নিউজিল্যান্ড করোনামুক্ত
সোমবার দেশের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্দা আর্দেন ঘোষণা করেছেন, ‘আর কোনও করোনার রোগী নেই। করোনামুক্তের জন্য সব ত্যাগ করতে স্বীকার হয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডবাসীরা। আর এরজন্যই এই সাফল্য।’ শেষ যিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, তিনিও সুস্থ হয়ে রবিবার বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।
এই কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে দেশকে এত দ্রুত বের করে আনার পর ঠিক কেমন অনুভূতি প্রধানমন্ত্রী জেসিন্দা আর্দেনের? এই প্রশ্নের উত্তরে সোজা সাপটা জবাব তাঁর… ‘এই খবর জানতে পেরেই আমি আনন্দে একটু নেচে নিয়েছিলাম। আমি নেভেকেও দেখালাম। যদিও ওর কোনও ধারণা ছিল না কেন আমি লাউঞ্জের মধ্যে নেচে বেড়াচ্ছি।’
একই প্রশ্ন করা হয়েছিল দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ডিরেক্টর জেনারেল ডা. অ্যাশলে ব্লুমফিল্ডকে। তাঁর অবশ্য উত্তর, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর মতো অত দক্ষ নৃত্য শিল্পী নই। তবে এই সপ্তাহে একজন আমাকে খুব গম্ভীর বলেছিলেন। কিন্তু আমি মাঝে মধ্যে অল্প হাসিও।’
চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডে প্রথম করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলে। গত ১৫ মে পর্যন্ত শেষবার নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছিল। পঞ্চাশ লক্ষ জনসংখ্যার এই দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১৫৪জন। মারা গিয়েছেন ২২জন।, গত ১৭ দিন নুন করে কোনও সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি। সোমবার মধ্যরাত থেকেই দেশ থেকে লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে। সীমান্তে কড়া বিধি নিষেধ থাকলেও অভ্যন্তরীনে কোনও নিষেধাজ্ঞা আপাতত থাকছে না। প্রথম করোনায় আক্রান্তের হদিশ মিলতেই সাত সপ্তাহের লকডাউন জারি করা হয়। বাড়ি থেকে কাউকে বের হতে নিষেধ করে দেওয়া হয়। জরুরি পরিষেবা চালু হয় গোটা দেশে। ফলে সংক্রমণের সংখ্যা একধাপে অনেকটাই কমে যায় তখন।
বিশ্বের সর্বশেষ খবর, প্রতিবেদন, বিশ্লেষণ, সাক্ষাৎকার, ভিডিও, অডিও এবং ফিচারের জন্যে ইরাবতী নিউজ ডেস্ক। খেলাধুলা, বিনোদন, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্য সহ নানা বিষয়ে ফিচার ও বিশ্লেষণ।