(১)
হাসির রেখা শেষ হলে
এক ফোঁটা জল
ঘার গুঁজে থাকে
ঠিক ঠোঁটের পাশে–
কান্না নামের চোখের ঢল!
(২)
রঙীন দেওয়ালের
ঘরকন্না, ব্যস্ততা
উৎসব রাজনীতি ….
কেউ দেখলনা
মনের কোণে মেঘের জমে ওঠা।
(৩)
দখিন কোণের জানলা
জানতো ওর
একটুকরো শামুক গল্প।
গভীর আঁধারে
জানলার নীল পর্দা
জলের ছাপে সাজতো।
রাত ভোর।
(৪)
রোদচশমা, কাজল,
লিপস্টিক, শাড়ির আড়ালে
সে কুঁজো হয়ে যাচ্ছিলো;
সযত্নে লুকিয়ে রাখা
মন খারাপের জগদ্দলে।
(৫)
একদিন চিবুক তুলে দাঁড়িয়ে
ডুবে যাওয়া সূর্যের
আগুন রঙা সুখ মাখবে
ভেবেছিল মেয়েটা,
গাছটার সাথে।
(৬)
এক সূর্য ডোবার আগে
গাছটার গুঁড়ির কাছে,
মুখ থুবড়ে প‘রে
স্তব্ধ হয়ে যায় মেয়েটা
গোধুলি আলোয়।
(৭)
পিঁপড়েরা ভিড় করে
পড়ছিল সেদিন
মেয়েটার একান্ত ডাইরি।
লাল লেখা গুলোয়
থিকথিক পিঁপড়ের পিকনিক।
(৮)
গাছটা হাত বাড়িয়ে ছুঁতে চেয়েছিল
মেয়ের কোঁকড়া কালো চুল–
শিকড়ের স্থবিরতার
পিছুটানে
ছুঁতে চাওয়াটাই ভুল।
(৯)
জোনাকির মত
একঝাঁক মানুষদের মাঝে
মেয়েটা একা ছিলো নিঃশব্দে।
সে শুধু গাছটাকে চেয়েছিল
একদম একান্তে।
বর্তমানে কলকাতাবাসী।ব্যবসায় যুক্ত।লেখালেখি মনের খেয়ালে।