অনিরুদ্ধ ধর
১৯৬৬ সালের ১১ জানুয়ারি ভারতবর্ষের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রীলাল বাহাদুর শাস্ত্রী তৎকালীন রাশিয়ার উজবেকিস্তানের রাজধানী তাশখন্দে মারা যান। সেই মৃত্যু ঘিরে পরবর্তীকালে নানা রকমের কন্সপিরেসি তত্ত্ব উঠে এসেছে। প্রশ্ন উঠেছে ‘হু কিলড লাল বাহাদুর শাস্ত্রী?’
৫০ বছর পর রাগিনী (শ্বেতা) নামের এক সাংবাদিক এই প্রশ্ন তোলার পরেই বিরোধী পক্ষের রাজনৈতিক নেতা শ্যাম সুন্দর ত্রিপাঠী (মিঠুন) যোগাযোগ করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিকেআর নটরাজন (নাসিরুদ্দিন)-এর সঙ্গে। দু’জনেরই মনে হল আসন্ন নির্বাচনে এটাই হতে পারে ‘আসলি মুদ্দা’। ঠিক হল শ্যাম সুন্দরের নেতৃত্বে ঐতিহাসিক, সমাজসেবী, প্রাক্তন বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা এই রকম জনা দশেক মানুষকে নিয়ে একটা কমিশন বসবে, সেখানেই খোঁজা হবে এই প্রশ্নের উত্তর। সেই কমিশনে নেওয়া হল সেই সাংবাদিক রাগিনীকেও।
সিডনি লুমেট ১৯৫৭ সালে ‘টুয়েলভ অ্যাংরি মেন’ নামের একটি ছবি তৈরি করেছিলেন। প্রায় সেই স্ট্রাকচারই অনুসরণ করেছেন পরিচালক। কিন্তু চিত্রনাট্যের বাঁধুনি এতই দুর্বল যে ওই আইকনিক স্ট্রাকচার এবং বড় বড় অভিনেতার উপস্থিতিও ছবিটিকে বাঁচাতে পারেননি।
কোনও সন্দেহ নেই নির্বাচনের প্রাক্কালে এই ছবির নির্মাণ যথেষ্টই সন্দেহজনক। কারণ, অপরাধী চিহ্নিত করতে আঙুল তোলা হয়েছে বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রতি। যদিও অনেক জরুরি প্রশ্ন উঠে এসেছে এই ছবিতে, তবুও ছবির শেষে যদি লেখা হয় ‘সমস্ত তথ্যের সত্যতা যাচাই করা হয়নি’, তাহলে ছবির উদ্দেশ্য যে মহৎ নয় তাতে কোনও সন্দেহ থাকে না।