আনুমানিক পঠনকাল: < 1 মিনিট
(১)
চেনা কিশোরীর অচেনা ওড়নার মতো নরম
তোমার মুখ!
দেখছি
আর
হৃদয় খুলে খুলে যাচ্ছে…
যেমন আসন থেকে খুলে যায় সুতোর ফুল।
(২)
ঝড়ে ছিঁড়ে গেছে ডানা
সে ডানা বয়ে নিয়ে পাখিটি বাসায় ফিরছে।
ঠোঁটে খাদ্য!
আশ্চর্য,
এই খাদ্যের পাশে সংগৃহীত লেখার জন্য
কিছুতেই উৎসুক হচ্ছে না কলম।
(৩)
দীর্ঘ অসুখের মুখ এঁকে রাখতে চাইলে
রঙ কম পড়ে।
কপালের দিকে তাকালেই মনে হয়
আমার দুঃখ দিয়ে একটা লাল টিপ পরিয়ে দিই!
দীর্ঘ অসুখের মুখ বড়ো প্রিয় কিংবা ঠিক প্রিয় নয়।
(৪)
ঋষির আঙুল নিয়ে খেলা করতে করতে
পাতাটি হারিয়ে ফেলেছিল ঠিকানা-
অভিযোগ মিথ্যা হোক!
মিথ্যা হোক না প্রথম চুম্বনে
আমাদের আড়ষ্টতা।
(৫)
শেষ হোক বলবো না,
বলবো খুঁজে যাবো
বিনীত দৌড় এবং বানরলাঠি ফুলের কাহিনি!
হাওয়ায় লেখা থাকবে,
যা কিছু ভুলে গেছি বা যাচ্ছি।
জীবন পেন্ডুলামের মতো এদিকে ওদিকে
নেচে নেচে উড়ে যাবে…
জন্ম- ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৬। গত বছর প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হয়েছেন। ২০১৫ থেকে সক্রিয়ভাবে লেখালিখির সঙ্গে যুক্ত। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের নানা ছোটোপত্রিকায় লেখালেখি করেন। ২০১৮ তে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর প্রথম বই ‘ঘুম দাও ঈশ্বর’, পেয়েছেন ‘সোনাঝুরি কবি সম্মান-২০১৯’।
চমৎকার