নিত্যধাম
যে বাতি থেকে
অন্ধকার ঠিকরে আসে,
তার ঝিকিমিকি জ্বালিয়ে
বসেছি।
অন্ধকার থেকে
তার জ্যোতি
আরও অন্ধকার হলে,
আমাকে দেখা যাবে
ভেতরে, চমকানো।
যা ছিলাম, তাই হতে
এতোটা গিয়েছি
একে অপরে দিকে,
এখন
আমি ও অন্ধকার
একই বাতি থেকে
অভিন্ন জ্বলে উঠতে পারি!
নিত্যভ্রমণ
যে দিকে আমি যেতে চাইছি-
পায়ের পথে নামিয়েছি সর্ব অঙ্গ,
এ সেই, অন্ধকার।
যে আছে সমগ্রে, সুষম বিস্তারে।
আমার অভিনবে
চর্চায়, প্রার্থনায়, সর্বোক্ষেপে
তাকেও আসতে হয়েছে আমিদূর।
যেসব আয়ুবিক আলো
তাকে তাড়িয়ে দেয়, দিতে চায়
চেপে ধরে আলো-তলে;
সেইসব মূর্খ পসার জানে না–
অন্ধকার অখণ্ড,
অন্ধকার মুখোপেক্ষী নয় কিছুর,
স্বয়ংশরীর শুধু তারই।
আমি যার নীচে, নীত হয়েছি
মাত্রসত্যে
গৃহীতির বিপরীতে
আমার অর্পন-প্রসারিত হাত
মিলিয়ে যাচ্ছে,
ক্রমাগত দেহ রেখে আমি
মুক্ত হয়ে যাচ্ছি, উন্মুক্ত অন্ধকারে।
আলো ফেলে
নির্দিষ্ট করে দেয়া জগতের বাইরে,
শুধুই অন্ধকারে, আমার সমূহ আগ্রহ।
কথার কথা
কথা ছিল
ক্রমশ যৌথ হয়ে পড়া–
মুখ ছিল না, কিছু বলি
এই কথায়,
নদী পেতে যারা সাঁতার কেটে গেল
তাদের কোঁচরে জলবোকা মাছ।
জানি। এই বলে
রাস্তা তুলে হেঁটে গেল যে,
তার চুপে ঘাই মেরে উঠল
নির্জল কোঁচরা–
পড়শি থেকে বলে উঠল কেউ কেউ,
এটা কোনো কথা!
নাচগান
এইখানে,
একটা নাচ বানাইতেছেন সরকার বাহাদুর
নাচ–
দেখলেই বিষবাঁকা কোমর
দুলিয়ে উঠব পাছা-দেশ, স্বতঃস্ফূর্ত নাচে!
সেইখানে এসে
খিচ খেয়ে যাই, ঢক পাই না!
ডামা-ঢোলে থির জমে সোজা হয়ে আছে,
নাচে না!
এইখানে
একটা গান জুড়তেছেন চিরকাল জনগণ
গান–
শুনলেই চিরচুপ গলা
কাঁপিয়ে দেবে কানের দেশ, স্বয়ংক্রিয় টানে!
সেইখানে এসে
মূক হয়ে যাই, গলা পাই না!
সুর উৎসারে চুপ পড়ে কথা হয়ে গেছে,
বাজে না!
কবি