এক
চোখের মাথা খাই, পাত কুড়োই, ইলিশ রঙের নীচে লাল, লালচে কানকো ,ঘিলু
আমি ছাঁকা তেলে ভাজি, নুনে হলুদ কাঁচা আইবুড়ো
ভাজা হলে কাঁটা দিয়ে
রেকাবি সাজাই,রোজ ফোন খুলে রাখার মতো দিনশেষে পুড়ি
যেভাবে ঝুলনে তুমি যুগলমূর্তি নিয়ে পুতুল খেলেছো
যেভাবে অগোচরে
ঘাসের পিঠের ছোরা তুলে নিয়েছিলে , বাসে উঠে টিকিট কেটেছো , বুঝিনি আমি। তার কারণ বুঝিনি।
দুধ কাটা ছানাদের মৃত পায়ে বাটি চেপটানো সকালের ঘুম
তোমার তাবিজ ছিল,সুরক্ষা ছিল পাশে, মেয়েটার কোলের ওপর ব্যাগ রাখা,সেও ছিল। আমার সকল মেকি, সমস্ত নষ্ট অনুরাগ
রোজকার ফোন খুলে অপেক্ষার নির্লজ্জতা
আমার মনের সব তারে ঝোলে মরা মানুষের না বলা
পিপাসা ,বুঝিনি কেন,, কারণ বুঝিনি।
বারো ক্লাস, ১৩ ক্লাস, সাইকেল চালক
একা তুমি আমাকে চেয়েছিলে~ মনে হয় নি। লাল বাইক্ শব্দভেদী হর্ন , রিক্সার হুড্ তুলে আড়ালে হেসেছি
আসলে সে ঝড় তুলে চলে গেছে অন্য কোন্ নদীর রাহ্ চিনে
কোনদিন পেছনে ডাকিনি
জলের আবেগে একা ফেরা , সমুদ্র ফেরত দিল সেই তার সমুদ্রবালিকা
বন্ধু নই, ছিলাম না কোনদিন
দুই
সম্মাহন চিঠি দিয়ে অমোঘ জানিয়ো। টিপ পরেছিলে,কাল
একান্ত তোমার জন্য কুটনো কুটে হাঁড়ির মাথায় বাটখারা চাপাই ,উত্তর নেই আজ। সাদা কাগজে দস্তখত্ ,নগ্ন করে পেটের কাপড় সরিয়ে দাও,দেখি।
ক্ষমা করে দিয়ো।
জানি। পারবে না চেয়ে নিতে। অথচ জলের কাছে ফিরে আসাটাই সব। ব্যাগের পকেটে লেখা পুরনো ঠিকানা ,চিরকুট, পোস্টকার্ড
নীল নীল খামের ইনল্যাণ্ড
ভাসিয়ে দিচ্ছি ঐ তরঙ্গতিমিরে ,স্নান হল তবে। পিঠময় আমাদের অবিশ্রাম আদরের আলসেয় কথাগুলো আমসির মতো জারানো হচ্ছে রোজ
জমা হচ্ছে পৃথক কোনো বিবাহ নামক ত্রাণ তহবিলে।
তিন
মোরাদাবাদি চুড়ি কাঁদবে না আর। হাজার মাইল দূরে অন্য কোনো ঘড়ি তোমাকে ছিনতাই করে নেবে
আমাকে না বলে একদিন হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাবে
এক আধটা পাগলা ঘন্টি , পেরেক পোঁতার শব্দহীন জহরত
যা ওষ্ঠাধরের বিষ শুষে নিতো।
তুমি নামের বাক্সে আমি আর থাকি না
বাসা বদল করেছি ১ বছর হল , পাশাপাশি পৃথক বালিশ আমাদের
দুটো রেল লাইনের মতো। সন্তানের মুখ চেয়ে আলু সেদ্ধ তে একই নুন, একই ফ্রিজে মাখন জমানো।
অভিমান নেই। রান্না করি না। প্যাকেটে রাখা থাকে মোচা ,থোড়, গয়নাবড়ি।
শরীর খারাপ নেই। রোজ ভালো আছি।

কবি