স্থানীয় মানুষজনের কথা অনুযায়ী, জলের গতি যখন খুব পরিমাণে বেড়ে যায়, ঠিক তখনই গুহা থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে এই ড্রাগনগুলি। তবে এরই সঙ্গে আশঙ্কার কথাটিও শোনালেন স্থানীয় মানুষজন। তাঁদের অনুমান, যে ড্রাগনদের আমরা গুহা বসবাস করার কথা এতদিন যাবৎ শুনে এসেছি, এই বাচ্চাগুলি আসলে তাদেরই।
ইউরোপের সর্বাপেক্ষা বৃহৎ গুহা অর্থাৎ পোস্তজনা গুহা ভ্রমণপিপাসুদের জন্য সবসময়ই খোলা থাকে। সেখানকার কর্মীরা খুব ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন, এই ড্রাগন শিশুগুলির জন্ম ২০১৬ সালে। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ওই গুহার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মার্জাঁ বাতাগেলজ বললেন, “ডিমগুলি যখন প্রথমে আমাদের নজরে আসে, তখনই খুব উত্তেজিত হয়ে যাই। কিন্তু পরবর্তীতে মাথায় হাজারো চিন্তার উদয় হয়। কী ভাবে বাঁচানো যায়, কী ভাবে বাচ্চাগুলোকে খাওয়াব, আর কী ভাবেই বা সংক্রমণ থেকে ওদের রক্ষা করা যাবে?”
তবে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, কতদিন পর্যন্ত বাঁচতে পারে বিরল প্রজাতির এই প্রাণীগুলি। মার্জাঁ বাতাগেলজের কথায়, “বিজ্ঞান বলছে, এই ধরনের প্রাণীগুলির টিকে থাকার সম্ভাবনা মাত্র ০.৫ শতাংশ। তবে আমরা সেই ২০১৬ সাল থেকে এখনও অবধি ২১টি ড্রাগন বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছি। ” পাশাপাশিই তিনি আরও জানালেন যে, ২০১৬ সালে মোট ৬৪টি ডিমের সন্ধান মিলেছিল গুহার ভিতরে।
ড্রাগনের এই বাচ্চাগুলির ১৪ সেন্টিমিটার বা ৫ ইঞ্চি অবধি লম্বা হয়। তবে পুরোপুরি বড় হয়ে গেলে, এরা ৩০ সেন্টিমিটার বা ১২ ইঞ্চি অবধি লম্বা হতে পারে। এই ধরনের ওল্মস একবার টিকে গেলে কমপক্ষে ৮ বছর অবধি কোনও রকম খাবার ছাড়াই বেঁচে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এদের জীবনকাল ১০০ বছর অবধি হতে পারে বলে আরও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।