| 1 সেপ্টেম্বর 2024
Categories
চলচ্চিত্র বিনোদন

মহানায়কের ঠোঁটে জনপ্রিয় হওয়া কালজয়ী বারোটি গান

আনুমানিক পঠনকাল: 2 মিনিট

উত্তম কুমার। সত্যজিৎ রায়ের ‘নায়ক’ আর বাঙালির মহানায়ক। আসল নাম অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়। ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে উত্তম-সুচিত্রা বাঙালির সাদা-কালো সিনেমা যুগের প্রতীকী রূপ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তবে উত্তমের চলচ্চিত্রযাত্রা সহজ ছিল না। কলকাতার পোর্টে কাজ দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন তিনি। সাধারণ বাঙালি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হওয়ায় চলচ্চিত্রে প্রতিষ্ঠা পেতে যথেষ্ট খাটতে হয়েছে তাঁকে। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি শুরুতে মঞ্চেও অভিনয় করতেন তিনি।

উত্তম কুমারের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ছিল ‘দৃষ্টিদান’। প্রথম অভিনীত ছবি ‘মায়াডোর’, তবে সেটি মুক্তি পায়নি। উত্তমকে নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবিটি। ১৯৫৩ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিটিতে প্রথম সুচিত্রা সেনের বিপরীতে অভিনয় করেন উত্তম। আর সেই থেকেই উত্তম-সুচিত্রা জুটির পথচলা।

উত্তমের ঠোঁটে জনপ্রিয় হয়েছে বাংলা ছবির অসাধারণ সব গান। পর্দায় বেশির ভাগ সময়েই উত্তমের জন্য গান গেয়েছেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও কিশোর কুমার। উত্তম-সুচিত্রা জুটির মতো উত্তম-হেমন্ত কিংবা উত্তম-কিশোর সুরের জুটিও বাঙালির কাছে সমানভাবে কদর পেয়েছে। উত্তম কুমারের জনপ্রিয় প্রায় সব গানই গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের লেখা।

১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কলকাতায় জন্মেছিলেন উত্তম কুমার। ১৯৮০ সালের আজকের দিনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মহানায়কের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর ঠোঁটে জনপ্রিয় হওয়া কালজয়ী বারোটি বাংলা গান—

১. এই পথ যদি না শেষ হয়

উত্তম-সুচিত্রা জুটির ঠোঁটে জনপ্রিয় বাঙালির প্রাণের গান। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় গানটি গেয়েছিলেন ‘সপ্তপদী’ ছবির জন্য। গানটি লিখেছিলেন গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার।

২. আমার স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা

‘সাগরিকা’ ছবির জনপ্রিয় এই গান গেয়েছিলেন শ্যামল মিত্র। লিখেছিলেন গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার আর সুর করেছিলেন রবিন চ্যাটার্জি।

৩. এ কী হলো

‘রাজকুমারী’ ছবির এই গান গেয়েছিলেন কিশোর কুমার। এই ছবিতে উত্তমের সঙ্গী ছিলেন তনুজা।

৪. শোনো বন্ধু শোনো প্রাণহীন এই শহরের ইতিকথা

এই গানটিও গেয়েছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়।

৫. আজ দুজনার দুটি পথ

উত্তম-সুচিত্রা জুটির ‘হারানো সুর’ ছবির এই গান লিখেছিলেন গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার। গেয়েছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। ছবিতে উত্তম ঠোঁট মেলাননি, তবে পর্দায় উপস্থিত ছিলেন উত্তম-সুচিত্রা দুজনই।

৬. কী আশায় বাঁধি খেলাঘর

১৯৭৫ সালের ছবি ‘অমানুষ’। সেই ছবির গান এটি। গানটি গেয়েছিলেন কিশোর কুমার।

৭. আশা ছিল ভালোবাসা ছিল

‘আনন্দ আশ্রম’ ছবির গান। গেয়েছিলেন কিশোর কুমার। গানটি লিখেছিলেন গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার এবং সুর করেছিলেন শ্যামল মিত্র।

৮. তারে বলে দিও সে যেন আসে না আমার দ্বারে

‘দুই ভাই’ ছবির এই গানও নিজের সুরে গেয়েছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। বরাবরের মতো লিখেছিলেন গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার।

৯. আমার স্বপ্ন তুমি

‘আনন্দ আশ্রম’ ছবির এই গানে উত্তমের সঙ্গে ছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। গানটি গেয়েছিলেন কিশোর কুমার ও আশা ভোঁসলে। গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের কথায় গানটির সুর করেছিলেন শ্যামল মিত্র। ১৯৭৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি।

১০. পৃথিবী বদলে গেছে

উত্তম কুমারের ঠোঁটে জনপ্রিয় হওয়া এই গানটি গেয়েছিলেন কিশোর কুমার।

১১. আমি যে জলসা ঘরে

এন্টনী ফিরিঙ্গী ছবির এই গানটি গেয়েছিলেন মান্না দে। লিখেছিলেন গৌরিপ্রসন্ন মজুমদার আর সুর করেছিলেন অনিল বাগচী। ১৯৬৭ সনে মুক্তি পেয়েছিলো এই ছবিটি।

১২. পথের ক্লান্তি ভুলে

১৯৫৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল মরুতীর্থ হিঙ্গলাজ ছবিটি। গৌরিপ্রসন্ন মজুমদারের কথায় সুর করেছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায় এবং গায়ক ও তিনিই।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত