জীবনীমূলক ছবির মূল সুরটি কি?
জীবনীমূলক বা বায়োপিক ঘরানা সিনেমা শিল্পের একটি বিশেষ ধারা। এই ধরনের ছবিতে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখে যাওয়া একজন জনপ্রিয় বা প্রবাদপ্রতিম মানুষের জীবনের গোটাটা বা কিছু অংশ ছবির বিষয়বস্তু হিসেবে নির্বাচন করা হয়। এবং এটি করতে গিয়ে যে একটি বিশেষ সমস্যা এক্ষেত্রে অনেক সময়ই খুব প্রকটভাবে দেখা দেয় তা হল সেই মানুষটির সুদীর্ঘ এবং চড়াই উৎরাই ভরা বিশাল জীবৎকালের কোন কোন অংশটুকু নির্বাচন করলে ছবির স্বল্প সময়কালের মধ্যে মানুষটির মহান জীবনের মূল সুরটুকু দর্শকের সামনে সঠিকভাবে তুলে ধরা সম্ভব, কারণ, আসলে আমাদের সবার জীবনেরই একটা নিজস্ব গতি আছে, এবং, হাজারো ওঠাপড়ার মধ্য দিয়েই তা একদিন পরিণতি পায়। এবার, এই কোনও কোনও পরিণতি একদিন সমাজকে ও তার চলতি ধারার দৃষ্টিভঙ্গিকে একেবারে বদলে দিয়ে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত খুলে দেয়, আর যার ফলে সমাজে জন্ম হয় মহীরুহসম প্রবাদপ্রতিম কিছু মানুষের, যাঁরা তাঁদের জীবন ও কাজের মাধ্যমে একদিন সর্বসাধারণের অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠেন, আর,সেইসব মানুষের জীবনকথা সমাজের গঠনগত উন্নয়নের লক্ষ্যে ও জনস্বার্থে প্রচারের জন্যেই তাঁদের কাহিনী সাহিত্যে ও দৃশ্যমাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা জরুরি, কিন্তু, তার চেয়েও জরুরি এই কাজটি করার পদ্ধতি, যার ওপরেই শেষ অবধি কাজটির সার্থকতা নির্ভর করে। এবং এই সার্থকতা আর ব্যর্থতারই সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক উদাহরণ হল গত মাসখানেকের মধ্যে মুক্তি পাওয়া অনীক দত্তের ছবি অপরাজিত ও অতনু বোসের ছবি অচেনা উত্তম।
অপরাজিত ছবিটির প্রধান বিষয় হচ্ছে সত্যজিৎ রায়ের প্রথম ছবি পথের পাঁচালি তৈরির নেপথ্য কাহিনী।অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একজন অভিজ্ঞ পরিচালক হওয়ার কারণে সত্যজিৎ রায়ের মতো একজন মহীরুহসম ও বহুস্তরীয় মানুষের বিশাল কর্মময় দীর্ঘ জীবনকে তাঁর ছবির বিষয়বস্তু হিসেবে না বেছে শুধুমাত্র তাঁর ছবির জগতে হাতেখড়ির গল্পটিকে খুব সহজ সরল ও মনছোঁয়া ভঙ্গিতে বলতে চেয়েছেন পরিচালক অনীক দত্ত। আর এর ফলে, অতিরিক্ত ঘটনাভারে ছবিটি যেমন সাধারণ দর্শকের পক্ষে জটিল ও দুর্বোধ্য হয়ে ওঠেনি, তেমনই একটি ফিচার ফিল্মের সীমিত পরিসরে ছবির বক্তব্যের অন্তর্নিহিত মূল সুরটিও সঠিকভাবে ধরে রাখা গিয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনের অংশের পরিমিত ব্যবহার ও শেষ অবধি সব ছাড়িয়ে একজন শিল্পীর শিল্পপ্রেমের কাহিনীকেই ছবির মূল উপজীব্য হিসেবে প্রাধান্য দিয়েছেন তিনি, যা এই অপরাজিত ছবিটিকে একটি সফল বায়োপিক ঘরানার ছবি হিসেবে তুলে ধরে। অন্যদিকে, মহানায়ক উত্তমকুমারের জীবনের উপর নির্মিত অতনু বোসের অচেনা উত্তম ছবিটির প্রধান দুর্বলতা হল তার বিষয়বস্তু নির্বাচন। যে কারণে বায়োপিক ধারার ছবির সৃষ্টি, সেই অনুপ্রেরণামূলক কোনও বার্তাই তাঁর এই ছবি থেকে পাওয়া যায় না, যা অচেনা উত্তম ছবিটির সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। ছবির মূল চরিত্র হিসেবেও তিনি বেছেছেন এমন একজন মানুষকে যিনি তাঁর জীবৎকালেই এক আকাশছোঁয়া লেজেন্ডে পরিণত হয়েছিলেন, এবং, যাঁর সেই অতুলনীয় ক্যারিশমা আজও সর্বসাধারণের মনে সেই একইভাবে বিদ্যমান। এখন এই পরিস্থিতিতে তাঁর জীবনের অচেনা দিকগুলি নিয়ে ছবি করতে গেলে প্রথমেই যেটা প্রয়োজন তা হল এক দীর্ঘকালীন নিবিড় গবেষণা, একটি টানটান চিত্রনাট্য এবং খুব সতর্কভাবে ছবির চরিত্রগুলির জন্য সঠিক অভিনেতা নির্বাচন করা, অথচ দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এই সবকটি বিভাগেই ছবির পরিচালক চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ। উত্তমকুমার তাঁর দীর্ঘ টালমাটাল ব্যক্তিগত জীবনের ঊর্দ্ধে উঠেও শেষ অবধি একজন জাত শিল্পী, ছবির পর ছবি জুড়ে যাঁর ঈশ্বরদত্ত অভিনয় প্রতিভা, কাজের প্রতি অসামান্য নিষ্ঠা ও অমানুষিক পরিশ্রমের ফলশ্রুতি হিসেবে তাঁর উল্কাসম উত্থান দেখেছে বিশ্বব্যাপী সিনেপ্রেমী মানুষ, আর তাই এই ইহাজগতে আজ সশরীরে না থেকেও ছবির জগতে তিনি আজও স্বমহিমায় প্রাসঙ্গিক, এবং সেই তাঁর ওপর ছবি করতে গিয়ে তাঁর শিল্পসত্তা ও বাংলার সিনেজগতে তাঁর অবর্ণনীয় অবদানের মতো সাধারণের পক্ষে প্রায় অজানা ও অনালোচিত বিষয়কে ব্রাত্য রেখে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের কিছু বিতর্কিত ও সহজলভ্য ঘটনাকেই চর্বিতচর্বনের মতো করে তাঁর প্রয়াণদিবসের ঠিক আগে পর্দায় তুলে ধরা পরিচালকের পক্ষ থেকে একটা সস্তা চমক ছাড়া আর কিচ্ছু নয়। এটা পরিচালক হিসেবে একজন মানুষের তাঁর কাজের প্রতি সততার শুধু নয়, সংশ্লিষ্ট শিল্পের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেয়। বায়োপিক ঘরানার ছবির করতে গেলে সব ছাড়িয়ে কতটুকু পর্দায় দেখাবো, আর কতটুকু উহ্য রাখবো, এই পরিমিতি বোধের জ্ঞানটি বড্ড জরুরি।
নিবিড় দীর্ঘকালীন গবেষণা ও ছবিতে সততার সাথে তার নির্মাণ
যেকোন মানুষের জীবনের কাহিনীই একটা বিশাল সময় ধরে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলে আর জীবৎকালেই প্রবাদ হয়ে ওঠা মানুষদের ক্ষেত্রে তো তার ব্যাপ্তি প্রকৃত অর্থেই আকাশছোঁওয়া। তাই এইসব বহুস্তরীয় ও ঘটনাবহুল জীবন থেকে তার শুদ্ধ নির্যাসটুকু ছেঁকে নেওয়ার জন্যে চাই দীর্ঘ সময় ধরে করা এক সুতীক্ষ্ণ দৃষ্টিসম্পন্ন নিবিড় গবেষণা এবং সততার সাথে সেই দীর্ঘ জীবনকাল থেকে অপ্রয়োজনীয় মেদটুকু ছেঁটে বাদ দেওয়ার নির্মোহ ক্ষমতা,এবং, এখানেই অচেনা উত্তমের আরও এক বিশেষ দুর্বলতা ধরা পড়ে যাতে কিনা গোটা ছবিটিতে পরিচালক মহানায়কের শিল্পসত্তার বাইরে গিয়ে তাঁর টালমাটাল ব্যক্তিগত বিতর্ক জর্জরিত জীবনকাহিনীকেই প্রাধান্য দিয়ে ফেলেছেন, আর তার ফলে, দিশা হারিয়ে এইরকম একটি সম্ভাবনাময় ছবি শেষ পর্যন্ত শুধুই একটি স্থূল চমকে পরিণত হয়েছে।
সঠিক চরিত্রাভিনেতা নির্বাচন
বায়োপিক ঘরানার ছবির সফলতা ও ব্যর্থতা অনেকাংশে নির্ভর করে তার চরিত্রগুলির যথাযথ নির্মাণের ওপর।কারণ, এই চরিত্রগুলিতে বাছাই করা অভিনেতাদের মাধ্যমেই সাধারণ দর্শক ছবিতে দেখানো বাস্তবের আসল মানুষগুলিকে পর্দায় খুঁজে পায়। এবং, এই ক্ষেত্রে অনীক দত্তের অপরাজিত ছবির সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে জীতু কমলের অপরাজিত তথা সত্যজিৎ রায় হয়ে ওঠা। সব চেনা প্রতিষ্ঠিত মুখের বাইরে গিয়ে একজন প্রায় অনামী অভিনেতাকে এই ধরনের চরিত্রে নির্বাচনের জন্য পরিচালকের অসামান্য সাহসকে কুর্নিশ জানাতেই হয়। অত্যাশ্চার্য শারীরিক গঠনগত মিল, যার পিছনে ছবির রূপটান শিল্পী সোমনাথ কুণ্ডুর অসামান্য অবদানের কথা মাথায় রাখতেই হবে, ছাড়াও সত্যজিতের যাবতীয় ম্যানারিজম প্রায় নিখুঁতভাবে ছবিতে ফুটিয়ে তুলেছেন জীতু কমল। অসাধারণ অধ্যাবসায় আর নিজের কাজের প্রতি সম্পূর্ণ নিষ্ঠা না থাকলে এ জিনিস সম্ভব নয়। ছবিতে অপরাজিতের স্ত্রীর চরিত্রে সায়নী ঘোষও যথাযথ। বাকি অভিনেতাদের সকলেই নিজ নিজ চরিত্রে নিজ নিজ পরিসরে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন। আর, এখানেই অতনু বোসের কাস্টিং বিষয়ক অপরিণত বোধটি ভীষণ ভাবে চোখে লাগে।
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় একজন অসাধারণ অভিনেতা, কিন্তু প্রবাদেই আছে, একজন ভালো অভিনেতা শুধুমাত্র তাঁর শেষ ভালো ছবিটির বিচারেই ভালো, আর এই অচেনা উত্তম ছবিটি দেখার পর তাঁর বিষয়ে একমাত্র এই কথাটিই ভীষণভাবে কানে বাজে। আশ্চর্যভাবে ছবিটিতে একটি মুহুর্তের জন্যেও তাঁকে উত্তমকুমার বলে মনে হয় না, না ব্যক্তিগত জীবনের অংশে, না তাঁর অভিনীত ছবিগুলির অংশে, আর, চরিত্র হয়ে না উঠতে পারার এই ব্যর্থতার দায় অভিনেতা থেকে পরিচালক কেউই ঝেড়ে ফেলতে পারেন না। বাকি অভিনেতাদের নির্বাচনও ভীষণরকম অপরিণত বোধের পরিচয় দেয়। একমাত্র সত্যজিৎ চরিত্রে একাধারে রাশভারী এবং দৃঢ় প্রিয়াংশু, শর্মিলা চরিত্রে একইসাথে কমনীয় ও আধুনিকা রাতাশ্রী এবং সাবিত্রী চরিত্রে শান্ত ও স্থির দিতিপ্রিয়াকে মোটের ওপর ভালো লাগে। এছাড়া গৌরীদেবীর চরিত্রে শ্রাবন্তীর অভিনয় সাবলীল হলেও মনে তা বিশেষ ছাপ ফেলে না, আর, সবচেয়ে বড় ছন্দপতন হয় সুচিত্রা সেনের চরিত্রে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের নির্বাচনে। বছর ছয়েক আগে ২০১৬ সালে টেলিভিশনের জন্যে নির্মিত মহানায়ক সিরিয়ালের বিষয়বস্তুও এই একই রকম ব্যক্তিগত বিতর্কের মতো আলগা বিষয়ের ওপর হলেও অন্তত তার কাস্টিং ছিল অনবদ্য, ফলে মহানায়কের জীবনী হিসেবে খুব উচ্চমানের না হলেও তা অন্তত দেখার যোগ্য ছিল, এখানে যেটা প্রথম থেকেই ভীষণই দৃষ্টিকটূ।
আরো পড়ুন: সদ্য দেখা সিনেমাগুলো । ঋতুপর্ণা ভট্টাচার্য্য
দীর্ঘ জীবন থেকে ছবির উপযোগী ঘটনাক্রমের নির্বাচন
ঘটনাক্রম নির্বাচন ও তার দৃশ্যায়নের দুর্বলতা অচেনা উত্তম ছবিটির আরও একটি দিক। এটি মূলত চিত্রনাট্যশৈলীগত সমস্যা, যা ছবিটিকে গতি হয়তো দিয়েছে, কিন্তু পূর্বাপর রসায়নের ব্যাঘাত ঘটিয়েছে ভীষণভাবে। ক্রমাগত ফ্ল্যাশব্যাকের নির্মম ব্যবহার ছবিটির অতীত ও বর্তমানের ঘটনা পরম্পরাকে এক মুহূর্তের জন্যেও সহজ অথচ দৃঢ়ভাবে দর্শক মনে গেঁথে দিতে পারেনি, যেটা অনীক দত্ত তাঁর সরল আর সাবলীল ভাবে বলা গল্পের মাধ্যমে সহজেই করতে সক্ষম হয়েছিলেন। একটি ছবির কাজ যে শেষপর্যন্ত শুধুমাত্র সহজভাবে একটি গল্পকেই দৃশ্যমাধ্যমে বলা, তা ভুলে যাওয়াই শেষ অবধি একজন পরিচালকের সব পরিশ্রমকে পুরোপুরি ব্যর্থ করে দেয়। পর পর মুক্তিপ্রাপ্ত একই ঘরানার দুটি ছবির দুই রকম ট্রিটমেন্ট ইদানীং কালে যার অন্যতম বাস্তব উদাহরণ।
সঠিক সময়টিকে ধরতে আলো ও রঙের বিন্যাস এবং টেকনিক্যাল বিষয়ের যথাযথ ব্যবহার
জীবনীমূলক ছবি সাধারণভাবে পিরিয়ড ঘরানার ছবির মধ্যেই পড়ে এবং তা তৈরি করার কিছু বিশেষ প্রযুক্তিগত নিয়ম আছে, যার মধ্যে ছবিটির সময়কালকে যথাযথভাবে তুলে ধরতে ছবির কালার গ্রেডিং ও তার টেকনিক্যাল বিষয়গুলি ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়ের ছোটখাট ত্রুটিও এসব ক্ষেত্রে চোখকে খুব বিশ্রিভাবে আঘাত করে এবং ছবিটির গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয়। অপরাজিতের সঙ্গে এই বিষয়েও অচেনা উত্তমের দ্বৈরথ অত্যন্ত দৃষ্টিকটূভাবে পর্দায় প্রকট। টেকনিক্যাল কিছু কিছু বিচ্যুতি অপরাজিত ছবিটিতে থাকলেও মোটের ওপর তা বিশেষ চোখে লাগেনি, কিন্তু এই অচেনা উত্তম ছবিটির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি করে যা চোখে লেগেছে তা হল এর কালার গ্রেডিং সমস্যা। আলো আর রঙের অপরিণত ও অনভিজ্ঞ ব্যবহার ছবিটিকে পর্দায় ভীষণভাবে এইসময়ের ছবির মতো দেখতে করে দিয়েছে, ফলে, সারা ছবি জুড়ে দর্শকের পক্ষে ছবির সময়কালটি অনুভব করতেই বেগ পেতে হয়েছে। এছাড়াও, মহানায়কের শেষ সময়ে তাঁর হসপিটালে কেবিনের দৃশ্যগুলিও ভীষণরকম আধুনিক মনে হয়েছে। এইসব খুঁটিনাটি টেকনিক্যাল বিষয়ে নজরদারির অভাব সবমিলিয়ে ছবিটির মান আরও হালকা করে দিয়েছে।
যেকোন শিল্পভিত্তিক, বিশেষত, ছবি তৈরির কাজ করার ক্ষেত্রে তার প্রিপ্রোডাকশন রিসার্চ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।সাধারণ ছবির ক্ষেত্রে অনেকসময় তা তেমনভাবে চোখে না লাগলেও বায়োপিক ঘরানার পিরিয়ড মুভির ক্ষেত্রে এই বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। আর, এই সময়ে করা নিরলস গবেষণার ফল পরবর্তীকালে পর্দায় ফুটে ওঠেই, আর সেই অমোঘ নিয়মেই শুরুতে অনেক অনভিপ্রেত বাধার সম্মুখীন হলেও অপরাজিত ছবিটি আজ বিশ্ব জুড়ে বন্দিত, আর, অচেনা উত্তমের মতো ছবিদের ভাগ্য প্রথম দু’সপ্তাহের পরেই অনিশ্চিত।
গল্পকার ও চলচ্চিত্র সমালোচক। জন্ম ৭ ফেব্রুয়ারি, গঙ্গাতীরবর্তী শ্রীরামপুর শহরে, কিন্তু স্কুলজীবন কেটেছে উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে। কিশোরীবেলা থেকেই লেখালেখিতে আগ্রহ এবং জেলা ও রাজ্যস্তরে বিভিন্ন সাহিত্য প্রতিযোগিতার পরিচিত নাম। পরবর্তীতে লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনা, শ্রীরামপুর শহরের কিছু সাহিত্য সভার সদস্য এবং বিভিন্ন পত্রিকা এবং ই পত্রিকার নিয়মিত লেখিকা। বর্তমানে সাহিত্য চর্চা ও চলচ্চিত্র সমালোচনার কাজে যুক্ত।