| 26 ফেব্রুয়ারি 2025
Categories
উৎসব সংখ্যা’২০২১

উৎসব সংখ্যা গল্প: সাইকোপ্যাথ । তুলিকা মজুমদার

আনুমানিক পঠনকাল: 6 মিনিট

 

তখন বিয়ে করেছি বছর খানেক হয়েছে বোধহয়,কিছুদিন কমবেশি হতে পারে।

 

কত কয়েক বছরে জমানো টাকা আর অফিস থেকে হোম লোন- একটা দিয়ে নতুন বাড়িটা কিনে ফেললাম। আমার সারাজীবন কেটেছে ভাড়াবাড়িতে।বাড়িওয়ালার সাথে সামান্য কথা কাটাকাটি-পরদিন বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিয়ে নতুন মাথা গোঁজার ঠিকানা,এভাবেই  আজ এখানে, কাল ওখানে -যাযবর জীবন কেটেছে আমার। তাই আমার স্ত্রী সোনালী যখন বলল ও সন্তান নিতে চায়, আমার মনে হলো আমাদের অনাগত সন্তানের প্রতি ইটা আমার কর্তব্য।বাড়ি কেনার এটাই সঠিক সময় ।

 

কোলকাতাতে গত অনেক বছর ধরেই চলছে ফ্ল্যাট সংস্কৃতি।বাড়ি করবার ঝামেলায় আর কেউ যেতে চায় না। আমি কখনোই ফ্ল্যাট কেনায় আগ্রহী ছিলাম না।তাই আমার কলিগ রঞ্জন যখন বলল, একটা বাড়ি আছে কলকাতার অদূরে তেঁতুলতলীতে, মালিক বেশ সস্তাতেই ছেড়ে দিচ্ছে, তখন তড়িঘড়ি করেই রাজি হয়ে গেলাম। টাকা পয়সা লেনদেন আর বাড়ির কাগজপত্র সব রঞ্জনের মাধ্যমেই হলো। সেই দৌড় ঝাঁপ করে সংবিত করলো, আমি কৃতজ্ঞতায় গলে গেলাম প্রায়।  ওকে বললাম “ভাই নতুন বাড়ি সাজিয়ে তুল্লে তুই আসবি প্রথম অতিথি হয়ে!”

 

আগে থেকেই জানতাম বাড়িটা শহরতলিতে। তবে সমস্যা নেই, এদিকটায় রাস্তা তুলনামূলক ভাল আর জনবসতিও কম তাই পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাতায়াত করলেও জ্যামের ভয় নেই।

 

ছবিতে যেমন দেখেছিলাম, সরাসরি বাড়িটা কিন্তু দেখতে গিয়ে কিন্তু মন খারাপ হয়ে গেল আমার। রঞ্জন যেরকম বলেছিল বাড়িটা কিন্তু সেরকম নয়। বাড়ির সামনের গাছগাছালি এককালে বাগান হয়ে থেকেও এখন ছোটখাটো জঙ্গলে পরিণত হয়েছে।আসপাশে  সেরকম লোকালয় নেই, সবই বাড়ির সামনের জঙ্গল পেরিয়ে বেশ কিছুটা হেঁটে এগিয়ে ! আর বাড়ির দেয়ালগুলোতে রঙ এর ছিটেফোঁটা নেই।ইনফ্যাক্ট বাড়িটার আদৌ কী রং ছিল সেটুকু বোঝারও উপায় নেই। আগের মালিকের আর্থিক অবস্থা বোধহয় খুব একটা সুবিধার ছিল না, তাই কখনও রঙ করা বা শ্যাওলা সরানোর দিকে যাননি। বরং শর্টকাট হিসেবে বাড়ির ভিতরকার সবগুলো দেয়াল আর সিলিং ঢেকে দিয়েছেন  ওয়ালপেপার দিয়ে।

 

সোনালী কিন্তু আমার মত হতাশ হলো না। বাড়িটা দেখে বেশ খুশি হলো।নানান পরিকল্পনা করতে লাগলো বাড়িটার মেকওভার করার জন্য। আমরা খালি বাড়িতে আমাদের স্বল্প জিনিসপত্র প্যাকিং বাক্সে নিয়ে উপস্থিত হলাম।

 

আমরা নিজেদের কাজ ভাগ করে নিলাম। আগামী দুদিনের ভেতর সোনালী রান্নাঘর আর শোওয়ার  ঘরকে বসবাসের উপযুক্ত করবে আর আমি বাড়ির সব দেয়াল আর সিলিং থেকে ওয়ালপেপার সরিয়ে রঙ করার জন্য তৈরী করব।কিছু জমানো টাকা আরো খরচ হবে এতে ঠিকই কিন্তু সেটা ধরে নিয়েই বাড়িটা কিনেছিলাম ফলে আর দ্বিধা না করে পরদিন থেকেই কাজে নেমে পড়লাম।

 

অফিস থেকে ছুটি নিয়েছি। আমেরিকা-ইউরোপে লোকজন ওয়ালপেপার ব্যবহার করে বলে শুনেছি।আমার নিজের ওয়ালপেপার লাগানোর বা সরানোর-কোন অভিজ্ঞতাই নেই।প্রথমবার হাত বুলিয়ে কাগজ বলে মনেই হল না।খুব মসৃণ,বেশ আরাম লাগছিলো হাত বোলাতে।

 

প্রথম টুকরোটা অনেক কায়দা করেও দেয়ালের গা থেকে আলগা করতে পারলাম না।শেষে একটা খুন্তি দিয়ে দিয়ে খুঁচিয়ে তুলতে হল। খুন্তির খোঁচায় ওয়ালপেপারটা বেশ কয়ে জায়গায় ছিঁড়ে গেল, বেশ কিছু আঁচড় পড়ল।কিন্তু সবচেয়ে অবাক হলাম পুরো ওয়ালপেপারটা সরানোর পর।ওয়ালপেপারের ওপর প্রান্তে কালচে লাল রং-এর আঠালো তরল চটচট । এ আবার কেমন আঠারে বাবা? এত বছর পরেও কাগজের গায়ে, দেয়ালের গায়ে বোঝা যাচ্ছে ?

 

-এতক্ষনে মাত্র একটা ওয়ালপেপার সরালে?

তাকিয়ে দেখি সোনালী দাঁড়িয়ে আছে, চোখেমুখে বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট।

-তোমার কাজ কদ্দূর এগোল?

-আমার কাজ ভালই চলছে। তোমার একি অবস্থা?

-কেন? কি হল?

-সারা সকাল জুড়ে মাত্র একটা ওয়ালপেপার সরালে? এই গতিতে কাজ করলে অন্তত ছয় মাস লাগবে সব ওয়ালপেপার সরাতে।

-কি যে বল।আমি হাসার চেষ্টা করল।

সোনালী কিছু বলল না, গাল ফুলিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইল।

-এই কাগজগুলো একটু অন্যরকম, দেয়ালের গায়ে লেগে থাকে।ছাড়ানো যাচ্ছে না।

-আর কত অজুহাত দেবে?

-অজুহাত? তুমি চেষ্টা করে দেখাও দেখি।

আমি খুব ভাল করেই জানি চ্যালেঞ্জ করলে সোনালী খেপে যায়, এবারও ব্যতিক্রম হল না। প্রথমে ও পুরো ওয়ালপেপারটার ওপর হাত বুলিয়ে নিল, তারপর একটা কোনা খুঁজে বের করল। ওটা দেয়ালের গায়ে লেগে নেই। ওই কোনাটা ধরে টান দিতেই পুরো ওয়ালপেপারটা উঠে এল-আস্ত, অক্ষত।

-এভাবে করতে হয়। বুঝলেন স্যার। ওর ঠোঁটের  কোণে বিজয়ীর হাসি।

-তোমার কপাল ভাল, ওটার একটা কোণা বেরিয়ে ছিল।

-তাই?

-হ্যাঁ ।

-তাহলে আরেকটা করে দেখাই।

দ্বিতীয় ওয়ালপেপারটার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটল। একটা কোণা  বেরিয়ে আছে, ধরে টান দিতেই পুরোটা উঠে এলো।

 

খেয়াল করে দেখলাম প্রতিটি ওয়ালপেপারই এভাবে লাগানো হয়েছে দেয়ালে। একদম কোণায় ছোট একটা অংশ বেরিয়ে থাকে, ধরে টান দিলেই পুরো ওয়ালপেপারটা উঠে আসে।এটা আমার জানা ছিল না।

 

চতুর্থ ওয়ালপেপারে গিয়ে খেয়াল করলাম ব্যাপারটা। প্রতিটি ওয়ালপেপারই লাল রং-এর আঠা দিয়ে দেয়ালে লাগানো হয়েছে।একটা ভেজা কাপড় দিয়ে দিয়ে আঠা সরাতে সরাতে একটা লেখা ভেসে উঠল।ভাল করে লক্ষ্য করে দেখলাম-একটা নাম। বিজয়া অধিকারী। নিচে তারিখ লেখা ০১/১০/১৯৯৯।

 

-আশ্চর্য!

-কি? জানতে চাইল সোনালী।

-এই দেখ।

নাম আর তারিখ দেখে সোনালীও অবাক হল।

-এর মানে কি?

-বুঝতে পারছি না।

-বাকিগুলোও দেয়াল গুলোতেও কাপড় দিয়ে মুছে দেখা দরকার।এসো তো !

বাকি দুটোদেয়ালেও একই রকম কিছু নাম আর তারিখ লেখা দেখে অবাক হয়ে গেলাম।

 

অপরাজিতা সেন। ০১/০১/২০০০  .

ঐন্দ্রিলা বসু ০১/০৪/২০০০   .

 

 

এর মানে কি? আমি আর সোনালী একে অপরের মুখের দিকে একরাশ বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে রইলা। 

-চলতো অন্যরুমগুলায় দেখি।সোনালী দ্রুত বলল ।  বোঝা যাচ্ছিলো ও খানিকটা উত্তেজিত!

-চল।

 

বিকেলের মধ্যে আরো আটটা ওয়ালপেপার নামিয়ে ফেললাম অন্যান্য ঘর মিলিয়ে।

সবগুলোতেই একই ঘটনা। আঠা সরালেই একটা নাম আর তারিখ। তারিখগুলোও একই রকমের, কোনও না কোন মাসের পয়লা তারিখ। পয়লা জানুয়ারী, পয়লা এপ্রিল, পয়লা জুলাই আর পয়লা অক্টোবর। শুধু সালগুলো কখনও কখনও ভিন্ন। এক রুমের চারটা ওয়ালপেপারে ছিল ২০০o আর অন্যরুমের গুলোতে ২০০১।

 

– একটা কাজ করবে? সোনালী বলল।ওর কপালে তখন বেশ কয়েকটা ভাঁজ ! এমনিতেও আমার থেকে সোনালী অনেক বাস্তব বুদ্ধি ধরে তাই আমি বললাম “বলো !”

 

-এই নাম আর তারিখ দিয়ে গুগলে সার্চ করো তো !

এখানে ডেটা নেটওয়ার্ক ভাল না, তাই দুজনে বেরিয়ে এলাম।

 

সার্চ রেজাল্ট দেখে দুজনেই স্তব্ধ হয়ে গেলাম। সবাইকে খুঁজে না পেলেও যাদেরকে খুঁজে পেলাম তারা  প্রত্যেকেই মিসিং পারসন এবং তথ্য অনুযায়ী দেওয়ালের উপর তীক্ষ্ণ কিছুর সাহায্যে লেখা  তারিখগুলো থেকেই এদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

 

-এখন কি করবে? সোনালী জানতে চাইল।

খেয়াল করে দেখলাম ওর গলা কাঁপছে।

-ভয় পেয়োনা। আমি ফোন করছি পুলিশকে।

 

লোকাল থানার বড়োবাবু নিজেই এলেন বাড়িতে।

 

আমরা পুলিশকে সব খুলে বললাম।বড়োবাবু সব চুপচাপ শুনলেন।

 

-শুনুন আমরা আপাতত বাড়ির চারপাশে ‘ডু নট এন্টার’ সাইন লাগিয়ে লোক বসিয়ে দিচ্ছি। আমরা না বলা পর্যন্ত আপনারা আর এই বাড়িতে ফিরবেন না।

-আপনারা কি এটাকে ক্রাইম সিন হিসেবে বিবেচনা করছেন?

-আপাতত তাই।

 

আমি আর সোনালী বাধ্য হয়েই একটা স্থানীয় লজে উঠলাম। রঞ্জনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলাম। পারলাম না। ফোন বন্ধ, শুনলাম, ওর মা মারা গিয়েছে তাই অনির্দিষ্ট কালের জন্য ছুটিতে আছ।  বাড়ির মালিককে ফোন করলাম, ওনার বাড়ির লোক জানালো উনি গয়া গিয়েছেন বিশেষ কাজে। অগত্যা  অপেক্ষা করা ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার রইলো না !

 

এক সপ্তাহ পর একটা ফোন পেয়ে আমি আর সোনালী ওই বাড়িতে উপস্থিত হলাম।

ইন্সপেক্টর সিরাজ নামক এক অফিসার ফোন করে বললেন থানা থেকে ঘটনাটা তদন্ত করার ভার তার উপরে দেওয়া হয়েছে।

 

বাড়িটাতে পৌঁছে দেখলাম সামনে পুলিশের পোশাক পরে এক ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে আছ। লম্বা চেহারা, চোখে সানগ্লাস । আমাদের দেখে উনি এগিয়ে এসে বাড়ির ভিতর ঢুকতে বললেন ।

 

আমরা বাড়িটার বসার ঘরে আমাদেরই রাখা তিনটে প্যাকিং বাক্সের উপর বসলাম ।ইন্সপেক্টর সিরাজ রোদচশমাটা খুললেন না। কিন্তু সরাসরি আমাকে উদ্দেশ্য করেই প্রথম প্রথম বাক্যটি বললেন।

 

-সাইকোপ্যাথ সম্পর্কে আপনার কি ধারণা?

-মানে?

-এই বাড়িতে আমরা ৫টা  রুমে সর্বমোট ১৪টা ওয়ালপেপার সরিয়েছি, আপদের সরানো ৮টা ওয়াল পেপার সহ। প্রতিটা দেয়ালেই একটি করে মেয়ের নাম আর তারিখ লেখা আছে। একই প্যাটার্ন। এক রুমের তিন দেয়ালে তিন জনের নাম আর একই বছরে তিন মাস অন্তর তারিখ।বুঝতে পারছেন?

-কিছুটা।

-আমরা এই ১৪জনের ব্যাপারেই খোঁজ নিয়েছি। প্রতিটি মেয়েই মিসিং।

-বুঝতে পারছি।

-আচ্ছা, ৫টা রুমেতো ১৫টা  ওয়ালপেপার হওয়ার কথা।

-আপনাদের শোওয়ার ঘরে দুই দেয়ালে ওয়ালপেপার ছিল। আরেকটা দেয়াল খালি ছিল।

-কিন্তু কেন?

-সে জবাব পেয়ে যাবেন সত্বর।

-মা.. মা.. মানে?

-আরে ঘাবড়ে গেলেন নাকি?

-না.. না.. ঘাবড়াব কেন?

-গুড।কারণ ঘাবড়ে যাওয়ার মত কথাটা এখন শুনবেন?

-কি কথা? সোনালীর কন্ঠে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট।

-আমরা আমাদের এক্সপার্ট দিয়ে ওয়ালপেপারগুলো পরীক্ষা করিয়েছি। কাগজগুলোর গায়ে লেগে থাকা লালচে তরলগুলো শুধু আঠা নয়, সঙ্গে রক্ত মেশানো হয়েছে, তাই অমন কালচে লাল রং ।ইন্সপেক্টর সিরাজ শেষ কথাটা পুরো করতে পারলেন না, তার আগেই সোনালী মাথা ঘুরে পরে গেল।ফ্লোরে পড়ার আগেই আমি ওকে ধরে ফেললাম।

 

-ওহ গড, ম্যাডাম এতো দুর্বল মনের মানুষ বুঝতে পারিনি !আপনি তাড়াতাড়ি আমার গাড়ি থেকে জল নিয়ে আসুন ,আমি ওনার কাছে আছি।

-গাড়ি কেন, এখানে বাথরুম  থেকেই নিয়ে আসি না।

-এই বাড়ির জলের লাইন কাটা আছে, আপনাদের সেটা জানা উচিত ছিল।

-সেকি আমরা যেই একদিন এই বাড়িতে ছিলাম তখন তো জল ছিল!

– আমরা চেক করে দেখেছি জলের লাইন কাটা ! আপনি অযথা দেরি করছেন !

-ওহ এখুনি যাচ্ছি ।

আমি দৌড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ইন্সপেক্টরের গাড়ির খুঁজতে গেলাম !

 

কিন্তু গাড়ি কোথায় ? আমি পাগলের মতো এদিক ওদিক দৌড়ে বেড়ালাম কিন্তু কোনও গাড়ির “গ ” পর্যন্ত চোখে পড়লো না ! আমি দর দর করে ঘামছিলাম ! হঠাৎই আমার মনে হলো ইন্সপেক্টর নিজে না এসে আমায় ওনার গাড়ি খুঁজতে পাঠালো কেন ? গাড়ির চাবিও তো দিলো না, আমি দরজা খুলতাম কী করে ?আমার মাথাটা আতঙ্কে আর নিজের নির্বুদ্ধিতার উপলব্ধিতে বন্ বন্ করে ঘুরতে লাগল। আমি প্রানপন ছুটে বাড়ির দরজা খুলতে গেলাম, দেখলাম দরজা বন্ধ !

 

পাগলের মতো দরজা ধাক্কা মারতে মারতেই  আমার ফোন বেজে উঠলো !

– আমি তেঁতুলতলী থানার বড়োবাবু বলছি, আপনারা থানায় আসুন এক্ষুনি আর এই বাড়ির মালিকের সঙ্গে ইমমেডিয়েটলি যোগাযোগ করুন।

-মানে? আমরা তো এই বাড়িতেই রয়েছি, আপনার পাঠানো ইন্সপেক্টর সিরাজ এসেছেন এখানে !

-ইন্সপেক্টর সিরাজ ? সে আবার কে ? এরকম কোনও অফিসার আমাদের থানায় নেই !

আপনারা ঠিক কোথায় ? এক্ষুনি বেরিয়ে আসুন ওই বাড়ি থেকে !

বড়োবাবুর কথা আমার আর কানে ঢুকছিল না ! আমার বুকে ব্যথা করছিলো ! বাড়ির দরজা যে খুলবে না সেটা বুঝে গিয়েছিলাম আর আমাদের শোওয়ার ঘরের তিন নম্বর দেয়ালও যে আর খালি থাকবে না সেই কথাও !

 

 



 

 

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত