| 26 এপ্রিল 2024
Categories
কবিতা সাহিত্য

কবিতা : বালু নদীর কথা ও অন্যান্য । জহির খান

আনুমানিক পঠনকাল: 2 মিনিট

বালু নদীর কথা

কি সব কথা তোমার সাথে কতোকাল আগে
পাড়ে ওপাড়ে অসংখ্য পরিবার পরিকল্পনা…
জলে সুরে সুখ শরীর দোলে
ভেসে আসে এক ছবি নদীর নাও
ভালোবাসায় পাশে ছিলো শালবন
                        খুব নিরবে নিভৃতে
তখন
স্পর্শ তোমার বহু শ্রমিকের ঘাম ঝরানো সুখ
ট্রেনের বগি গুলোও চেয়ে থাকতো
এক অপলক দৃষ্টি  নিয়ে   তোমার দিকেই…

আর এভাবেই চলে মাঝি-মল্লাদের পারাপার
                                                     প্রতিদিন
তবু কত-শত প্রেমিক ঠায় নেয় তোমার বুকে
ভালোবাসায় ডুবন্ত সেই ভুল বুঝেছি আজ

অতঃপর
যৌবনে খুঁজে পাওয়া বালু জলে প্রেম-প্রণয়
তোমাকে কেটে টুকরো টুকরো করে নেয়
                                   একদল হায়েনারা
গড়ে উঠে রাজ্যের সব দালান কোঠা
                                   দখল প্রতিযোগিতা
নাকে তেল দিয়ে
সাধারণ মহোদয়
                         চলে শ্রমিক আন্দোলন
বালু তুমি মহান
কিছু সাদা ভাত
উঠে আসো আমাদের পেটে 

 

দুধভাত কবিতা

কোথাও উঁচু কোথাও নিচু
স্বরে বা সুরে শালিকের ওড়াউড়ি
উড়ে অন্যরাও- প্রবল আস্থা

দূরের আকাশ দূরে রয়
দুধভাত মন্ত্র পড়ে ঋষি পাখি 
গোল হয় মানুষের চিন্তা

ঘোরে অঘোর সম্পর্কে ভাটা পড়ে
ফিরে আসে রূপালী সন্ধ্যা প্রিয়তু

এখন শালিকেরা ফিরে তীরে উঠে
অন্ধকারে শালিক মানুষ বন্ধু হয়
ভেদাভেদ হয় ঝগড়া হয়- মানুষ 

কিছুই ভালো লাগেনা

চারপাশে শুধু দেখি কুবেরের ধন রক্ষক
মান রক্ষক দেখিনা নেই কোথাও নেই

কিছুই ভালো লাগেনা
কি বলার আছে- পথিক
দূরের গ্রাম পথ ধরে হাঁটি
মুচকি হাসি হাওয়া খাই

ভাবছি একটা গ্রাম কিনবো
মান রক্ষক নিয়োগ দিবো

এখন
ধন ধোনে যাক কিচ্ছু যায় আসেনা 


আরো পড়ুন: জহির খানের কবিতাগুচ্ছ


অনির্বচনীয়

কথায় যা প্রকাশ করা যায় না- তুমি
দূরাগত পাহাড়ের ঢালে বসে এইসব
কতো কথা হয় সু মহান কবি আমার

ঝিরিঝিরি বৃষ্টির গতি নিয়ে আসা পথ
পথ বহুবছরের জীববিবর্তনের আদর্শ

আদর্শ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়- হ্যা তুমি ই
বাড়ছো বাড়ছে কবিতা বাড়ার খুব নিকট

অতঃপর
কারা বৈষম্যর কর্পোরেট ভোঁদা চেটেপুটে
হয়ে উঠো বাল-ছাল  বাঘ-ছাল বাকশাল

এখন একদিন হয়ে উঠো কর্পোরেট মার্চেন্ট
কিনোই কবিতার সরঞ্জাম পরিমিত আচরণ

আমি তো কবিতা লিখি স্যার

       
আমার নাক বরাবর ভদ্রলোক
আবহমান বাংলার নৌকায় চড়েন
বাংলায় কথা বলেন বাংলা গান করেন
উদার এক লাল সবুজের নদী হয়ে উঠেন

ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে আছেন যে ভদ্রলোক
উনিইতো সবুজ সোনালী ধানের চাষ করেন
লাঙলের ফলায় খুব ই মায়ার কায়ায় ফসল

ভালোলাগে- খুবই জরুরী ভালোবাসা বন্ধুগো

ডানপাশের ভদ্রলোক উনি অদৃশ্য এক শক্তি  দাড়িপাল্লা নিয়ে বণিক চেয়ারে বসে থাকেন
ভীনদেশী প্রোডাক্ট কেনাবেচা করেন- ঠকান 

বামপাশের ভদ্রলোক ও দেশেই থাকেন
দেশের কথা হয় ভালোবাসেন লাল দল
রাজপথের মহান শ্রমজীবী মানুষের কথা
ভদ্রবাড়ীর কেউ কেউ রাতের অন্ধকারে
হয়ে উঠেন চায়না প্রোডাক্ট দালাল চক্ষু

ঘেন্নাপিত্তি- প্রতিবাদে মহামান্য আদালত থু

অতঃপর
কারাে গহীন বনে সুন্দরের ভাগ বসাতে চাইনি
আমি কবিতা লিখি  লিখতে হয় তাই-
বই চুরি করেছি বউ চুরি করিনি করবো ও না
কবিতাই লিখতে আসছি ছলা গল্প করতে নয়

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত