| 14 মার্চ 2025
Categories
অনুবাদ অনুবাদিত গল্প

অনুবাদ: এ্যালকেমিস্ট । পাওলো কোয়েলহো (পর্ব-১০)। সায়মা মনি

আনুমানিক পঠনকাল: 6 মিনিট

পৃষ্ঠা ৯১

যখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমার সম্পদ খুঁজে বের করার, আমি কখনও কল্পনাও করিনি যে আমি একটি ক্রিস্টালের দোকানে কাজ শুরু করে দিব, সে ভাবল।আর হয়তো এই মরুযাত্রীদলে যোগদান করা আমার সিদ্ধান্ত, কিন্তু এটা যেখানে যাচ্ছে তা আমার জন্য রহস্যময় হবে।

কাছাকাছি একজন ইংরেজ ছিলেন, একটি বই পাঠ করছিলেন।তাকে বন্ধুসুলভ মনে হচ্ছিল না, আর বিরক্ত দেখাচ্ছিল যখন বালকটি প্রবেশ করল।তারা হয়তো এখনই বন্ধু হয়ে উঠেছে।কিন্তু ইংরেজ লোকটি কথোপকথন বন্ধ করে দিয়েছিল।

বালকটি তার বই বন্ধ করল।সে অনুভব করল যে সে এমনকিছু করতে চায়নি যাতে তাকে ইংরেজ লোকের মত দেখায়।সে তার পকেট থেকে উরিম আর থাম্মিম নিল, আর ওগুলো নিয়ে খেলতে শুরু করল।

বিদেশী লোকটি চিৎকার করে উঠল, ‘উরিম আর থাম্মিম!’
এক ঝলকে বালকটি ওগুলো পকেটে পুরে ফেলল।
‘ওগুলো বিক্রির জন্য নয়,’ সে বলল।
‘ওগুলো বেশি একটা দামি নয়,’ ইংরেজ বলল। ‘ওগুলো শুধু ক্রিস্টাল পাথরের তৈরি, আর পৃথিবীতে মিলিয়ন মিলিয়ন ক্রিস্টাল পাথর রয়েছে।কিন্তু ওগুলো সম্পর্কে যে জানে যে এমন জিনিসগুলো সম্পর্কে জানে যে ওগুলো হল উরিম আর থাম্মিম। আমি জানতাম না যে পৃথিবীর এই প্রান্তে ওদের কাছে ওগুলো আছে।’

 

পৃষ্ঠা ৯২

‘বালকটি বলল, ওগুলো আমাকে একজন বৃদ্ধ রাজা উপহার দিয়েছিল,’

বিদেশী কিছু উত্তর করলো না; বরং, সে তার পকেটে তার হাত রাখল, আর দুইটা পাথর বের করল যেগুলো বালকটির পাথরের মত।

‘তুমি কি রাজার কথা বললে?’ সে জানতে চাইল।
‘আমার মনে হয় তুমি বিশ্বাস করছোনা যে একজন রাজা আমার মত কারো সাথে কথা বলবে, একজন মেষপালক,’ সে বলল, আর কথোপকথন শেষ করতে চাইল।

‘একদমই না। একজন মেষপালক তাকে প্রথম চিনতে পেরেছে যখন কিনা বাকি দুনিয়া তাকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে। সুতরাং এটা অবাক হওয়ার কিছু নয় যে একজন রাজা একজন মেষ পালকের সাথে কথা বলবে।’

আর সে চলে গেল, ভয় পেয়ে যে বালকটি বুঝতে পারছেনা সে কি নিয়ে কথা বলছে, ‘এটা বাইবেলে আছে।সেই একই বই যা আমাকে উরিম আর থাম্মিম সম্পর্কে শিখিয়েছে।এই পাথরগুলো হল একমাত্র ঈশ্বর অনুমোদিত ঐশ্বরিক আকার।পাদ্রীরা এগুলো বহন করেছে একটি স্বর্ন খচিত বর্মে।’

 

পৃষ্ঠা ৯৩

বালকটি হঠাৎ করে খুশি হয়ে গেল সেই গুদামে থাকতে পেরে।
‘হয়তো এটা একটা লক্ষণ,’ ইংরেজ লোকটি অর্ধেক উচ্চ স্বরে বলল।
‘কে তোমাকে লক্ষণ সম্পর্কে বলেছে?’ বালকটির আগ্রহ মুহুর্তের মধ্যে বাড়তে থাকল।
‘জীবনের প্রতিটা জিনিস হল লক্ষণ,’ ইংরেজ লোকটি বলল, এখন যে জার্নালটা তিনি পড়ছিলেন তা বন্ধ করলেন।’একটি বৈশ্বিক ভাষা আছে, প্রত্যেকের বোধগম্য, কিন্তু ইতিমধ্যে তা বিস্মৃত।আমি সেই সার্বজনীন ভাষা খুঁজছি, অন্য জিনিসের ভেতরে।সেই জন্য আমি এখানে।আমার একজন মানুষ খুঁজে বের করতে হবে যে সেই সার্বজনীন ভাষা জানে।একজন রসায়নবিদ।’
কথোপকথনটিতে বিরতি পড়ল গুদাম ঘরের কর্তার জন্য।
‘তুমি সৌভাগ্যবান, তোমরা দুইজন,’ মোটা আরব লোকটি বলল। ‘একটি মরুযাত্রীদলও আল ফাইয়ুমের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছে।’
‘কিন্তু আমি মিশরে যাচ্ছি,’বালকটি বলল।
‘আল ফাইয়ুম মিশরে,’ আরব লোকটি বলল।’তুমি কোন শ্রেনীর আরব লোক?’
‘ওটা সৌভাগ্যের প্রতীক,’ মোটা আরব লোকটি বাইরে চলে যাওয়ার পর ইংরেজ লোকটি বলল।’যদি আমি পারতাম, আমি শুধুমাত্র ভাগ্য আর কাকতালীয় এই শব্দ দুটো দিয়ে প্রকান্ড একটি সার্বজনীন ভাষায় এনসাইক্লোপেডিয়া লিখতাম।’

 

পৃষ্ঠা ৯৪

সে বালককে বলল, এটা কাকতালীয় নয় যে তার বালকটির সাথে দেখা হল তার হাতে উরিম আর থাম্মিম যখন তার হাতে।আর সে বালকটিকে জিজ্ঞেস করল যে সেও এ্যালকেমিস্টের অনুসন্ধান করছে কিনা।

‘আমি গুপ্তধন অনুসন্ধান করছি,’ বালকটি বলল, আর তৎক্ষনাৎ সে অনুশোচনা করল এটা বলে ফেলার জন্য।কিন্তু ইংরেজ লোকটিকে এই কথা খুব গুরুত্ব দিতে দেখা যাচ্ছিল না।

‘এক ভাবে,আমি তাই,’ সে বলল।
‘আমি জানিনা পর্যন্ত এ্যালকেমি কি, বালকটি বলছিল, যখন গুদাম ঘরের কর্তা তাদেরকে বের হয়ে আসার জন্য ডাকল।

‘আমি এই মরুদলযাত্রীর নেতা,’ একজন অন্ধকার চোখ, দাড়িওয়ালা লোক বলল। ‘আমি জীবনের আর মৃত্যুর শক্তি ধারণ করি প্রত্যেকের জন্য যাদেরকে আমি সাথে নিয়ে যাই।মরুভূমি হল খামখেয়ালী নারী, আর কখনও কখনও সে মানুষকে পাগল করে দেয়।’

সেখানে প্রায় দুইশো লোক জমায়েত হল, আর চারশো পশু – উট, ঘোড়া, খচ্চর আর পাখি।

 

পৃষ্ঠা ৯৫

ভীড়ের মধ্যে নারী, শিশু, আর প্রচুর সংখ্যক পুরুষ যাদের বেল্টে তরবারী আর তাদের কাঁধে ঝোলানো রাইফেল।ইংরেজ লোকটির কয়েকটা বই আঁটা স্যুটকেস ছিল।সেখানে অনেক আওয়াজ ছিল,আর নেতাকে বারবার একই কথা বলতে হচ্ছিল কয়েকবার যাতে সবাই বুঝতে পারে, সে কি বলছিল।

‘সেখানে অনেক ভিন্ন ধরনের মানুষ ছিল, আর প্রত্যেকের নিজ নিজ ঈশ্বর আছে।কিন্তু একমাত্র আল্লাহকেই আমি প্রার্থনা করি, আর তাঁর নামে আমি শপথ করছি যে আমি মরুভূমি জয় করার জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করবো।কিন্তু আমি আপনাদের প্রত্যেককে চাই যেন আপনারা ঈম্বর যাকে আপনার বিশ্বাস করেন তাঁর নামে শপথ করেন যে আপনারা যাই হয়ে যাক না কেন, আমার নির্দেশ অনুসরণ করবেন।মরুভুমিতে অবাধ্যতা মানে হল মৃত্যু।’

সেখানে কলরব শোনা গেল ভীড় থেকে।প্রত্যেকে তার নিজ নিজ ঈশ্বরের নামে নিঃশব্দে শপথ নিচ্ছিলেন।বালকটি জিসাস ক্রাইস্টের নামে শপথ নিচ্ছিল।ইংরেজ কিছুই বলল না।আর এই কলকল শব্দ একটি সাধারন শপথের চেয়ে বেশি সময় ধরে চলছিল।লোকজন স্বর্গের কাছেও প্রার্থনা করছিল তাদের প্রতিরক্ষার জন্য।


আরো পড়ুন: এ্যালকেমিস্ট । পাওলো কোয়েলহো (পর্ব-৯)। সায়মা মনি


পৃষ্ঠা ৯৬

একটি দীর্ঘ শব্দের ধ্বনি শোনা গেল, আর প্রত্যেকে পর্বতে আরোহন করতে লাগল।বালকটি আর ইংরেজ লোকটি উট নিয়ে এসেছিল, আর হঠাত করে ওগুলোর পেছন দিক দিয়ে উঠে পড়ল।বালকটি ইংরেজ লোকটির উটের জন্য দুঃখবোধ করল, বোঝা নামাল যেহেতু তার সাথে বইয়ের তাক ছিল।

‘কাকতালীয় বলতে কিছু হয়না,’ ইংরেজ লোকটি বলল, গুদামে যেখান থেকে কথোপকথন বাধাগ্রস্থ হয়েছিল সেখান থেকেই কথা শুরু করল।আমি এখানে কারন আমার একজন বন্ধু একজন আরব লোকের কথা শুনেছিল যে… ‘

কিন্তু ক্যারাভ্যানটি( ছাউনি যুক্ত বড় গাড়ি বিশেষ) নড়তে শুরু করল, আর ইংরেজ লোকটি কি বলছিল তা শুনতে পাওয়া অসম্ভব ছিল। বালকটি জানত সে যা বর্ননা করতে শুরু করেছিল, যদিও: রহস্যময় শিকল যা একটি জিনিসকে অন্যটির সাথে যুক্ত করে, সেই একই শিকল যা তার মেষপালক হয়ে ওঠার কারন, যা তাকে স্বপ্নের আবর্তকে রেখেছে, যা তাকে আফ্রিকার একটি শহরের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে, একজন রাজার খোঁজে, এবং ডাকাতির শিকার হওয়াইছে যেন সে একজন ক্রিস্টাল বনিকের সাক্ষাত পায়, আর….

যত সে লক্ষ্যের কাছাকাছি আসার উপলব্ধি হচ্ছে, ততো সে অনুভব করছে যে তার লক্ষ্য হল তার অস্তিত্বের সত্যিকারের কারন, বালকটি ভাবল।

 

পৃষ্ঠা ৯৭

ক্যারাভ্যান পূর্বের দিকে যেতে থাকল। এটা সকালে ভ্রমন করল, একটু থামল যখন সূর্য প্রখর ছিল, আর বিকালে দেরি করে শুরু করল।বালকটি খুব কম কথা বলল ইংরেজ লোকটার সাথে, যে বেশিরভাগ সময় তার বইয়ের সাথে কাটিয়েছে।

বালকটি নিঃশব্দে পর্যবেক্ষন করল মরুভূমির চারদিকে বাড়তে থাকা পশু প্রানী আর মানুষ।এখন সবকিছু বেশ অন্যরকম হয়ে গেল যেদিন তারা যাত্রা শুরু করেছিল সেদিন থেকে: তখন সেখানে দ্বিধান্বিত অবস্থা আর চিৎকার শোনা গেল, শিশুদের চিৎকার আর মৃদু হ্রেষা ধ্বনি, সবকিছু মিলে যাচ্ছিল পরিচালক আর বনিকদের ভয়াতুর নির্দেশের সাথে।

কিন্তু, মরুভূমিতে কেবলমাত্র অসীম বাতাসের শব্দ ছিল, আর পশুদের উচ্চ খুর ধ্বনি।এমনকি পরিচালকরা একে অন্যের সাথে খুব কম কথা বলছিল।

‘আমি এই বালুকাবৃত্তের মধ্যে দিয়ে বহুবার অতিক্রম করেছি,’ এক রাতে ওখানে যেসব উট চালক ছিল, তাদের একজন বলল। ‘কিন্তু মরুভূমিটা এত বড়, আর দিগন্ত এত দূরে, যে এটা মানুষকে ক্ষুদ্র বোধ করায়, আর বোধ করায় যে মানুষের চুপ করে থাকা উচিত।’

এমনকি মরুভূমিতে আগে কখনও পা না রেখেও বালকটি সুচতুর অনুমান করে বুঝতে পারল মরুভূমিটি কি বোঝাচ্ছে।

 

পৃষ্ঠা ৯৮

যখন সে সমুদ্র দেখল, অথবা আগুন, সে নিশ্চুপ হয়ে পড়ল, তাদের মৌলিক শক্তির প্রভাব দেখে।

আমি ভেড়ার কাছ থেকে শিখেছি, আর আমি কিছু জিনিস শিখেছি ক্রিস্টালের কাছ থেকে, সে ভাবল।আমি মরুভূমির কাছ থেকেও শিখতে পারি।এটাকে পুরনো আর বিজ্ঞা মনে হচ্ছে।

বাতাস একবারও বন্ধ হলো না, আর বালকটি দিনটিকে মনে রাখল যেখানে সে বসেছিল তারিফায় একটি দুর্গে মুখের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এই একই রকম বাতাসে। এটা তাকে ভেড়া থেকে উল নেয়ার কথা মনে করিয়ে দিল….তার ভেড়া যারা এখন আন্দালুসিয়ার মাঠে খাবার আর পানি খুঁজছে, যেমন তারা সবসময় করে থাকত।

‘ওরা এখন আর আমার ভেড়া নয়,’ স্বদেশে ফেরার আকুতি মনে না নিয়ে সে নিজেকে নিজে বলল। ‘ওরা অবশ্যই ওদের নতুন মেষপালকের সাথে অভ্যস্থ হয়ে উঠেছে, আর ইতিমধ্যে হয়তো আমাকে ভুলে গিয়েছে। সেইটা ভাল।ভেড়ার মত সৃষ্টি, যা ভ্রমণে অভ্যস্থ, জানে কিভাবে সামনে এগিয়ে যেতে হয়।’

সে বনিকের মেয়ের কথা ভাবল, আর নিশ্চিত ছিল যে তার হয়তো বিয়ে হয়েছে।সম্ভবত একজন রুটির দোকানওয়ালার সাথে, অথবা অন্য কোন মেষপালকের সাথে যে তাকে উত্তেজনাপুর্ন গল্প পড়ে শোনাতে পারে আর বলতে পারে – মোটের উপর, সে হয়তো একমাত্র এমন একজন ছিল না। কিন্তু সে উত্তেজিত ছিল উটের চালকের ব্যাখ্যায় তার বুদ্ধিদীপ্ত আনুমানিক বোঝাপড়ায়: হয়তো সে শিখেছে অতীত আর বর্তমানের সব মানুষের একটি সার্বজনীন ভাষা।

 

পৃষ্ঠা ৯৯

‘হাঞ্চেস,’ তার মা তাদেরকে ডাকত। বালকটি বুঝতে শুরু করেছিল যে স্বজ্ঞা সত্যিকারভাবে একটি হঠাত আত্মার এই বিশ্ব ব্রক্ষ্মান্ডের জীবন প্রবাহে নিমজ্জন, যেখানে সব মানুষের ইতিহাস সংযুক্ত, আর আমরা সবকিছু জানতে পারি, কারন এ সবই সেখানে লেখা থাকে।

‘মাক্তুব,’ বালকটি ক্রিস্টাল বনিকের কথা মনে করে বলল।

মরুভূমির বেশ খানিকটা বিস্তৃত জায়গা জুড়ে পুরোটা বালু ছিল, আর অন্যান্য জায়গায় পাথর ছিল। যখন গাড়িটি একটি নুড়ি পাথরের জন্য বন্ধ হয়ে গেল, এটিকে এর চারপাশ ঘুরে যেতে হল; যদি সেখানে একটি বড় পাথুরে এলাকা থাকে, তাদেরকে বেশ বড় একটা পথ ঘুরে যেতে হবে। যদি বালু পশুর খুঁড়ের জন্য খুব সুক্ষ্ম হত, সেগুলো একটা পথ খুঁজে বের করত যেখানে বালু আরও প্রচুর পরিমানে থাকত।কিছু কিছু জায়গায়, মাটি শুকিয়ে যাওয়া হ্রদের লবন দিয়ে আবৃত ছিল।পশুগুলো এমন জায়গাগুলোতে এসে এড়িয়ে যেত, আর উটের চালকগুলোকে বাধ্য করা হত তাদের উপর থেকে নামিয়ে দিতে আর চাপিয়ে দেয়া বোঝা কমানোর জন্য।চালকেরা তাদের নিজেদেরকে মালবাহী বানিয়ে বহন করত এমন কিছু বিশ্বাসঘাতক পদচারণায়।

 

পৃষ্ঠা ১০০

যদি একজন পরিচালক অসুস্থ হত বা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ত, উটের চালকেরা অনেক টাকা তুলত আর নতুন একজনকে নিয়োগ দিত।

কিন্তু এই সব কিছু ঘটেছে একটা মৌলিক কারনে: যতগুলো মোড়ই থাকুক আর গলির সংযোগ থাকুক না কেন গাড়িটি একই বিন্দুর চারপাশটার দিকে এগিয়ে যাবে।একদিন বাধাগুলো অতিক্রান্ত হল, এটা এর নিজস্ব গতিপথে ফিরে এল, একটি তারা দেখতে দেখতে যা মরুদ্যানের অবস্থান নির্দেশ করছিল।যখন লোকজন দেখল যে তারা জলছে সকালের আকাশে, তারা জানত যে তারা জলের দিকে ঠিক পথে আছে, পাম গাছ, আশ্রয়, এবং অন্যান্য লোকজন।এটা শুধু ইংরেজ লোকটি ছিল যে এই সব বিষয়ে সচেতন ছিলেন না, তিনি ছিলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে, তার বই পড়ায় ডুবে।

বালকটির কাছেও তার বই ছিল, এবং সে এই ভ্রমনের প্রথম কয়েক দিন তার বই পড়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তার ক্যারাভ্যান পর্যবেক্ষন করা আর বাতাসের শব্দ শোনাকে অনেক বেশি উপভোগ্য লাগল। যেমন শীঘ্র সে তার উটগুলোকে ভালভাবে জানতে শিখতে লাগল, আর একটি সম্পর্ক স্থাপন করতে লাগল তার সাথে, সে বইটা ছুঁড়ে ফেলল।যদিও বালকটির একটি কুসংস্কার বাড়ছিল প্রত্যেক বার যে সে বইটি খুললে সে একটা গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিখবে, সে এটাকে একটা অপ্রয়োজনীয় বোঝা হিসেবে সাব্যস্ত করল।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত