অনুবাদ: এ্যালকেমিস্ট । পাওলো কোয়েলহো (পর্ব-৮)। সায়মা মনি
পৃষ্ঠা ৭১
সে সেখানে থামল। তার চোখ জলে ভরে গেল যখন তিনি মহানবী সম্পর্কে বললেন। তিনি একজন ধর্মপ্রান ব্যক্তি, আর, তার সমস্ত অধৈর্য্য নিয়ে, ইসলামী শরীয়াহ আইন অনুযায়ী তার জীবন কাটাতে চান।
‘পঞ্চম অবশ্যকর্তব্যটা কি?’ বালকটি জিজ্ঞেস করল। ‘দুই দিন আগে, তুমি বললে যে আমি কখনও ভ্রমণ করার স্বপ্ন দেখিনি।’ বনিক প্রত্যুত্তরে বলল, প্রত্যেক মুসলিমের পঞ্চম অবশ্যকর্তব্যটা হল তীর্থযাত্রা। জীবনে অন্তত একবার প্রত্যেক মুসলিমের পবিত্র নগরী মক্কা পরিদর্শন করা অবশ্যপালনীয়।’
‘মক্কা পিরামিডের থেকে অনেক দূরে। যখন আমি ছোট ছিলাম আমার সবটুকু দিয়ে যা চাইতাম তা হল যথেষ্ট পরিমান টাকা একসাথে করে এই দোকানটা শুর করা।আমি ভেবেছিলাম যে কোনদিন আমি ধনী হব, আর মক্কা যেতে পারব।আমি কিছু টাকা আয় করতে শুরু করলাম, কিন্তু আমি কখনও দোকানের দায়িত্ব কাউকে দিয়ে নিজে বের হতে পারলাম না; ক্রিস্টাল একটি পলকা জিনিস।একই সাথে, লোকজন আমার দোকান সব সময় পার করে চলে যায়, মক্কার দিকে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ধনী তীর্থযাত্রী, কাফেলায় করে যায়, ভৃত্য সহকারে এবং উট নিয়ে, কিন্তু বেশিরভাগ তীর্থযাত্রী মানুষ আমার চেয়ে দরিদ্র ছিল।’
পৃষ্ঠা ৭২
‘যারা সেখানে যেত এটা করতে পেরে তারা খুব খুশি থাকত।তীর্থ যাত্রার বিভিন্ন প্রতীক তারা তাদের বাড়ির দরজায় সাজিয়ে রাখত।তাদের মধ্যে, একজন মুচি যে জুতা সেলাই করে তার জীবিকা নির্বাহ করত, বলল যে সে প্রায় এক বছর যাবত মরুভূমির ভেতর দিয়ে ভ্রমন করেছে, কিন্তু তাতে সে আরও বেশি করে ক্লান্ত হয়েছে যখন তাকে তার চামড়ার পোশাক কিনতে তানজিয়ার পথে পথে হাঁটতে হযেছে। ‘
‘ভাল, তুমি এখন কেন মক্কা যাচ্ছো না?’ বালকটি জিজ্ঞেস করল।
‘কারন এটা হল মক্কা নিয়ে ভাবনা যা আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।সেটা আমাকে এই সব একই রকম দিনের মুখোমুখি হতে সাহায্য করেছে, এই সব তাকের মূক ক্রিস্টাল, আর দুপুরের খাবার আর রাতের খাবার একই ভয়ংকর দোকানে খেতে। আমি ভয় পাই যে যদি আমার স্বপ্ন বোধগম্য হয়, আমার বেঁচে থাকার কোন কারন থাকবে না।’
‘তোমার মেষ আর তোমার পিরামিড নিয়ে স্বপ্ন দেখ, কিন্তু তুমি আমার থেকে আলাদা, কারন তুমি তোমার স্বপ্নগুলো বুঝতে চাও।আমি শুধু মক্কা নিয়ে স্বপ্ন দেখতে চাই। আমি ইতিমধ্যে কল্পনায় এক সহস্রবার মরুভূমি অতিক্রম করেছি, প্লাজার পবিত্র পাথরের কাছে পৌঁছেছি, এটা ছুঁতে নিজেকে অনুমতি দেয়ার আগে সপ্তমবারের মত আমি এর চারপাশে তওয়াফ করেছি। আমি ইতিমধ্যে কল্পনা করে ফেলেছি কে আমার পাশে থাকবে, আর কারা আমার সামনে থাকবে, আর কথোপকথন আর প্রার্থনা যা আমরা ভাগ করে নিতে পারি।কিন্তু আমি ভীত যে এগুলো সবই বিষাদময় হয়ে উঠবে, তাই আমি এটা নিয়ে শুধু স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করি।’
পৃষ্ঠা ৭৩
ওই দিন, বনিক বালককে প্রদর্শক তাক তৈরি করার অনুমতি দিল।কেউ দেখতে পেল না যে একই ভাবে তার স্বপ্ন সত্যি হয়ে ওঠার পথ পাচ্ছে।
* * *
আরও দুই মাস অতিবাহিত হল, আর তাক অনেকগুলো ক্রেতাকে ক্রিস্টালের দোকানে নিয়ে এল।বালকটি সেটা হিসাব করল, যদি সে আরও ছয় মাস কাজ করে, সে স্পেনে ফিরে যেতে পারবে আর ষাটটি মেষ কিনতে পারবে, এবং আরও ষাটটি।এক বছর সময়ের মধ্যে, সে তার মেষের পাল দ্বিগুণ করে ফেলতে পারবে, আরে সে আরবের লোকদের সাথে ব্যবসা করতে পারবে, কারন সে এখন তাদের অদ্ভুত ভাষায় কথা বলতে সক্ষম।
পৃষ্ঠা ৭৪
বাজারে সেই সকাল থেকে, সে কখনও আর উরিম আর থাম্মিমের ব্যবহার করল না, কারন মিশর এখন এত দূরের একটা স্বপ্নের মত হয়েছিল যেমন মক্কা বনিকের জন্য ছিল।যাই হোক, বালকটি তার কাজে খুশি ছিল, আর সারাক্ষণ দিনটির কথা ভাবত যখন সে তারিফায় একজন জয়ী হিসেবে উঠবে।
‘তোমার অবশ্যই সবসময় জানা থাকতে হবে যে তুমি কি চাও,’ বৃদ্ধ রাজাটি বলেছিল।বালকটি জানত, আর এখন সেই জন্য কাজ করছে।হয়ত এটা তার সম্পদ ছিল ওই অদ্ভুত মাটিতে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়া, একজন চোরের সাথে সাক্ষাত হওয়া, এবং একটি পয়সা খরচ না করেও তার মেষপালের আকার দ্বিগুণ হওয়া।
সে নিজেকে নিয়ে গর্বিত ছিল।সে কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস শিখেছে, যেমন ক্রিস্টাল নিয়ে কিভাবে কাজ করতে হয়, আর শব্দবিহীন ভাষা সম্পর্কে ….. আর প্রতীক সম্পর্কে।একদিন বিকালে সে একজন মানুষকে পাহাড়ের উপরে দেখতে পেল, অভিযোগ করছিল যে এটা অসম্ভব ছিল একটি ভদ্রোচিত স্থান খুঁজে পাওয়া যেখানে এমন একটা আরোহণের পর পানীয় পান করা যাবে।বালকটি প্রতীক চিনতে অভ্যস্থ ছিল, বনিককে বলল।
‘চলো যারা পাহাড়ে আরোহণ করে তাদের কাছে আমরা চা বিক্রি করি।’
পৃষ্ঠা ৭৫
‘এখানে আশেপাশে প্রচুর জায়গা আছে যেখানে চা বিক্রি করা হয়,’ বনিক বলল।
‘কিন্তু আমরা ক্রিস্টাল গ্লাসগুলোতে চা বিক্রি করতে পারতাম।লোকজন চা উপভোগ করত আর গ্লাসগুলো কিনতে চাইত।আমাকে বলা হয়েছে যে সৌন্দর্য্য হল মহত্তম প্রলোভন পুরুষ লোকের জন্য।’
বনিক সাড়া দিলেন না, কিন্তু ওই বিকালে, তার প্রার্থনা করার পর আর দোকান বন্ধ করার পর, তিনি বালককে তার সাথে বসার জন্য আমন্ত্রণ জানালেন আর তার হুক্কায় শরিক হতে বললেন, সেই অদ্ভুত পাইপ যা আরবরা ব্যবহার করত।
‘তুমি কি খুঁজছো?’ বৃদ্ধ বনিক জানতে চাইলেন।
‘আমি ইতিমধ্যে তোমাকে বলেছি। আমার মেষগুলো আবার আমার কিনে নেয়া দরকার, আর সেটা করতে আমাকে অর্থ উপার্জন করতে হবে।’
বনিক হুক্কায় কিছু নতুন কয়লা ঢাললেন, আর গভীরভাবে শ্বাস নিলেন।
‘তিরিশ বছর যাবত এই দোকানটি আমার কাছে আছে।আমি খারাপ ক্রিস্টাল থেকে ভালোটা আলাদা করতে পারি, আর ক্রিস্টাল সম্পর্কে আর সবকিছু যা জানি। আমি এর ঘনত্ব জানি আর এটা কোন রীতিতে কাজ করে তাও জানি।যদি আমরা ক্রিস্টাল পাত্রে চা সরবরাহ করি, দোকানটি আরও সম্প্রসারিত হবে।আর তখন আমার জীবন যাপন পদ্ধতি বদলে ফেলতে হবে।’
পৃষ্ঠা ৭৬
‘ঠিক আছে, সেটা ভাল নয়?’
‘যেটা যেমন আছে আমি ইতিমধ্যে তাতে অভ্যস্থ হয়ে গেছি।তোমার আসার আগে, আমি একই জায়গায় কত সময় নষ্ট করেছি তা ভাবছিলাম, যখন আমার বন্ধুরা এগিয়ে গিয়েছে, আর হয় তারা দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে নয় তারা আগে যা ছিল তার চেয়ে ভালো করেছে।এটা আমাকে বিষাদগ্রস্থ করে তুলত।এখন, আমি দেখতে পাই যে এটা খুব বেশি খারাপ কিছু হয়নি।দোকানটি ঠিক এমন আকারের যেমনটা আমি সবসময় চেয়ছিলাম।আমি কিছু পরিবর্তন করতে চাইনা, কারন আমি জানিনা কিভাবে পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে হয়।আমি যেমন তাতে আমি অভ্যস্থ হয়ে গিয়েছি।’
বালকটি জানতো না কি বলতে হয়।বৃদ্ধ লোকটি বলে যেতে থাকল, তুমি আমার জন্য সত্যিকারের একটি আশীর্বাদ। আজ, আমি বুঝতে পারি যা আমি আগে কখনও দেখতে পাইনি:প্রতিটা আশীর্বাদ যখন উপেক্ষিত হয়, তা অভিশাপে পরিনত হয়।আমি আমার জীবনে আর কিছু চাই না।কিন্তু তুমি আমাকে চাপ দিচ্ছো যেন আমি সম্পদের দিকে মনোযোগ দেই আর সেই দিগন্তের দিকে যে সম্পর্কে আমি কখনও কিছু জানিনা।এখন আমি তাদের দেখতে পাই, আর এখন আমার সম্ভাবনা কত তীব্র তা দেখতে পাই, তুমি আসার আগে আমি যা করছিলাম যদি তাই করতে থাকি আমি আরো বেশি খারাপ থাকবো।কারন আমি জানি আমার কি কি কাজ শেষ করা উচিত আর আমি তা করতে চাই না।’
পৃষ্ঠা ৭৭
এটা ভাল যে আমি তারিফার রুটি দোকানদার সম্পর্কে কোন কিছু বলা থেকে বিরত থেকেছি, বালকটি নিজে নিজে ভাবল।
তারা পাইপ দিয়ে ধূমপান করতে থাকল যখন সূর্য অস্ত যেতে শুরু করেছিল।তারা আরবীতে কথোপকথন করছিল, আর বালকটি নিজে নিজে গর্বিত ছিল সেটা চালিয়ে নেয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছিল বলে।এমন একটা সময় ছিল যখন সে ভাবত যে তার মেষ তাকে পৃথিবী সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় সকল শিক্ষা দিতে সক্ষম।কিন্তু তারা কখনও তাকে আরবী শিক্ষা দিতে পারেনি।
পৃথিবীতে সম্ভবত অনেক কিছু আছে যা মেষ তাকে শেখাতে পারেনা, বালকটি বুড়া বনিক সম্পর্কে ভাবতে গিয়ে ভাবল।যা তারা সর্বোচ্চ করতে পেরেছে তা হল খাদ্য ও পানীয়ের অনুসন্ধান।আর সম্ভবত এটা তারা আমাকে শেখায়নি, কিন্তু আমি তাদের কাছ থেকে সেটা শিখেছিলাম।
‘মাক্তুব,’ বনিক অবশেষে বলল।
‘তার মানে কি?’
‘তুমি যদি জন্মসূত্রে আরব হতে তুমি বুঝতে পারতে,’ সে উত্তর করল।কিন্তু তোমার ভাষায় এটা হতে পারে ”লিখিত আছে যে।”
আর যখন সে হুক্কার কয়লা নাড়া দিল, সে বালককে বলল যে সে ক্রিস্টাল গ্লাসে চা বিক্রি করতে পারে।মাঝে মাঝে নদীকে পিছুটান দিয়ে ধরে রাখার কোন উপায় নেই।
পৃষ্ঠা ৭৮
* * *
লোকটি পাহাড়ে চড়লো, আর তারা ক্লান্ত হয়ে গেল যখন তারা চূড়ায় উঠল। কিন্তু তারা দেখল একটি ক্রিস্টালের দোকান যা সতেজকারক পুদিনা চা বিক্রির প্রস্তাব করে।তারা চা পান করতে ভেতরে প্রবেশ করল, যা সুন্দর ক্রিস্টাল গ্লাসগুলোতে পেশ করা হয়।
‘আমার স্ত্রী কখনও এটার কথা ভাবেনি,’ একজন বলল, আর সে কিছু ক্রিস্টাল কিনল- সে তার অতিথিদের সেই রাতে চিত্ত বিনোদনের ব্যবস্থা করলে, অতিথিরা সুন্দর গ্লাসের পাত্রের দ্বারা অভিভূত হয়ে যাবে।অন্য লোকটি মন্তব্য করল যে চা সবসময় আরো উপভোগ্য হয় যখন তা ক্রিস্টাল পাত্রে পরিবেশন করা হয়, কারন এর সৌরভই ধরে রাখে।তৃতীয় ব্যক্তিটি বলল যে প্রাচ্যে এটা প্রচলিত ধারা যে ক্রিস্টাল গ্লাসের পাত্রে চা পরিবেশন করা কারন এর একটা জাদুকরী শক্তি আছে।’
কিছু দিনের মধ্যে, সংবাদটি ছড়িয়ে পড়ল, আর অনেক মহান ব্যক্তি দোকানটি দেখতে পাহাড়ে আরোহণ করতে লাগল যা কিনা একটি ব্যবসায় নতুন কিছু করছে যা অনেক পুরনো ছিল।
পৃষ্ঠা ৭৯
অন্য দোকানগুলোও ক্রিস্টাল পাত্রে চা বিক্রি করতে শুরু করল, কিন্তু সেগুলো পাহাড়ের চূড়ায় ছিল না, আর তাদের ছোট ব্যবসা ছিল।
শেষ পর্যন্ত, বনিককে আরও দুইজন কর্মচারী নিয়োগ করতে হল।তাকে প্রচুর পরিমানে চা আমদানি করতে হল, ক্রিস্টাল সহকারে, আর তার দোকান নারী পুরুষ দ্বারা নতুন কিছুর তৃষ্ণা নিবারক হিসেবে চিহ্নিত হল।
আর এভাবেই মাস কেটে গেল।
* * *
বালকটি সূর্যোদয়ের আগে জেগে ওঠে।এখন এগার মাস নয় দিন হয়ে গেছে সে আফ্রিকা মহাদেশে পা রেখেছে।
সে তার সাদা লিনেনের আরব পোশাক পরে ছিল, বিশেষ করে এই দিনের জন্য সে কিনেছিল।সে তার মাথার কাপড় জায়গামত রাখল আর এটার যেন ঠিক ভাবে থাকে তাই উটের চামড়া দিয়ে বানানো আঙটি দিয়ে চাপা দিল।তার নতুন চটি জোড়া পরে, সে নিঃশব্দে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামল।
শহরটি তখন পর্যন্ত ঘুমন্ত ছিল।সে নিজের জন্য একটি স্যান্ডউইচ অল্প পরিমানে গরম চা বানিয়ে তা একটি ক্রিস্টাল গ্লাসে ঢেলে নিল।
পৃষ্ঠা ৮০
তখন সে সূর্যের আলোয় আসে এমন একটি দরজার পথে বসল, হুক্কায় ধূমপান করল।
সে নিঃশব্দে ধূমপান করল, কিছু ভাবছিল না, আর শুনছিল বাতাসের শব্দটা যা মরুভূমির গন্ধ বয়ে আনছিল।যখন সে তার ধূমপান করা শেষ করল, সে তার একটি পকেটের কাছে পৌঁছাল, আর কয়েক মুহুর্তের জন্য সেখানে বসল, সে কি কি বাতিল করবে সেগুলো নিয়ে।
এক বান্ডিল টাকা ছিল।একশো বিশটা মেষ কেনা যাবে তার নিজের জন্য এমন পরিমানে, একটি ফেরত টিকেট, আর একটা লাইসেন্স যা দিয়ে আফ্রিকা থেকে তার দেশে জিনিসপত্র আমদানি করা যাবে এমন।
সে ধৈর্য্য সহকারে অপেক্ষা করল বনিকের ঘুম থেকে জেগে ওঠা আর দোকান খোলা পর্যন্ত।তখন তারা দুজনে আরও চা পান করতে বের হয়ে গেল।
‘আমি আজ চলে যাচ্ছি,’ বালকটি বলল।’আমার কাছে আমার ভেড়া কেনার মত টাকা আছে।আর তোমার কাছে মক্কা যাওয়ার মত প্রয়োজনীয় টাকা আছে।’
বুড়ো লোকটি কিছু বললো না।
‘তুমি কি আমাকে তোমার আশীর্বাদ দেবে?’ বালকটি জিজ্ঞেস করল। ‘তুমি আমাকে সাহায্য করেছো।’ লোকটি তার চা প্রস্তুত করে যেতে থাকলেন, কিছু না বলে।তখন তিনি বালকটির দিকে ফিরলেন।

তিনি ইংরেজি সাহিত্যের নিয়ে পড়াশুনা করে এখন এম ফিল করছেন টি.এস. এলিয়েটের কবিতা নিয়ে।বর্তমানে শিক্ষকতার সাথে জড়িত আছেন।