
উৎপল কুমার বসু
জন্ম ৩ আগস্ট ১৯৩৯, মৃত্যু ৩ অক্টোবর ২০১৫। বাংলা সাহিত্যে হাংরি আন্দোলন-এর একজন খ্যাতনামা কবি । ১৯৬০ পর্যন্ত তিনি কৃত্তিবাস গোষ্ঠীর কবি হিসাবে পরিচিত ছিলেন । সমীর রায়চৌধুরীর কলেজ - জীবনের বন্ধু উৎপল ১৯৬১ সালে হাংরি আন্দোলন এর সূত্রপাত ঘটতেই তাতে যোগ দেন, এবং তার কবিতা রচনার ধারায় বাঁকবদল ঘটে । হাংরি আন্দোলন এর কারণে ১৯৬৪ সালে তার বিরুদ্ধেও গ্রেপতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল । সেকারণে তিনি যোগমায়া দেবী কলেজের অধ্যাপনা থেকে বরখাস্ত হন । ১৯৬৫ সালে অভিমানাহত উৎপল লন্ডনে গিয়ে বসবাস আরম্ভ করেন । সেখানে তিনি শিক্ষকতা করতেন । লন্ডনে বসবাসকালে তিনি বিবাহ করেন এবং কবিতা লেখা থেকে সাময়িক বিরতি নেন। দুই দশক পর কলকাতায় ফিরে উৎপলকুমার বসু পুনরায় কবিতা লেখা আরম্ভ করেন । তার সমসাময়িক, এমনকি তরুণতর কবিদের তুলনায় তার কবিতা ছিল সম্পূর্ণ নূতন ।নিরাসক্ত ও নির্লিপ্তভাবে বস্তুস্বভাবের যথাযথ বর্ণনা তার কবিতার মুখ্য বৈশিষ্ট্য । বস্তুর অভ্যন্তর সত্যের অভিমুখে কবিতাকে চালনা করেছেন উৎপল । তার চারপাশে ছড়িয়ে থাকা জীবন প্রকৃতি কোনো রহস্যভূমি রচনা না করেই তার কবিতে মেলে ধরে বর্তমান সমাজবাস্তবতা । উৎপলকুমার বসু বহুলব্যবহৃত শব্দগুলোকে কবিতার শরীরে এমনভাবে স্হাপন করেছেন যে তার ফলে তৈরি হয়েছে বাক্যের নূতন মাত্রা । অনেকে অবশ্য বলেন তার কবিতা 'আকারসর্বস্ব'।
কাব্যগ্রন্থ
- চৈত্রে রচিত কবিতা (১৯৬১)
- পুরী সিরিজ (১৯৬৪)
- আবার পুরী সিরিজ (১৯৭৮)
- লোচনদাস কারিগর (১৯৮২)
- খণ্ডবৈচিত্রের দিন (১৯৮৬)
- শ্রেষ্ঠ কবিতা ( ১৯৯১)
- সলমাজরির কাজ (১৯৯৫)
- পদ্যসংগ্রহ (১৯৯৬ )
- কবিতাসংগ্রহ (১৯৯৬)
- কহবতীর নাচ (১৯৯৭)
- নাইট স্কুল (১৯৯৯)
- টুসু আমার চিন্তামণি (২০০০)
