| 7 মে 2024
Categories
ধারাবাহিক

ধারাবাহিক: একাকিনী শেষের কথা (পর্ব-৬) । রোহিণী ধর্মপাল

আনুমানিক পঠনকাল: 6 মিনিট
দ্রৌপদী দেখছিলেন অর্জুনকে। আবিষ্ট হয়ে। যে বেশেই থাকুন না কেন, ওই দুই বাহু দেখেই, আর তারপর অসম্ভব সেই ধনুতে জ্যা পরানোর অনায়াস ভঙ্গি দেখেই তিনি বুঝেছিলেন ইনি অর্জুন ছাড়া আর কেউ নন। হ্যাঁ। অর্জুনও দেখেছিলেন বটে দ্রৌপদীকে। একবার দূর থেকে। স্বয়ংবর সভায়। দ্রৌপদীর জায়গা থেকে অনেকটা দূরে যখন সবার সঙ্গে বসে আছেন তিনি। সাধারণ ব্রাহ্মণদের নির্দিষ্ট জায়গায়। তখনই বুঝেছিলেন রূপ গুণের ঊর্ধে আরও কিছু একটা জড়িয়ে আছে কালো মেয়েটির সর্বাঙ্গে। যেন একটা তেজময়ী আলো বেরোচ্ছে। তারপরেই তাঁর দৃষ্টি পড়েছিল লক্ষ্য বস্তুর দিকে। কান ছিল একের পর এক রাজার নামের ঘোষণার দিকে। সভার মাঝখানে রাখা বিরাট ধনুটির ওপর। এক একজন রাজার নাম ঘোষণা করা হচ্ছে, বীরদর্পে তিনি এগোচ্ছেন, অধিকাংশ ধনুটা তুলতেই পারছেন না। আর এ প্রান্তে বসে অর্জুনের হাত শরীর নিশপিশ করছে। যেখানে সভাস্থ প্রায় সকলের চোখ যূথীমালা হাতে রাজকন্যার দিকে, সেখানে অর্জুন স্থির। শরীর আর মনকে একাগ্র করছেন। বুঝে গেছেন তিনি যে এই লক্ষ্য ভেদ আর কেউ করতে পারবে না। তাঁর জন্যই এই আয়োজন। 
দ্বিতীয়বার তিনি দেখলেন দ্রৌপদীকে, যখন লক্ষ্য ভেদ করেছেন, বিপুল করতালি আর উচ্ছ্বাস চারিদিকে, দ্রৌপদী এগিয়ে এসে তাঁর গলায় সুরভিত মালাটি পরিয়ে দিলেন, এক পলকের জন্য দ্রৌপদীর আঙুলগুলি তাঁর গলার কাছটা ছুঁলো, সেই ছোঁয়া অথবা দ্রৌপদীর গা থেকে আসা আশ্চর্য  মাদকতাময় একটা গন্ধ, কে জানে কিসের জন্য তাঁর চোখ
মুহূর্তের জন্য বন্ধ হয়ে গেল। তারপরেই শুরু হয়ে গেল হেরে যাওয়া রাজাদের তীব্র হুঙ্কার! তিনি আর ভীম ব্যস্ত হয়ে পড়লেন সেই যুযুৎসু লোকগুলোকে সামলাতে।
সভা যখন শান্ত হল, বাকিদের সঙ্গে তাঁরা বেরিয়ে পড়লেন নিজেদের কুটিরের উদ্দেশ্যে, তখন অর্জুনকে মাঝখানে রেখে, তাঁকে ঘিরে অন্যরা হইহই করতে করতে চলেছে। দ্রৌপদীর দিকে তাকানোর সময়ই তিনি পেলেন না। তাছাড়াও মনে তখন তাঁর একটা অসম্ভব আনন্দ হচ্ছে। আনন্দ আর অহঙ্কার। না। দ্রৌপদীকে পেয়েছেন, এ কথা ভেবে নয়। এত সব বীর, এমনকী জরাসন্ধ, দুর্যোধন, কর্ণ, কেউ যে কাজটি করতে পারলেন না, সেই কাজটি তিনি এত অনায়াসে করতে পারলেন বলে। এবং তারপরে যে লড়াই শুরু হল, তিনি প্রায় একাই সবাইকে শুইয়ে দিতে পারলেন বলে। হ্যাঁ। ভীম পাশে ছিলেন ঠিকই। কিন্তু আসল লড়াইটা তো তিনিই করলেন। এই দুই দুর্দান্ত ঘটনা তাঁর মনকে ভরে রেখেছিল।
গ্রামে ঢোকার মুখে এক এক করে বাকিরা যে যার বাড়ি চলে গেলেন। রইলেন পাঁচ ভাই আর দ্রৌপদী। এইবার আবার অর্জুন আর একবার লক্ষ্য করলেন তেজোময়ী মেয়েটিকে। একটু অবাকও হলেন। কারণ বেশ অনেকটা পথ হেঁটে এসেছেন ওঁরা। তবু রাজার মেয়ে, তার তো এত হাঁটার অভ্যাস থাকার কথা নয়! অথচ মেয়েটির শরীরে, মুখে ক্লান্ত হওয়ার কোনও লক্ষণই নেই। সব ভাইয়েরা আছে বলে অর্জুন বারবার পিছন ফিরে তাকাতেও পারছেন না। যুধিষ্ঠির ভীম অর্জুন দ্রৌপদী নকুল সহদেব, এইভাবে হাঁটছেন তাঁরা। অবশেষে, কুটিরের সামনে এসে দাঁড়ালেন তাঁরা। বড়জন বললেন, মা, ভিক্ষা এনেছি। অর্জুন শুনলেন। মা উত্তর দিলেন প্রতিদিনের মতোই। যা এনেছ, ভাগ করে নাও। অতি স্বাভাবিক কথা। মা তো আর ঘূণাক্ষরেও জানেন না ছেলেরা কী এনেছে আজ!
তবে অর্জুনের একটু ধাক্কা লাগল মনে। মা তো জানতেন, ছেলেরা কোথায় যাচ্ছে। তাহলে কি ছেলেদের ক্ষমতার ওপর তাঁর ততোখানি বিশ্বাস ছিল না? বিশেষ করে তাঁর ওপর? প্রতিযোগিতা যে সহজ হবে না, সে তো সবাই জানতেন। কিন্তু অর্জুন তো জানেন তাঁর কাছে যে কোনও এই ধরণের প্রতিদ্বন্দ্বিতা জয় করা অতি সহজ। মাও তো জানেন তৃতীয় পাণ্ডবের নৈপুণ্য!
 তা সত্ত্বেও মা কি বোঝেন নি যে আজকের ভিক্ষা কী হতে পারে? মায়ের ওপর রীতিমত অভিমান হল অর্জুনের। ঠিক এই সময়েই কুন্তী বাইরে এলেন। দ্রৌপদীকে দেখলেন। কপালে করাঘাত করলেন। “এ আমি কী বলে ফেললাম! কী হবে এবার! আমার কথাটি মানতে গেলে তো এই মেয়েটিকে আমার পাঁচ ছেলেকেই বিয়ে করতে হবে”!

আরো পড়ুন: একাকিনী শেষের কথা (পর্ব-৫) । রোহিণী ধর্মপাল


এইবার অর্জুন চমকে উঠলেন! একী কথা বলছেন মা! এও কী সম্ভব! দ্রৌপদী তো তাঁর! তাঁর একার! দুঃসাধ্য একটি শর্ত পূরণ করে এই আগুনে মেয়েটিকে অর্জন করেছেন তিনি। অথচ কেউ তো প্রতিবাদ করছে না। এইবার আবার তিনি তাকালেন চার ভাই আর দ্রৌপদীর দিকে। দেখলেন দ্রৌপদী এক পলক তাঁদের সবার দিকে দেখলেন, ভাইয়েরা  দেখেই চলেছেন। আর ভাইদের চোখে, বিশেষ করে যুধিষ্ঠিরের চোখে অসম্ভব একটা কাম। অর্জুন চোখ নামালেন। কয়েক মুহূর্ত সব স্তব্ধ। নীরবতা ভাঙলেন যুধিষ্ঠির। অর্জুন, তুমি শর্ত পালন করে দ্রৌপদীকে পেয়েছ। দ্রৌপদী সব দিক দিয়েই তোমার”। 
বলছেন ঠিকই,  কিন্তু অর্জুন বুঝতে পেরে গেছেন বড় দাদার মন। তিনি অর্জুনের হ্যাঁ শুনতে কথাটা বলছেন না। তাঁর ভদ্রতা শুধু তাঁকে আটকাচ্ছে। ধর্মের প্রতি, ন্যায়ের প্রতি তাঁর নিরপেক্ষ মনোভাবের যে স্বভাব সবাই জানেন, সেই স্বভাবে একটুও দাগ পড়ুক, তাও তিনি মোটেও চান না। অথচ প্রাণপনে চাইছেন অর্জুন না বলুক। মায়ের মনেও কি তার মানে আসলে তাইই ছিল? দ্রৌপদীর সম্মোহক রূপের খ্যাতি তো সবার কানেই গেছিল। মা বুঝি ভয় পাচ্ছেন, এমন মেয়েকে একটি ভাই পেলে বাকি চারজনের মধ্যে বাসনা তৈরি হবে না পাওয়ার। কাম থেকে ক্রোধ। ক্রোধ থেকে বিচ্ছেদ। আর দুর্যোধন আর শকুনি তো সেই অপেক্ষাই করে আছেন। সেই সব ভেবেই তবে মা এমন বলেছেন? আর দ্রৌপদীও তো তাঁকে ছাড়া বাকিদের দিকেও তাকালেন। তার মানে তিনিও কিছুটা হলেও মুগ্ধ! যে নারী তাঁর একেবারে একার হবে না, তাঁকে নিয়ে তিনিই বা কেন ভাববেন! সুতরাং যুধিষ্ঠিরকে তিনি উত্তর দিলেন, “আপনি বড়। সবার আগে আপনার অধিকার”। উপস্থিত সবাই কেমন যেন ভুলেই গেলেন হিড়িম্বার সঙ্গে ভীমের বিয়ে হওয়া। সন্তান হওয়া। অর্জুন বুঝলেন দ্রৌপদী তাঁর দিকে তাকালেন। মুখে বিস্ময়। কিন্তু তাঁর চোখ দ্রৌপদীর চোখের সঙ্গে মিলল না। তিনি নিচের দিকেই তাকিয়ে রইলেন।
বড় দুই ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ের পর যে রাতে অর্জুনের সঙ্গে কৃষ্ণার মিলন হল, ফুল দিয়ে সাজানো বিরাট মহলের একটি ঘরে প্রদীপের স্নিগ্ধ আলোয় ফুল আর পাতার গয়না পরেই দ্রৌপদী এলেন। আজ তিনি নিজেই সাজিয়েছেন নিজেকে। তাঁর মনে হয়েছিল আজ তিনি বনচারিণীর মতো সাজবেন। কোনও আবরণ থাকবে না মাথায়। দীর্ঘ চুল খোলাই থাকবে। স্তরে স্তরে ফুলের মালা দিয়ে ঘেরা থাকবে সেই চুল। রক্তের মতো রঙের একটি আভরণ তাঁর কালো দেহটিকে পাকে পাকে জড়িয়ে উঠবে। পায়ের পাতায় দুটি লাল রঙের ফোঁটা থাকবে। গলায় একটি ফুলের মালা। মাথাতে থাকবে পাতার একটি মুকুট। আর কিছু না। নিজেকে সাজাতে সাজাতে, আয়নায় তাকিয়ে উল্টো দিক থেকে অর্জুনের মুগ্ধ চোখ অনুভব করতে পারছিলেন তিনি। 
দ্রৌপদী ঘরে এলেন। গন্ধেই অনুভব করতে পারলেন তিনি।বুঝতে পারছেন যে সেই মেয়েটি অপেক্ষা করে আছে। যাকে পাওয়ার জন্য ভারতবর্ষের তাবৎ পুরুষ ব্যাকুল হয়ে ছিল। তবু অর্জুনের শুধু মনে হতে লাগল, এই মেয়ে দুজন পুরুষের পাশে দুটি রাত কাটিয়ে তবে তাঁর কাছে এসেছে। এই নারীর জীবনে তিনি একমাত্র তো ননই, এমনকী প্রথম পর্যন্ত নন। তাঁর সমস্ত শরীর চাইছে ওই হৃদয়ের ধকধক বহুগুণে বাড়িয়ে দেওয়া শরীরটাকে জড়িয়ে ধরতে। যে আঙুলের ছোঁয়াতে তিনি অবশ হয়ে গেছিলেন, সেই পুরো দেহটাই আজ তাঁর সামনে, আর এও তিনি বুঝতে পারছেন দ্রৌপদী দাঁড়িয়ে আছেন সেই সময়টির জন্য, যখন অর্জুন তাঁর হাতটি ধরবেন। কিন্তু তিনি নড়তে পারছেন না। খানিক অপেক্ষা করে দ্রৌপদীই এগিয়ে এলেন। তাঁর অত লজ্জা নেই। নাগরিক মেয়েদের মতো ছলাকলা তিনি জানেন না। অর্জুনের হাতটি ধরলেন তিনি এবং চমকে গেলেন। যে হাতে উষ্ণতা থাকার কথা, সেই হাতটি শীতল!
 “কেন অর্জুন! কেন? তোমার হাত এমন শীতল কেন? তুমি কি ভয় পেলে? তুমি কি কোনও অপরাধবোধে ভুগছ? না অন্য কোনও কিছু তোমার মধ্যে কাজ করছে? আমি তো প্রথম দেখাতেই তোমাকে ভালোবেসেছি। মালা পরানোর সময় তোমার চোখেও আমার জন্য অপার মুগ্ধতা ছিল। কী হল তবে? অর্জুন”?? 
“ভয়! অর্জুন কখনও, কোনও দিনও কোনও কিছুতে ভয় পায় না! আর আজ পর্যন্ত আমি এমন কোনও কাজ করিনি, যাতে আমি অপরাধ বোধে ভুগব”!
“তবে! তবে তুমি এমন শীতল কেন অর্জুন! তোমার দুই দাদা তো ধন্য হয়ে গেছেন আমাকে পেয়ে”! 
“ঠিক। ঠিক এটাই কারণ আমার শীতলতার। তুমি আমার নও। তুমি তো পঞ্চজনের”। 
চমকে গেলেন দ্রৌপদী। 
“এইই কারণ তোমার এমন আচরণের? তোমার আপত্তি ছিল? জানাও নি কেন? তুমি না নিজেকে জগতের শ্রেষ্ঠ বীর মনে করো! তবে নিজের মনের কথাটি স্পষ্ট করে জানাও নি কেন?”
“বীর! বীরত্বের সঙ্গে এর কী সম্পর্ক! আমার ভাইদের, আমার মাকে, ব্যাসদেবকে আমি জানাব যে আমি এমন চাই না! আমি তোমাকে একাই পেতে চাই! এই লজ্জার কথা জানানো বীরত্ব! অর্জুন বীর, কারণ সে অসহায়কে , আশ্রিতকে রক্ষা করে। অর্জুন বীর, কারণ সে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে। অর্জুন বীর, কারণ পৃথিবীর কোনও যোদ্ধা তার সামনে হারতে বাধ্য হবে!”
 “ও। এটাই বীরত্বের সংজ্ঞা তোমার! এত সংকীর্ণ তোমার বীরত্ব! নিজের মনের কথা স্পষ্ট ভাবে জানানোর ক্ষমতাই যার নেই, সে কতগুলি অস্ত্রের সহায়তায় নিজেকে বীর ভাবছে! মনে করো অর্জুন! স্বয়ংবর সভার দিনটি মনে করো। কিভাবে সবার সামনে আমি কর্ণকে না বলেছিলাম। বীর তো তিনি কম ছিলেন না! ধনুতে জ্যা পরাতেও তিনি পেরেছিলেন। বাকিটুকুও পারতেন হয়ত। কিন্তু আমাকে না বলতে হয়েছিল। কারণ আমরা সকলে তোমাকে চেয়েছিলাম। এই প্রত্যাখ্যান আমাকে বহু আক্রমণের সম্মুখীন করবে জেনেও আমি এতটুকু দ্বিধা করিনি। সমস্ত সভার সামনে না বলেছিলাম। আমার কোনও অস্ত্র ছিল না। নিজের মন ছিল। চিন্তাশক্তি ছিল। তাইই আমার বল। সবসময়। বীরত্বকে কোনও সঙ্কীর্ণতায় আবদ্ধ করা যায় না অর্জুন। “
দ্রৌপদীর কথাগুলি তীব্র শরের মতো বিদ্ধ করে দিল অর্জুনকে। এই নারী কে! এতো অর্জুনের এত দিন ধরে দেখা, শোনা কোনও নারীর মতোই নয়! এত তেজ! এত তীক্ষ্ণতা! নারী হবে কোমল। নারী হবে শীতল ছায়া। পুরুষ যুদ্ধ করে, তপ্ত হয়ে আসবে নারীর কাছে, নরম আশ্রয়ের খোঁজে। এই নারী তো তেমন নয়! অর্জুন ভেতর থেকে আরও শীতল হয়ে গেল। ভয়ে। এই নারীর কাছে বীরত্বের অর্থ যে একেবারেই অন্যরকম। অর্জুনের শস্ত্রজ্ঞান এর কাছে তেমন বিস্ময়কর তো নয়! তাহলে এর কাছে অর্জুনের কী আস্ফালন করবে! বড় ভাইয়ের সামনে যে নিজের কথা বলতে পারে না, সে এক ধরণের কাপুরুষ! এই কথাই তো দ্রৌপদী বলল! যে শব্দ শুনলে অর্জুনের অন্তরাত্মা পর্যন্ত জ্বলতে থাকে ক্রোধে, সেই কথা প্রথম একাকী রাতে এই নারী কী অনায়াসে বলে দিল! এতক্ষণে অর্জুন উত্তপ্ত হয়ে উঠলেন। যে হাত দ্রৌপদী সরিয়ে নিয়েছিলেন, সেই হাত ধরে সজোরে আকর্ষণ করলেন। যে সাজ দেখে অর্জুন মোহিত হয়ে যাবেন বলে দ্রৌপদী ভেবেছিলেন, সেই সাজ পড়ে রইল নিষ্পেষিত নিষ্ফল হয়ে। অনেকগুলো দিন পরে, কৌরব সভায় যেদিন একবস্ত্রা রজঃস্বলা দ্রৌপদীর উদ্দেশ্যে বিকৃত স্বরে কর্ণ বলছেন, যে মেয়ে পাঁচজনের সঙ্গে শোয়, সে তো বেশ্যা! দ্রৌপদীর কানে সেই কথা প্রবেশই করল না। তিনি শুনলেন অর্জুনের কন্ঠস্বর, “তুমি তো পঞ্চজনের। তুমি তো পঞ্চজনের। তুমি তো…”
error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত