে টুকরো করে ফেলার নজির রেখে চলেছেন। ডিভোর্সের বিষয়টিতো একদম মামুলি ব্যাপার।
এমনকি, আজকের এই সমাজের মতোই রূপকথার চরিত্রের মধ্যে কেবল রাজকন্যা ছাড়া রূপকথাগুলোর অন্যান্য নারীচরিত্রের তেমন কোনো পরিচয়ই থাকে না সাধারণত। তারা প্রায়ই ব্যক্তিত্বহীন, তাদের বিবেচনাবোধ অপরিণত, নিজস্ব ইচ্ছা-অনিচ্ছা বলতে কিছু থাকে না। কিরণমালা গল্পে মায়া-পাহাড়ের ধনসম্পদ আনতে যখন ব্যর্থ হয় ভাইরা, তখন কিরণমালাকে আমরা পুরুষের বেশ ধারণ করতে দেখি- যেন নারীরূপে এই বীরত্বটুকু দেখানো কখনও সম্ভব না!
তবে কল্পিত পঙ্খিরাজ ঘোড়া, ব্যাঙ্গমা-ব্যাঙ্গমি, বোতলে ঢুকানো প্রাণভোমরা, বিভিন্ন তন্ত্র-মন্ত্রের ব্যবহার, রাক্ষস-খোক্কস-ভূত-প্রেতের চরিত্রগুলো-ই এসব কাহিনীকে রূপকথার মর্যাদা দিয়েছে এইকথা বলতেই হয়। যদি ক্রিটিক্যালি দেখি- তবে আমরা এ ধরনের সব কাহিনী বা গল্পকে কেবলই রূপকথা বা পিওর রূপকথা হিসেবে গ্রহণ না করার কথা বলতে পারি। কেননা, যদি সেসব সর্বাংশে রূপকথাই হবে তবে- সেখানে নারীকে বেশিরভাগক্ষেত্রে পুরুষের ঊর্ধ্বতন ভাবা, নারীর পক্ষে রাজত্বভার গ্রহণ করা কিংবা রাজ্যের উত্তরাধিকার বানানোর ক্ষেত্রে কন্যাশিশুকেই কামনা করা দোষের কী ছিল? কিন্তু তা হয়নি। উল্টো, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরুষাধিপত্যকেই রূপকথার একটা উল্লেখযোগ্য ও অনিবার্য অনুষঙ্গ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। যা পুরুষশাসিত সমাজের প্রবল-পরাক্রমকে স্বীকৃতি দেয়।
আবার অন্যভাবে বলা যায়, এসব রূপকথার যে ছোটো-খাটো বিভিন্ন দিক রয়েছে যা শিশুদের মানসিকভাবে বিভ্রান্ত করতে পারে, তাদের মনে সহিংসতার বীজ বুনতে পারে, তাদের মনে অনৈতকত ও কুসংস্কারের দানা বাঁধাতে পারে, তাদেরকে জেন্ডার অসংবেদনশীল কিংবা বহুগামিতা শেখাতে পারে- সেইসব ‘দিক’ শিশুদের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে কোনো নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে কিনা তাও বিস্তর ভাবনার বিষয়।
এরপরও বলবো- এসব রূপকথাগুলো আমাদের অমূল্য সম্পদ। মায়ের বা দাদী বা নানীর কোলে শুয়েই একদিন রূপকথার গল্পে মুগ্ধ হয়েছিলাম আমরা। অন্তত: আমাদের সময়ে কোনোকিছু পড়তে শেখার আগে শিশুরা এ ধরনের গল্প শুনতে পছন্দ করতো। এখন সময় পাল্টেছে। ভিনদেশি সংস্কৃতি ও আপডেটেড প্রযুক্তির আগ্রাসনের কারণে আমাদের রূপকথার স্থলে জায়গা করে নিয়েছে পশ্চিমাদের ‘ফেয়ারি টেইল’। তবুও আমাদের নিজস্ব রূপকথার কদর রয়েছে। বিশেষ করে গ্রামে (তবে শহুরে সমাজের একটি অংশও রূপকথার দিকে ঝুঁকতে দেখছি আজকাল)। সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, রূপকথার গল্পগুলো দীর্ঘকাল ধরে জনমানুষের মুখে চলে আসছে। এর থেকে বোঝা যায়- এসব রূপকথার বক্তারা সেইসবের কাহিনী নিজের মতো করে একেক সময় একেকভাবে একেক অঞ্চলে বিন্যাস করে নিয়েছে।
তবে এর থেকে ভালো কিছুও শিখে শিশুরা। গবেষকরা দেখেছেন, এ ধরনের রূপকথার মধ্য দিয়ে সহজ-সরল উপায়ে অন্যায়কারীদের পরাজয় দেখানো হয়, সেইসাথে ন্যায়ের পক্ষে থাকা সৎ মানুষদের জয় দেখানো হয়। ‘সাত ভাই চম্পা’তেও তা-ই দেখানো হয়েছে। ভালো কাজের ভালো ফলাফল পাওয়াও এ ধরনের রূপকথার আউটকাম। অনেক সময় শিশুর নীতি-নৈতকতা, মুল্যবোধ, আদর্শ গঠনেও ভূমিকা রাখে এই রূপকথা।
ইন্টারনেটের সাইটগুলো ঘাঁটাঘাঁটি করে দেখা যায়, রূপকথার গল্পগুলোর ‘অ্যানিমেটেড ফরম্যাট’ও তাই দিনদিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। গবেষকরা বলছেন- আনন্দের সঙ্গে শিক্ষার জন্য খুব কার্যকরী ‘উপাদান’ হল আমাদের এই রূপকথা। শিশুদেরকে কল্পনার জগতে ভাসিয়ে নেওয়ার সাথে সাথে বাস্তবতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়া প্রয়োজন। কেননা, শিশুমন সবকিছুই অনুকরণ করতে চায়, বিশ্বাস করতে চায়। এক্ষেত্রে রূপকথাগুলো তারা সহজেই গ্রহণ করে ও এর বিভিন্ন চরিত্র মনে রাখার চেষ্টা করে। পশ্চিমা বিশ্বেও রূপকথার বিষয়ে এই বিশ্বাস চালু আছে। তাই, অতি অবশ্যই শিশুদের মানসিক বয়স অনুযায়ী বিভিন্ন ধাঁচের রূপকথার গল্প শোনানো উচিত। কিন্তু, আমরা কি এই ব্যাপারে সচেতন?

কৃতজ্ঞতা: আজাদী

 

 

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত