| 19 মার্চ 2024
Categories
প্রবন্ধ সাহিত্য

স্বাধীনতা বিপ্লবী রবীন্দ্রনাথ । পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

আনুমানিক পঠনকাল: 4 মিনিট
রবীন্দ্রনাথের গল্প-উপন্যাসে এসেছে বেশ কয়েকজন বিপ্লবী চরিত্র। স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিময় প্রেক্ষাপটে তাঁদের তৎপরতা, দেশের প্রতি ভালোবাসা পাঠকের মনেও সঞ্চারিত হয়েছে। ‘ঘরে বাইরে’-র সন্দীপ বা ওই জাতীয় চরিত্র সংগ্রামময় সেই দিনগুলির সামগ্রিক ছবি নয়। রবীন্দ্রনাথের গল্প-উপন্যাসে ‌উজ্জ্বল-বর্ণময় বিপ্লবী-চরিত্রও অনেক আছে।
গল্প-উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথ যা লিখেছেন, তা নিছক কল্পনা নয়, মিশে রয়েছে অভিজ্ঞতার আলো। স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বৃহত্তর মানুষের যে লড়াই, সে লড়াইয়ে রবীন্দ্রনাথও ছিলেন। কখনও সক্রিয় অংশগ্রহণ, কখনও বা আড়াল থেকে সমর্থন। এই সমর্থনটুকু ছিল অতীব মহার্ঘ! বিপ্লবীদের সঙ্গেও রবীন্দ্রনাথের নৈকট্য কম ছিল না!
প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের পৌত্র রবীন্দ্রনাথ অহমিকায় আভিজাত্যে বেড়ে ওঠেননি। প্রবল শীতে উপযুক্ত শীতবস্ত্র নেই, শীতের কামড় থেকে বাঁচতে ‘উনুনের তাত’ খুঁজতে হয়েছিল তাঁকে। দ্বারকানাথের সঙ্গে ইংরেজ সরকারের বড়-মেজো কর্তাদের নৈকট্য-সখ্যের রেশ‌ রবীন্দ্রনাথের কিশোর-বয়সে‌ ঠাকুরবাড়িতে বিন্দুমাত্র ছিল না, বরং দিনে দিনে ‌ স্বাদেশিকতাবোধ জাগ্রত হচ্ছিল। তখনও সমাজজীবনে ইংরেজ বিরোধিতা দানা বাঁধেনি। বিরোধিতার অঙ্কুরোদগম ঠাকুরবাড়িতেই যে লক্ষ করা গিয়েছিল, বিশ্বভারতী-প্রকাশিত রচনাবলির প্রথম খণ্ডের অবতরণিকা-অংশে রবীন্দ্রনাথই তা জানিয়েছেন, ‘দেশপ্রীতির উন্মাদনা তখন দেশে কোথাও নেই। রঙ্গলালের স্বাধীনতাহীনতায় কে বাঁচিতে চায় রে আর তার পরে হেমচন্দ্রের বিংশতি কোটি মানবের বাস কবিতায় দেশমুক্তি-কামনার সুর ভোরের পাখির মতো শোনা যায়। হিন্দুমেলার পরামর্শ ও আয়োজনে আমাদের বাড়ির সকলে তখন উৎসাহিত, তার প্রধান কর্মকর্তা ছিলেন নবগোপাল মিত্র।’
ঠাকুরবাড়ির প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় হিন্দুমেলাকে সামনে রেখে দেশবাসীর মনে জাতীয় ভাবের উদ্বোধন ঘটানো হয়েছিল। রবীন্দ্র-অগ্রজেরা প্রেরণাদায়ী গান লিখে দেশপ্রেম জাগাতে তৎপর হয়েছিলেন।
রবীন্দ্রনাথের ‘নতুন দাদা’ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘সঞ্জীবনী সভা’। বিপ্লবী-দের সাহায্য করার উদ্দেশ্যেই এই সভার প্রতিষ্ঠা। ইতালির স্বাধীনতা আন্দোলনের নায়ক মাৎসিনির ‘কার্বোনারি’- সভার অনুকরণে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ সঞ্জীবনী সভা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ‘উত্তেজনার আগুন পোহানো’-র‌ সেই দিনগুলিতে কিশোর রবীন্দ্রনাথের মনে স্বাদেশিকতাবোধের উন্মেষ ঘটেছিল।
সঞ্জীবনী সভার প্রতিষ্ঠা ১৮৭৭-তে। কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে রবীন্দ্রনাথ গানের মধ্যে দিয়ে মানুষের মনে দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলতে প্রয়াসী হয়েছিলেন। ১৮৮৬-তে জাতীয় কংগ্রেসের দ্বিতীয় অধিবেশনে তাঁর কণ্ঠে শোনা গিয়েছিল ‘আমরা মিলেছি আজ মায়ের ডাকে’। বঙ্কিমচন্দ্রের অমর-অমোঘ সঙ্গীত, যা স্বাধীনতা সংগ্রামের মূলমন্ত্র হয়ে উঠেছিল, সেই ‘বন্দেমাতরম’-এর সুর দিয়েছিলেন, গেয়েছিলেন। হেমেন্দ্রমোহন বসুর উদ্যোগে কবিকণ্ঠে সে গানের রেকর্ডও বেরিয়েছিল।
রবীন্দ্রনাথের মনে কৈশোরে যে স্বাদেশিকতাবোধের উন্মেষ, তা দিনে দিনে বিস্তৃত হয়েছে। বিপ্লবীদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগও হয়েছে। অরবিন্দের বন্ধু ও সহকর্মী চারুচন্দ্র দত্ত অনুশীলন সমিতির সঙ্গে কাদের যোগাযোগ ছিল, সে প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘আমাদের মধ্যে তিন-চারজন খুব বড় বড় লোক ছিলেন— একজন জগদ্বিখ্যাত সাহিত্যিক, একজন নামজাদা বৈজ্ঞানিক…।’ বলা-ই বাহুল্য, এই ‘জগদ্বিখ্যাত সাহিত্যিক’-ই রবীন্দ্রনাথ। উল্লিখিত ‘নামজাদা‌ বৈজ্ঞানিক’ আর কেউ নন, তিনি রবীন্দ্র-বান্ধব জগদীশচন্দ্র বসু। একাধিক স্মৃতিচর্চায় আছে অনুশীলন সমিতির সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের প্রত্যক্ষ যোগাযোগের কথা। অনুশীলন সমিতির সক্রিয় কর্মী জীবনতারা হালদার লিখেছিলেন ‘অনুশীলন সমিতির ইতিহাস’। সে বই থেকে জানা যায়, অনুশীলন সমিতির প্রধান কার্যালয়েও রবীন্দ্রনাথ বেশ কয়েকবার এসেছেন। একটি কাঠের টুলে বসে ‘প্রাণের উচ্ছ্বাসে’ কর্মীদের গান গেয়ে শুনিয়েছেন। জীবনতারা হালদার জানিয়েছেন, সেসব গান ‘সমিতির সভ্যদিগকে তাহাদের ব্রতে উৎসাহিত করিবার জন্য মুখ্যত রচিত হয়।’ ‌তাঁর লেখা থেকেই জানা যায়, জোড়াসাঁকোর শিবকৃষ্ণ দাঁ লেনে অনুশীলন সমিতির একটি শাখা খোলা হয়েছিল। সেই শাখার সদস্য হয়েছিলেন কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ। রথীন্দ্রনাথের তখন চোদ্দো-পনেরো বছর বয়স। বিপ্লবী ডাঃ যাদুগোপাল মুখোপাধ্যায় ‘বিপ্লবীজীবনের স্মৃতি’ নামে একটি বই লিখেছিলেন। সে বইতে আছে, সমিতির সদস্যদের গান শেখাতে রবীন্দ্রনাথ প্রতি রবিবার দিনেন্দ্রনাথকে পাঠাতেন। রবীন্দ্রনাথের দেশাত্মবোধক গান-ই শেখাতেন। এ-কাজের তিনি ছিলেন যোগ্যতম ব্যক্তি।
কবি তখন ঢাকায়। গিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে। ঢাকার কয়েকজন বিপ্লবী কবির সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। গান্ধীজির অহিংসবাদ নিয়ে তাঁদের মনে ঘোরতর সংশয় ছিল। সশস্ত্র যুদ্ধে ইংরেজকে পরাস্ত করার স্বপ্ন দেখছিলেন তাঁরা। ভূপেন্দ্রকিশোর রক্ষিত রায়ের ‘ভারতে সশস্ত্র বিপ্লব’ বইতে আছে এই ঘটনার উল্লেখ। রবীন্দ্রনাথ তাঁদের বলেছিলেন, ‘মনে রেখো, হিংসা বা অহিংসা বড় কথা নয়। বড় হল সেই স্বাধীনতা লাভ, যার আশ্রয়ে মানুষ সত্যাশ্রয়ী হতে পারে, সর্বস্তরের নর-নারী সর্বক্ষেত্রে মুক্তির স্বাদ পেতে পারে।’ সশস্ত্র বিপ্লবের প্রতি রবীন্দ্রনাথ সরাসরি সমর্থন জানাননি ঠিকই, আনুগত্য যে ছিল, তাও গোপন থাকেনি। স্বাধীনতা আন্দোলনের, সশস্ত্র বিপ্লবের অধিনায়ক সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে তাঁর স্নেহে সৌহার্দে বড়ই অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল। ‘দেশনায়ক’ সুভাষচন্দ্রকে তাঁর ‘তাসের দেশ’ নাট্যগ্ৰন্থটি উৎসর্গ করেছিলেন।
ধ্বংসাত্মক নয়, গঠনমূলক কর্মে মনোযোগী হতে পরামর্শ দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। দেশের প্রতি স্বপ্নদর্শী তরুণসমাজের অন্তর উৎসারিত ভালোবাসা তাঁকে মুগ্ধ করেছিল। সেই মুগ্ধতার রেশ রয়েই গিয়েছিল। জীবনসায়াহ্নে পৌঁছেও দেশের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ তরুণ বিপ্লবীদের কথা তাঁর মনে পড়েছে।
রবীন্দ্রনাথের মনোভাব ক্রমেই ইংরেজ সরকারের কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। স্বাধীনতা আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করতে কবির প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্রয়াস তারা ভালো চোখে নেয়নি। রবীন্দ্রনাথকে ব্যক্তিগতভাবে হেনস্তা করেছে, আদালতের কাঠগড়ায় তুলেছে। রবীন্দ্রজীবনীকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘সরকারের দৃষ্টিতে কবি নিজেও একজন ‘দাগী’ ছিলেন।’ রবীন্দ্রজীবনীকারের লেখা থেকেই জানা যায়,পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল, ‘কলকাতায় থাকাকালীন তিনি (রবীন্দ্রনাথ) যখন ঘোড়ার গাড়িতে চেপে রাস্তা দিয়ে যেতেন, সেই সময় জোড়াসাঁকো থানা থেকে পুলিশ‌ হেঁকে জানিয়ে দিত অমুক নম্বর আসামী যাচ্ছে।’ কলকাতার পুলিস কমিশনার রিপোর্টে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন ‘সাসপেক্ট’। কবির প্রতি তো বটেই, শান্তিনিকেতনের আশ্রম-বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধেও পুলিসের আক্রোশ গোপন থাকেনি।
স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সঙ্গে, বিপ্লবীদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ যেমন ছিল রবীন্দ্রনাথের, তেমনই ছিল পরোক্ষ যোগাযোগ। রবীন্দ্র-রচনা ছিল বিপ্লবীজনের নিত্যসঙ্গী। কারাগারের বিষাদময়তাও মুছে গিয়েছে, রবীন্দ্র-রচনার এমনই জোর! বিপ্লবী-মন নব আনন্দে আবার জেগে উঠেছে।
রবীন্দ্রনাথের কবিতা-গান ও অন্যান্য রচনা বিপ্লবীদের নানাভাবে প্রাণিত করেছে। উল্লাসকর দত্ত ফাঁসি আদেশ পেয়ে যে গান কণ্ঠে ধারণ করেছিলেন, সেটি ‘সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে।/ সার্থক জনম মাগো তোমায় ভালোবেসে।’ বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তের জীবন ছিল রবীন্দ্রময়। রবীন্দ্রসাহিত্যের অনুরক্ত পাঠক ছিলেন তিনি। কণ্ঠস্থ ছিল বহু রবীন্দ্র-রচনা। ফাঁসির আগের দিন মৃত্যুভয় জয় করে জীবনকে দেখেছেন ভিন্নতর দৃষ্টিকোণ থেকে। শেষবারের মতো তাঁর কণ্ঠ বাঙ্ময় হয়ে উঠেছে, গেয়েছেন, ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও যাও যাও গো এবার/ যাবার আগে… তোমার আপন রাগে, তোমার গোপন রাগে/ তোমার তরুণ হাসির, অরুণ রাগে/ অশ্রুজলের করুণ রাগে।’ মাস্টারদা সূর্য সেন উদ্যত কণ্ঠে প্রায়ই আবৃত্তি করতেন, ‘এইসব মূঢ় ম্লান মূক মুখে দিতে হবে ভাষা…।’ মাস্টারদার জীবন জুড়ে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তাই প্রিয়জনকে চিঠি লিখতে বসলেই রবীন্দ্রগানের, কবিতার দু-চার পঙ্‌ক্তি স্বতঃস্ফূর্তভাবে চলে আসত। বিপ্লবীরা কেউ কেউ রবীন্দ্রনাথকে প্রয়োজনে বা কোনও জিজ্ঞাস্য নিয়ে চিঠি লিখেছেন। রবীন্দ্রনাথ উত্তরও দিয়েছেন। বিপ্লবীদের পরিচালনায় প্রকাশিত পত্রিকার জন্য কবি আশীর্বাণী‌ লিখে দিয়েছেন, এমন দৃষ্টান্ত আছে একাধিক।
‌ রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম সারির নেতৃস্থানীয় অনেকেরই দৈনন্দিন যোগাযোগ ছিল। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, রাসবিহারী বসু, অরবিন্দ ঘোষ, সখারাম গণেশ দেউস্কর, ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায় ও ভগিনী নিবেদিতা— এই প্রসঙ্গে আরও বেশ কয়েকজনের কথা হয়তো মনে পড়ে যাবে। রবীন্দ্রনাথকে বরাবরই পাশে চেয়েছেন গান্ধীজি। শান্তিনিকেতন ও জোড়াসাঁকোতে এসেছেন তিনি। জোড়াসাঁকোতে অন্য রাজ্যের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরাও এসেছেন। অ্যানি বেসান্ত, তিলক ও গান্ধীজির মতো নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা পাশাপাশি বসে ‘ডাকঘর’ নাটক দেখেছেন।
আরও আরও মানুষের মধ্যে স্বাদেশিকতাবোধ, দেশের প্রতি ভালোবাসা জাগিয়ে তুলতে, ছড়িয়ে দিতে রবীন্দ্রনাথ পথেও নেমেছেন। অবনীন্দ্রনাথের ‘ঘরোয়া’ বইটিতে আছে ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গান গাইতে গাইতে কীভাবে রবীন্দ্রনাথ রাখিবন্ধন উৎসবে মাতোয়ারা হয়েছিলেন। বাড়ির ছাদ থেকে ফুটপাথ লোকে লোকারণ্য। অবনীন্দ্রনাথ জানিয়েছেন, ‘রবিকাকাকে দেখবার জন্য আমাদের চারদিকে ভিড় জমে গেল।’ যাকে দেখার জন্য এই ভিড়, তিনি সবার হাতে রাখি পরিয়ে দিচ্ছেন, বুকে টেনে নিচ্ছেন, ভাবা যায়! সমাজের সর্বস্তরে রবীন্দ্রনাথ মিলনের, ঐক্যের ও সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিয়ে সেদিন রাখি পরিয়ে দিয়েছিলেন। অবনীন্দ্রনাথের লেখায় রয়েছে এক মহার্ঘ ছবি, ‘পাথুরেঘাটা দিয়ে আসছি, দেখি বীরু মল্লিকের আস্তাবলে কতকগুলো সহিস ঘোড়া মলছে, হঠাৎ রবিকাকারা ধাঁ করে বেঁকে গিয়ে ওদের হাতে রাখী পরিয়ে দিলেন। ভাবলুম, রবিকাকারা করলেন কী, ওরা যে মুসলমান, মুসলমানকে রাখী পরালে— একেবারে একটা মারপিট হবে। মারপিট হবে কী। রাখী পরিয়ে আবার কোলাকুলি, সহিসগুলো তো হতভম্ব, কাণ্ড দেখে।… হঠাৎ রবিকাকার খেয়াল হল চিৎপুরে বড় মসজিদে গিয়ে সবাইকে রাখী পরাবেন।’ যেমন ভাবা তেমন কাজ। মসজিদের ভিতরে গিয়ে সবার হাতে রাখি পরিয়ে দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ
এটাই তো আমাদের ভারতবর্ষ। রবীন্দ্রনাথের ভারতবর্ষ। এই দেশের মাটিতেই দেশপ্রেমিক রবীন্দ্রনাথ বারবার মাথা ঠেকিয়েছিলেন। মরা গাঙে বান এসেছিল।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত