| 11 অক্টোবর 2024
Categories
ভাসাবো দোঁহারে

ভাসাবো দোঁহারে: প্রেমের কবিতা । চৈতালী চট্টোপাধ্যায়

আনুমানিক পঠনকাল: < 1 মিনিট
চোদ্দই ফেব্রুয়ারি
 
আমাকে টেনেছিল মধ্যাকর্ষণ। আমাকে ডেকেছিল সঙ্গদোষ
নামতে নামতেও আত্মীয়স্বজনের হাতে আমি শুঁয়োপোকা ডলে দিয়েছি।
নামতে নামতে আমি ষড়রিপু খরচা করেছি
প্রতিবেশীদের জন্য।
দেশ ও দশের জন্য,
প্রেমের কবিতা লিখছি অতি চমৎকার–
মৃতদের প্রেমরসে উডপেন্সিল ডুবিয়ে…
এখানে যে সবুজ চোখের শয়তান, মনে রেখো,আমি ওকে ভালোবাসা বলে ডেকে থাকি
 
 
 
 
 
আমি মফস্বলকে দেখি তোমার চোখ দিয়ে।
যেমন,ট্রামের জানলা দিয়ে,মোড় ঘুরলেই,
পুরনো বইয়ের দোকান।হুইটম্যানের ওপর ধুলো বসে রয়েছে।
সূর্যাস্তে খেলার মাঠ দেখি। গাছের কোটরে সাপ থাকলেও থাকতে পারে। দেখি।
শাঁখ আর হারমোনিয়াম একসঙ্গে বেজে উঠল।
ঘরের বউরা ফরশা শাড়ি পরে পাড়া বেড়াতে যাচ্ছে।
অসুস্থ বাবাকে নিয়ে সদর হাসপাতালের দিকে প্রাণপণ ছুটছে যুবক।
দেখি, রেলগেটের স্টেশনারি দোকানে কুচো মেয়ের হাতে শুড়শুড়ি দিল বুড়ো দোকানি।
সাইকেল রেখে ট্রেন ধরতে দৌড়োল কেউ, শহরের আলো নেবে বলে।
সমাজব্যবস্থাকে গালি দিতে দিতে কাঁচা নর্দমার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে সাড়ে পাঁচফুটের এক জমাট অন্ধকার।
বাচ্চারা হাতমুখ ধুয়ে টিভি খুলে বসল এই অসময়ে।
মলিনতা আর আনন্দ দেখি,
তোমার চোখ দিয়ে
 
 
 
 
 
 
ইহকাল
 
একা বসে আছি আলো এসে বসে পাশে
আমরা দুজন ও ক্যাপুচিনো,মাঘমাসে ।
 
অন্ধকার তো প্রেমিকের মতো ডাকে
আমার পাপোশে মালাখানি তার রাখে
আগুন জ্বেলে সে পুড়িয়েছে শৈশব,
সে বড় মোহন,ছলনার অবয়ব।
কফিশপে,যাই। চিনে রেস্তরাঁ যাই,
ওরই সঙ্গে। হাত ছাড়ি,ফিরে চাই।
মিলন,বিরহ, ঘটনাবহুল লাগে!
ভয়ে, খুব ভয়ে ফাঁপা গোধূলিরা জাগে!
 
একা বসে থাকি।আলোও বসে না পাশে।
ফাল্গুন আসে।বিষ মিশে যায় শ্বাসে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত