কাঙ্ক্ষিত জয় দিয়েই শুরু

Reading Time: 2 minutes

ব্রিস্টলে শুরুতে ব্যাট করে ৩৮.২ ওভারে ২০৭ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। জবাব দিতে নেমে ৯১ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ফিঞ্চ ৬৬ ও ওয়ার্নার অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংস খেলে জয় সহজ করেছেন।

বিশ্বকাপে ফেভারিট তকমা নিয়ে এবারও মাঠে নেমেছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। আর সেই দলের মোকাবেলায় সব হিসেব-নিকেশ মিলিয়ে আফগানিস্তান ছিলো অনেক পিছিয়ে। যেটা খেলায় বাস্তব চোখেই পরিলক্ষিত হয়েছে। তবুও নিজেদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ এবং যতটুকু অভিজ্ঞতাপূর্ণ দল তা নিয়েই ভালো কিছু উপহার দেয়ার চেষ্টা করেছে আফগানরা। দু’দলের প্রথম ম্যাচে ব্রিস্টল কাউন্টি গ্রাউন্ডে সবুজ ঘাসবিহীন নিস্প্রভ প্রাণহীন মাঠে মুখোমুখি হয় আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া।

টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক গুলবাদিন নায়েব। ব্যাট করতে নেমে ৭৭ রান তুলতেই আফগানিস্তানের নেই ৫ উইকেট। শুরুতে শূন্য রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় অফগানরা। ইনিংসের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় শূন্য রানে মিচেল স্টার্কের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মোহাম্মদ শেহজাদ। খেলার দ্বিতীয় ওভার ও পেট কমিন্সের প্রথম ওভারে আরেক ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাই উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স কোরিকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শূন্য রানে । সেখান থেকে রহমত শাহ ও হাসমতউল্লাহ শাহেদী দলের হাল ধরার চেষ্টা করলেও ১৮ রান করে হাসমতউল্লাহ শিকার হন অ্যাডাম জাম্পার। তার বিদায়ের পর বেশি সময় ক্রিজে থাকতে পারেননি রহমত শাহও। ৪৩ রান করে তিনিও ফেরেন। মাঠে নেমে ৭ রান করে ফেরেন মোহাম্মদ নবীও। ফের বিপর্যয়ে পড়লে গুলবাদিন নায়েব ও নাজিবুল্লাহ জাদরান দলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। তবে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউই। ৩১ রান করে নায়েব ফেরেন স্টয়নিসের শিকার হয়ে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ নাজিবুল্লাহ ৪৯ বলে ৭ চার ও ২ ছয়ে ৫১ রান করেন। শেষ দিকে রশিদ খানের ২৭ ও মুজিবুর রহমানের ১৩ রানের ওপর ভর করে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩৮.২ ওভারে ২০৭ রান সংগ্রহ করে আফগানরা।

অস্ট্রেলিয়া বোলারদের মধ্যে প্যাট কমিন্স ও অ্যাডাম জাম্পা ৩টি করে উইকেট শিকার করেন। মার্কোস স্টয়নিস ২টি ও মিচেল স্টার্ক নেন একটি উইকেট।

জবাব দিতে নেমে ৯১ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ফিঞ্চ ৬৬ ও ওয়ার্নার অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংস খেলে জয় সহজ করেছেন।

দিনের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ১০ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে। তাদের তাসমান পাড়ের প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়া লক্ষ্যটা পেল কিছু বেশি, কিউইদের মতো তাড়াহুড়োও করেনি অজিরা।

উদ্বোধনীতে ওয়ার্নারের সঙ্গে ৯৬ তোলার পর বিচ্ছিন্ন হন অ্যারন ফিঞ্চ। অধিনায়কের ৪৯ বলে ৬৬ রানের ইনিংস, ৬ চার ও ৪ ছক্কায় সাজানো।

ফিঞ্চের একটু তাড়া থাকলেও ওয়ার্নার থাকলের একেবারেই ধীরস্থির। এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। একটু দেখেশুনেই এগোলেন। যদিও তার ব্যাটে রানের ঘাটতি ছিল না গত মাস তিনেকে, ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ সেটি দেখেছে।
সঙ্গী ফেরার পর উসমান খাজাকে (১৫) নিয়ে ৬২ রান যোগ করেন ওয়ার্নার। এই জুটিকালীন সময়ে খানিকটা হাত খুলতে থাকেন। পরে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা আরেক তারকা স্টিভেন স্মিথের (১৮) সঙ্গে আরও ৪৯ রান যোগ করে ম্যাচের শেষটা আনেন।

স্মিথ ফেরাটা অপরাজিত রাখতে পারেননি, একেবারে দ্বারপ্রান্তে যেয়ে সাজাঘরে হাঁটা দেন মুজিবের বলে জাজাইকে ক্যাচ দিয়ে।

তবে ওয়ার্নারকে শেষ অবধি ফেরাতে পারেননি আফগান বোলাররা। খুব কাছে যেয়ে সেঞ্চুরিও করা হয়নি এ বাঁহাতির। করবেনইবা কি করে, প্রতিপক্ষ যে খুব বেশি লক্ষ্যই দিতে পারেনি। জয়ে নোঙর ফেলে তাই ৮৯ রানে অপরাজিত ওয়ার্নার, ৮ চারে ১১৪ বলের ইনিংস।

 

 

 

.

 

 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>